বিশেষ প্রতিনিধি :: লাগামহীন অনিয়ম-দূর্নীতির মাধ্যমে মাত্র ৭ বছর সময়ের মধ্যে জিরো থেকে হিরো বনেছেন শার্শা সাবরেজিস্ট্রি অফিসের নৈশ্য প্রহরী রুস্তম আলী শেখ। শার্শা বাজারে বহুতল বাড়ি,চুক নগরে নামে-বেনামে অঢেল সম্পত্তি সহ গড়ে তুলেছেন বিত্ত-বৈভব। শার্শা উপজেলার স্বরুপদাহ গ্রামের চা বিক্রেতা ইব্রাহিম শেখের একমাত্র ছেলে রুস্তম। শার্শা উপজেলার বিতর্কিত সাব-রেজিস্ট্রার অঞ্জু দাসকে বিপুল অঙ্কের টাকায় ম্যানেজ করে তার দূর্নীতির অভিযোগ তদন্তধীন থাকলেও কর্মস্থলে সে বহাল রয়েছে।
নৈশ্য প্রহরীর কাজ করার কথা থাকলেও পরচা বিহীন ও খাজনা পরিশোধ না করে জমি রেজিস্ট্রি, জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে কম টাকা রাজস্ব জমা দিয়ে জমি রেজিস্ট্রিতে সে সিদ্ধহস্ত। এজন্য তিনি ক্রেতা-বিক্রেতার কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহণ করে থাকেন। দলিল প্রতি সর্বনিন্ম ১২শো টাকা ঘুস ধার্য্য করেছেন নকলনবীশদের জন্য যা রুস্তম নিজেই আদায় করে থাকেন। কয়েকজন দলিলে লেখককে অনিয়ম-দূর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ না জানাতে বাড়তি সুবিধা দিয়ে ও অপকর্মের সহযোগীতায় অফিস কক্ষে কয়েকজন সাংবাদিক পুষে সিন্ডিগেট গড়ে অনায়াসে চালাচ্ছেন দূর্নীতির মহাযঙ্গ।
লাখ, লাখ টাকা চুক্তিতে জাল দলিল করা ও বিনা কাগজপত্রেই ব্যাক্তির অনুপস্থিতিতে সম্পত্তি অবৈধ্য পন্থায় রেজিস্টি করানোর মত ভয়ানক অভিযোগ রয়েছে তার নামে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন রুস্তমের সন্মতি ছাড়া অফিসের কোন কাজ সম্পন্ন করতে পারে না দলিল লেখকরা। রাতে নৈশ্য পাহারার দায়িত্বে থাকার কথা রুস্তমের থাকলেও দিনের অফিস চালায় সে। অবৈধ্য আয়ের একটি অংশ যায় কর্মকর্তাদের পকেটে যায় বলে দলিল লেখকরা রুস্তমের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেও ফল মেলেনা। চলমান বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে নৈশ্যপ্রহরী রুস্তমকে নিয়ে জাতীয় পত্রিকা যুগান্তর, ইনকিলাব ও আঞ্চলিক পত্রিকা নোয়াপাড়া, গ্রামের কাগজ সহ একাধিক মানসন্মত অনলাইন পোর্টালে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশিত হলেও নাম মাত্র শোকজেই পরিসম্পাত্তি ঘটে ফলাফলের।
বিষয়টি নিয়ে সাব-রেজিস্টার অঞ্জু দাসের সাথে কথা বলতে গেলে অফিসে না থাকায় বিবৃতি জানা সম্ভব হইনী। সাংবাদিক পরিচয়ে মুঠোফোনে অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে রুস্তম বলেন ভাই লিখে কাজ হবেনা্। এর আগেও বহু পত্রিকা লিখেছে ডিআর, ইজি আর চলে আমার টাকায়। আমি ষড়যন্ত্রের স্বীকার। আমার হাত দিয়ে ঘুসের টাকা আদায় হয় বলে সব আমার পিছে লেগেছে। শার্শা বাজারের স্থানীয়রা জানান, রুস্তম সিন্ডিগেটের কবলে শার্শা সাবরেজিস্ট্রি অফিসে চলে হয়রানী। এটা সকলে জানলেও আজ পর্যন্ত কোন প্রতিকার হয়নী। আমরা চাই সরকারী অফিস দূর্নীতি মুক্ত হোক, রুস্তম তার সহযোগী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত হোক। দালাল মুক্ত সাবরেজিস্ট্রি অফিস গড়ে উঠে সরকার প্রকৃত রাজস্ব পাক ।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply