নিজস্ব প্রতিনিধিঃ যশোর থেকে
বেনাপোল কাস্টমস হাউস কর্মকর্তাদের ঘুস গ্রহন এখন অনেকটাই ওপেন সিক্রেট। এ নিয়ে পত্র-পত্রিকা, গনমাধ্যমে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হলেও বদলায়নী তার স্বরুপ। উল্টো অভিযোগ কারী কে হেনস্তা, ফাইল আটকিয়ে রাখা, পন্যের বাড়তি শুল্ক আরোপ সবশেষ বিন লকের মাধ্যম্যে ব্যবসায়ীক ভাবে পঙ্গু করে দেওয়া হয়। এ কারনে কেউ আর প্রতিবাদের সাহস দেখায় না ফলে বহাল তবিয়তেই চলে তাদের ঘুষ বানিজ্য।
আসন্ন ঈদুল ফিতর কে টার্গেট করে সীমাহীন ঘুষ বানিজ্যে মত্ত হয়েছেন বেনাপোল কাস্টমস হাউসের একাধিক কর্মকর্তা। আর তাদের নিয়োজিত প্রতিনিধি দ্বারা নিয়ত হয়রানী সহ লাঞ্চিত হচ্ছে স্টেশনটিতে কর্মরত আমদানীকারকের পক্ষ্যে সি এন্ড এফ এজেন্ট মনোনীত কর্মরতরা। তাদের অবৈধ্য উৎকোচ মেটাতে অতিরিক্ত সময়ক্ষেপনে আমদানিকারক মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন মনোনীত সি এন্ড এফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠানের উপর হতেই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে, ভূক্তভোগী কর্মরত একাধীক সিএন্ডএফ এজেন্ট মনোনীত সদস্য জানাই ম্যাডামের প্রতিনিধি সুজন কর্তৃক প্রতিনিয়ত আমরা হয়রানীর স্বীকার হচ্ছি। লিগ্যাল ফাইলেও স্বাক্ষর পেতে তার চাহিদা মত টাকা না দিলে পড়ে থাকবে। স্বশরীরে গিয়ে ম্যাডাম কে বিষয়টি জানালে তিনি ফাইল অতিরিক্ত কমিশনার বা কমিশনারের কাছে পাঠান। নিরুপায় হয়ে ঝামেলা এড়াতে আমরা চাহিদা মত টাকা দিই যা সম্পূর্ন অবৈধ্য ও হয়রানী মূলক কর্মকান্ড। সাম্প্রতি সময়ে চাহিদা বাড়ায় আমরা অতিষ্ট।
বর্তমান কমিশনারের যোগদানের মাস দুই-তিন স্টেসন টির ঘুস বানিজ্য কিছুটা স্থবির থাকলেও এখন তা পূর্নমাত্রায় নিয়ন্ত্রন করছেন ঐ অসাধু কর্মকর্তারা। গুঞ্জন আছে এনবিআর পর্যন্ত ম্যানেজ করেই চলে এই সমস্ত কর্মকর্তারা। এ কারনে শত লেখালেখীতেও বন্ধ হবেনা বেনাপোল কাস্টমস কর্তাদের অনিয়ম-দূর্নীতি। সাম্প্রতি স্টেসনটির কর্মকর্তাদের ( শুল্কায়ন গ্রুপ-৬) কার্যক্রমে বিস্তর অভিযোগ জানানো সহ দ্বায়িত্বরত সহকারী কমিশনার আনজুমান আরা আক্তারের প্রতি অ-সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্টেশনটিতে কর্মরত বেনাপোলের একাধিক সিএন্ড এফ এজেন্ট মনোনীত সদস্যরা।
সুজন সম্পর্কে জানতে চাইলে কাস্টমস সুত্র জানান, বেনাপোল কাস্টমস হাউসে এ নামে কোন কর্মকর্তা, কর্মচারী এমন কি ড্রাইভার ও নেই। তাহলে একজন বহিরাগত সরকারী গুরুত্বপূর্ন দপ্তরে কিভাবে প্রবেশ করে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করেন জানতে চাইলে সদুত্তর মেলেনী। স্টেশনটিতে কর্ব্যরত এমন আরো বহিরাগত ও ঘুষ গ্রহনকারী কর্মকর্তার নাম জানা যাচ্ছে !
অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে গতকাল বৃহষ্পতিবার (২২এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে সহকারী কমিশনারের অফিসের সামনে সিএন্ড এফ এজেন্ট প্রতিনিধিদের কাছ হতে প্রকাশ্যে টাকা নিতে দেখা যায়। সাংবাদিক পরিচয়ে সুজনের কাছে জানতে চাইলে সে কথার উত্তর না দিয়ে দ্রুত কাস্টমস হাউস ত্যাগ করেন। বিষয় টি জানতে আনজুমানআরা আক্তারের সহিত সাক্ষাৎের চেষ্ঠা চালালে তিনি অফিসে না থাকায় বিবৃতি জানা যায়নী।
সুজন সম্পর্কে জানতে চাইলে কাস্টমস সুত্র জানান, বেনাপোল কাস্টমস হাউসে এ নামে কোন কর্মকর্তা, কর্মচারী এমন কি ড্রাইভার ও নেই। তাহলে একজন বহিরাগত সরকারী গুরুত্বপূর্ন দপ্তরে প্রবেশ করে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার প্রতিনিধি হিসাবে কি ভাবে কাজ করেন জানতে চাইলে সদুত্তর মেলেনী। স্টেশনটিতে কর্তব্যরত এমন আরো বহিরাগত ও ঘুষ গ্রহনকারী কর্মকর্তার নাম জানা গেছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার এর মুঠো ফোনে বিষয়টি জানতে কল করেও সংযোগ না মেলায় তার বক্তব্য জানা যায়নী। উল্লেখ্য দীর্ঘদীন ধরেই বিভিন্ন জটিলতায় আমদানীকারকরা বেনাপোল বন্দর দিয়ে পন্য আমদানিতে নিরুৎসাহিত হচ্ছে যার কারনে বিগত কয়েক বছর ধরে এ বন্দরের রাজস্ব আহরনের লক্ষ্যমাত্রা পূরন হচ্ছে না।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply