এম শহিদুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
লৌহজং নদীর টাঙ্গাইলের কালিহাতীর অংশে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপাড় থেকে মহেলা পর্যন্ত প্রভাবশালী কতিপয় নেতারা বাংলা ড্রেজার বসিয়ে দাপটের সঙ্গে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। ফলে হুমকির মুখে রয়েছে অসংখ্য বসতবাড়ি, স্থাপনা ও ঈদগাহ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব এলাকার বেলটিয়ায় তিনটি, বিনোদ লুহুরিয়ায় চারটি, যোকারচরে চারটি, মগড়া ঈদগাহ্ মাঠ সংলগ্ন তিনটি, হাতিয়ায় একটি, ধলাটেঙ্গরে আটটি, বাঁশীতে একটি, মহেলায় দুটিসহ মোট ২৬টি বাংলা ড্রেজার দিয়ে লৌহজং নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চালাচ্ছেন প্রভাবশালীরা। এতে করে একদিকে ড্রেজার ব্যবসায়ীরা বালু উত্তোলন করে স্বল্প সময়ে বিত্তবান হচ্ছেন, অপরদিকে নদীর তীরবর্তী এলাকার বসতবাড়ি, ঈদগাহ্ মাঠসহ বিভিন্ন স্থাপনা হুমকির মুখে পড়েছে। বাংলা ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর তলদেশ আসন্ন বর্ষা মৌসুমে বন্যায় বাড়িঘর ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মাঝে মধ্যে প্রশাসনের অভিযান চললেও পরক্ষণেই আবার ভেসে উঠে একই চিত্র।
মগড়ার নদী তীরবর্তী সোমেস প্রমাণিক বলেন, মগড়া ঈদগাহ্ মাঠ সংলগ্ন নদীতে বছরের পর বছর বাংলা ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে ৩০ শতাংশ বসতবাড়ির মধ্যে ২৭ শতাংশ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। প্রতিবাদ করতে গেলেই ওই ড্রেজার মালিক শফিক মিয়া আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়। আমরা গরীব মানুষ। প্রশাসনের নিকট এর বিচার চাই।
একই এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্রের ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী উজ্জ্বল মিয়ার নেতৃত্বে একটি প্রভাবশালী গ্রুপ ড্রেজার ও ভেকু দিয়ে নদী থেকে দিন-রাত অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে।
বাঁশী এলাকার মাজেদুর ও শফিকুল এলেঙ্গা বাজার ব্রিজ সংলগ্ন নদী থেকে রাতের আঁধারে ভেকু দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। এতে হুমকির মুখে রয়েছে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নদীর উপর সেতুটি।
এ বিষয়ে কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমানা তানজিন অন্তরা বলেন, আমরা প্রায়ই কালিহাতীর বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আর্থিক জরিমানা ও বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করে আসছি। আমাদের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply