মাহমুদুল হাসান, যশোর জেলা প্রতিনিধিঃ যশোরের বেনাপোলে মাদক দ্রব্য উদ্ধারের দৃশ্য ভিডিও ধারনের অজুহাতে মাদক ব্যাবসায়ীর সহযোগীদের হামলায় সানজিদা আক্তার শ্রাবনী (১৮) নামের কলেজ ছাত্রী শারিরিক নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন।
কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারের সামনে শ্লীতাহানির চেষ্টা ঘটলেও বিচার বঞ্চিত হয় বলে জানা যায় ভূক্তভোগী। উল্টো তার ভাই পারভেজ আহমেদ রনি (২৫) কে ধর্ষন মামলায় ফাঁসানোর পায়তারা চালাচ্ছে অভিযুক্তরা। ইতিমধ্যে তার পরিবারের সদস্যদের প্রশাসনিক হয়রানী ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর আশঙ্কা থেকে সমাজের ক্ষমতাবান মানুষের সাহায্য চেয়ে তার ফেসবুক আইডি সানজিদা আক্তার শ্রাবনী থেকে একটি পোস্ট ছেড়েছেন।
ভূক্তভোগী শ্রাবনী বেনাপোল পৌরসভার সাদীপুর গ্রামের মৃত মুজিবর রহমানের কন্যা ও বেনাপোল ডিগ্রি কলেজের দ্বীতীয় বর্ষের ছাত্রী। ঘটনার বর্ণনায় শ্রাবনী সাংবাদিকদের জানান, গত ২৫ ডিসেম্বর (শুক্রবার) সন্ধ্যায় সে বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে ছিলো। তখন সে একই গ্রামের ১৩ বছরের ছেলে কে বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের সদস্যদের হাত কড়া পরিয়ে নিয়ে যেতে দেখে ছাদ হতে নেমে ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে গিয়ে সে পুলিশের গাঁজা উদ্ধার ও আটককৃত কে ছাড়াতে তদবিরকারীদের দেখতে পান। আকস্মিক সাদিপুর গ্রামের নেদার ছেলে মুরাদ পুলিশ কে বলে আমি ঘটনাটি ভিডিও ধারন করছি সে মোতাবেক বেনাপোল পোর্টথানার সাব ইন্সপেক্টর রোকনুজ্জামান আমার ব্যাবহৃত মোবাইল ফোনটি হাত হতে ছিনিয়ে নেয়। এক পর্যায়ে মুরাদ আমার মুখ চেপে ধরে ও জামা কাপড় ছিড়ে দিয়ে মাথায় অনবরত আঘাত করতে থাকলে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। আমার মা ছুটে এসে আমাকে ডাক্তারের কাছে নেওয়ার পরে আমার হুশ ফেরে। পরদিন সকালে বেনাপোল পোর্টথানায় গেলে এস আই রোকনুজ্জামান সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়ে আমার মোবাইল ফেরত দেয়। এ সময় প্রশাসনের সন্মুখে মুরাদ ও তার সহযোগীদের দ্বার লাঞ্চিতের ঘটনায় মামলা করতে চাইলে তিনি থানা হতে আমাকে চলে যেতে বলেন।
এরপর প্রশাসনের নিকট যাওয়ার কারনে আমার ও আমার পরিবার কে নানা ভাবে মুরাদ গংরা চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। তার পিতা নেদা প্রকাশ্যে আমার পরিবার কে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো ও বহিরাগত দ্বারা মারপিটের হুমকি দেয়। এ ঘটনায় আমি যশোর পুলিশ সুপার কার্য্যলয়ে উপস্থিত হয়ে নিরাপত্তা ও ন্যায্য বিচার চেয়ে লিখিত আবেদন করি, যা তদন্তধীন রয়েছে।
কলেজ ছাত্রী লাঞ্চিতের ঘটনার বিচার না পাওয়ার চেষ্টায় বিতর্কিত এস আই রোকনুজ্জামান, নেদা ও তার ছেলে মুরাদ ভূক্তভোগী পরিবারের উপর নানামুখি ষড়যন্ত্র লিপ্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন কলেজ ছাত্রীর মা জেসমিন আক্তার। তিনি বলেন (৩০ ডিসেম্বর) বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে বেনাপোল পোর্ট থানার এস আই রিয়েল আহমেদ শফি তার বাসভবনে গিয়ে তার ছেলেকে থানায় অভিযোগ আছে বলে ভয়-ভিতী দেখিয়েছেন। মাদক ব্যাবসায়ীর সহযোগীরা অনবরত অভিযোগ তুলে নিতে চাপ সৃষ্টি করা সহ পরিবারের সদস্যদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ষড়যন্ত্রে মরিয়া হয়েছেন বলে আরো জানান তারা। বিষয়টি নিয়ে এস আই রিয়েল আহমেদ মুঠো ফোনে রনির বাসায় যাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তার নামে থানায় একটি লিখিত অভিযোগের সুত্র ধরে তদন্ত কাজে গিয়েছি। কলেজ ছাত্রী লাঞ্চিতের ঘটনার সত্যতা জানতে বেনাপোল পোর্ট থানার এস আই রোকনুজ্জামান এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, মাদক দ্রব্য উদ্ধার শেষে লেখা লেখীর সময় মুরাদের সহিত মেয়েটির গোলযোগ বাধলে আমি থামিয়ে দিই পরে কি ঘটেছে আমি বলতে পারবোনা। মেয়েটের অভিযোগ থানায় গ্রহন করা হয়েছে। কলেজ ছাত্রী লাঞ্চিতের ঘটনায় মুরাদ হোসেন জানান, তার বিরুদ্ধে জামা-কাপড় ছেড়ার অভিযোগ টি মিথ্যা। কলেজ ছাত্রী লাঞ্চিতের সত্যতা নিশ্চিত করে সাদীপুর গ্রামের অসীম, জনি সহ একাধিক গ্রামবাসী বলেন অজ্ঞান অবস্থায় শ্রাবনী কে নিয়ে তার মাকে ডাক্তারের নিকট যেতে দেখেছি।
বর্তমানে ভুক্তভোগী পরিবার টি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে। তারা প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চেয়ে সু বিচার দাবী করেছেন।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply