এম সোহাইল চৌধুরী, কক্সবাজার জেলাপ্রতিনিধিঃ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নানা বানিয়ে সম্পুর্ণ তথ্য গোপন করে বীর মুক্তিযোদ্ধার জাল সনদে চাকরি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত নিয়মিত ভাবে দায়িত্ব পালন ও বহাল তবিয়তে রয়েছেন বলে এক মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যায়। এবং অভিযুক্ত মহিলা নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের খামার গাড়াগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সূর্যি আক্তার বলে প্রমাণিত হয়।এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্তে এ ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন। সূর্যী তার নিজের পক্ষে নানার মুক্তিযোদ্ধা সনদের স্বপক্ষে গ্রহণযোগ্য কোন দালিলিক প্রমাণ দিতে পারেননি।
গত ৩ জানুয়ারি দৈনিক ইত্তেফাকে মুক্তিযোদ্ধাকে ভুয়া নানা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেওয়ার অভিযোগ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর ৪ জানুয়ারি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা বেগমের নির্দেশে খামার গাড়াগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সূর্যি আক্তারের বিরুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা তমিজ উদ্দিনকে নানা বানিয়ে জাল সনদে চাকরি নেওয়ার অভিযোগের উচ্চতর তদন্ত শেষে ৪ জানুয়ারি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা বেগমকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, তদন্তে খামার গাড়াগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিক সূর্যি আক্তার বীর মুক্তিযোদ্ধা তমিজ উদ্দিনের সাথে নানা নাতনির সম্পর্কের কোন দালিলিক কোন প্রমাণ দিতে পারেননি।
এমনকি বীর মুক্তিযোদ্ধা তমিজ উদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, সূর্যি আক্তার নামে তার কোন নাতনি নেই। তার ভিডিও বক্তব্যসহ তদন্ত রিপোর্টের সাথে সংযুক্ত করে দিয়েছি।
পাশাপাশি এলাকাবাসী, অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধা, ওয়ারিশন সনদ, বিবাহের কাবিনসহ বিভিন্ন কাগজপত্র ঘেঁটে সুর্যি আক্তারের সাথে বীর মুক্তিযোদ্ধা তমিজ উদ্দিনের কোন সম্পর্ক বের করা যায়নি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা বেগম বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি। তদন্ত প্রতিবেদনটি জেলা প্রশাসক স্যারের কাছে পাঠানো হবে। যেহেতু বিষয়টি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে তাই এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষই তার বিরুদ্ধে যে কোন কটিন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন।
এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের তীক্ষ্ণ নজর প্রশাসনের দিকে এই ঘটনার বিচারের কেমন হবে?
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply