রাকিব হোসেন, শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধি: শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার দক্ষিণ কোদালপুর ০৯ নং ওয়ার্ড মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে দিনের পর দিন প্রায় ১২ টি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছে ০১ কুচক্রী মহল, আরশি নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নান্টু মালতের নেতৃত্বে। সাংবাদিক রিপোর্ট করতে যাওয়ায় সাংবাদিকদের প্রাণনাশের হুমকি দেন আরশি নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নান্টু মালত ও তার ড্রেজারে থাকা কর্মকর্তারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ১২ টি ড্রেজারের কর্মরত অবস্থায় থাকা সকল কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের দেখে ড্রেজার চলতি অবস্থায় রেখে নৌকা নিয়ে চরে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে সাংবাদিকরা তাদেরকে ডাকলেও তারা সাড়া না দিয়ে চলে যায়, এবং সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার মত কাউকে পাওয়া যায় না। পরবর্তীতে প্রায় তিন ঘন্টা অপেক্ষা করেও ড্রেজারের কোনো কর্মকর্তা আশেপাশে পাওয়া যায়নি। ঠিক কিছুক্ষণ পর আরশি নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নান্টু মালতের ড্রেজারে থাকা কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের ডেকে নেয়। তখন সাংবাদিকরা ড্রেজার কর্মকর্তাদের কে প্রশ্ন করল, আপনারা ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করতেছেন এটা সম্পূর্ণ একটা অবৈধ কাজ আপনারা এই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কার কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে করতেছেন? ড্রেজারে থাকা কর্মকর্তারা বলল এটা কোন অবৈধ কাজ না আমরা অনুমতি নিয়ে করতেছি নান্টু মালতের থেকে। এবং পরবর্তীতে অকাট্য বাসায় সাংবাদিকদের বকাঝকা করেন এবং জোর গলায় কথা বলেন, নান্টু মালতের ড্রেজারে থাকা কর্মকর্তারা। সাংবাদিকরা বারবার ড্রেজারে থাকা কর্মকর্তাদের নাম জানতে চাইলে তারা সাংবাদিকদের সামনে নাম বলেননি। পরবর্তীতে ড্রেজারে থাকা কর্মকর্তারা নান্টু মালিতের সাথে ফোনে যোগাযোগ করিয়ে দেয়। পরবর্তীতে নান্টু মালত ও সাংবাদিকদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। এবং সাংবাদিকদেরকে সরোজমিনে আটকে রাখার কথা ও বলেন।
স্থানীয়রা বলেন, মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার কারণে, আমাদের ফসলাধীন জমি সব নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে এবং নদীর পাড় ভেঙে নদী গর্ভে বিলীন হয় যাচ্ছে। আমাদের বিটা বাড়ি নিয়ে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। আমরা ড্রেজার মালিকদের বারবার বলে ও তাদের বালু উত্তোলন করা আটকাতে পারেনি। তাই আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি প্রশাসন যেন অতি শীঘ্রই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
পরবর্তীতে সাংবাদিকরা দিশেহারা হয়ে গোসাইরহাট ওসি কে ফোন করে তিনি ব্যাস্ত থাকার কারণে ফোন রিসিভ করতে পারেনি। পরবর্তীতে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক ও ম্যাজিস্ট্রেট মো: মাজেদুর রহমান খান কে ফোন করে ঘটনা বললে তিনি বলেন এটা আমাদের চাঁদপুরের ভীতর পড়েন এটা শরীয়তপুরের ভিতরে পড়ছে। পরবর্তীতে সাংবাদিকরা ৯৯৯ ফোন করে ঘটনা বললে, সরাসরি ৯৯৯ থেকে গোসাইরহাট ওসির সাথে কথা বলিয়ে দেয় পরবর্তীতে গোসাইরহাট উপজেলার ওসির নেতৃত্বে গোসাইরহাট উপজেলার পুলিশের পিকআপ নিয়ে তৎপর কোদালপুর লঞ্চঘাটে আসেন। পরবর্তীতে ওসি বলেন আপনারা সরাসরি ডিসি অফিসে অভিযোগ করুন পরবর্তীতে আমাদের কাছে নোটিশ আসলে আমরা এই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে এই চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply