মাহমুদুল হাসান,যশোর জেলা প্রতিনিধি ঃ যশোরের বেনাপোল ভূমি অফিসের বিতর্কিত সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আবু সাঈদ মোল্যা তার অপকর্ম ঢাকতে দৌড়-ঝাঁপ শুরু করেছেন। স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের ম্যানেজ করে তার পাহাড় সমান অপকর্মের অভিযোগ ধামাচাপা দিতে দফায় দফায় বৈঠকে বসছেন বলে জানা গেছে। পূর্বের ন্যায় বিপুল অঙ্কের অর্থ দিয়ে উপজেলা প্রশাসন সহ উর্দ্ধতণদের ম্যানেজ করার গুঞ্জন ছড়িয়েছে এলাকায়।
সাম্প্রতি বেনাপোল ভূমি অফিসের নায়েব সাঈদ মোল্যার বিরুদ্ধে মুজিববর্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ঘর প্রদানে বিপুল অঙ্কের উৎকোচ গ্রহন, নামপত্তনের ক্ষেত্রে ঘুস গ্রহন,লাখ লাখ টাকার চুক্তিতে সরকারী জমি বন্দোবস্তের ব্যাবস্থা করা, জাল পরচা তৈরী করা, খাজনা পরিশোধের মুড়ি বইয়ের কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে সরাসরি ঘুস নিয়ে দাখিলা কাটা ও নামপত্তনের সময় জাল জালিয়াতির মাধ্যমে সম্পত্তির অংশ বাড়ানো কমানো সহ বিবিধ অপকর্মের সংবাদ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা সহ অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত হয়। তড়িঘড়ি করে অপরাধ ঢাকতে সাঈদ মোল্যার কথিত স্ত্রী বিউটি এবং তার সহোযোগীরা মিলে অভিযোগকারী পারুলের বাড়ি যেয়ে টাকা ফেরত দেওয়ার ভিডিও এবং সাংবাদিক কে আশ্রব্য ভাষায় গালি গালাজ এর ধারন কৃত অডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় বিতর্কিত নায়েব সাঈদ মোল্যার ইন্ধনে বিউটি পুত্র মামুন ও তার সহযোগীরা বেনাপোল বাজারে প্রকাশ্য সাংবাদিক জাহিদের উপর হামলা চালায়। হামলার ঘটনায় সাংবাদিক জাহিদ বেনাপোল পোর্টথানায় গত ৪ সেপ্টেম্বর বেনাপোল পোর্টথানায় সাধারন ডায়েরী করেন যাহার নম্বর-১৬০।
সাংবাদিকের উপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর প্রদানে নায়েব সাঈদ মোল্যার ঘুস গ্রহণের অভিযোগ খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবীতে শার্শার সাংবাদিক মহল গত সোমবার (৬সেপ্টেম্বর) শার্শা উপজেলা প্রশাসনের নিকট একটি অভিযোগ পত্র দায়ের করেন। শার্শা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা সাংবাদিক কর্তৃক লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে জানান,বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বেনাপোল ভূমি অফিসের নায়েবের কূ-কৃর্তী জনস্মুখে আসার পর অনেকেই ভিড় জমাচ্ছেন ভূমি অফিসে। বিষয়টি খোঁজ খবর নিলে জানা যায় বেনাপোলের অসংখ্য মানুষের কাছ হতে বিভিন্ন অবৈধ্য সুবিধা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তাদের কাজ করে না দেওয়ায় অধিকাংশ ভূক্তভোগী ভিড় জমাচ্ছে নায়েবের সাথে সাক্ষাৎ করতে। এ বিষয়ে নায়েবের মুঠো ফোনে কল করেও কল রিসিভ না করায় বিবৃতি যানা সম্ভব হয়নী।
উল্লেখ্য ২০১৫ সালে চাকুরির বদলী জনিত সূত্রে বেনাপোল ভূমি অফিসে যোগ দেয় দূর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তা সাঈদ মোল্যা। দীর্ঘ বছর ধরে নানা অনিয়ম দূর্নীতির মাধ্যমে নিজের আখের গোছাতে গিয়ে বেনাপোল ভূমি অফিসকে জিম্মিদশায় পরিনত করেছে এই বিতর্কিত নায়েব। ঘুস না দিলে কাজ হয়না বেনাপোল ভূমি অফিসে, ভূমি সেবা গ্রহীতাদের পেতে হয় হয়রানী। ভূক্তভোগীরা অনতিবিলম্বে বিতর্কিত কর্মকর্তার অপসারন চেয়ে বেনাপোল ভূমি অফিসের প্রকৃত সেবা পাওয়ার ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply