মোঃ শাহিন আলম পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলায় ব্যাঙের ছাতার মতন গরে উঠেছে প্যাথলজী ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার।দুমকি উপজেলা সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার জন্য এখানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থাকলেও শু-চিকিৎসার দেয়ার লক্ষ্যে যে সকল চিকিৎসক এখানে থাকার কথা তারা কাগজে কলমে উপস্থিত থাকলেও সরজমিনে অনেকেই দেখা মিলেনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ।
জানা যায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর চিকিৎসকগন অতিরিক্ত টাকার জন্য ডিউটি অবস্থায় সেবা প্রধান করছে ব্যাঙের ছাতার মতন গরে উঠা প্যাথলজী ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোতে, আবার কেউ কেউ রয়েছেন অন্যত্র কোন স্থানে,কিন্তু সময় মতন বেতন তোলা হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
ডাক্তারদের অনুপস্থিত থাকার কারনে স্থানীয় মানুষদের চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে স্থানীয় কসাই নামক প্যাথলজীক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোতে। আর অনভিজ্ঞ হাতুড়ে ডাক্তার এ সকল চিকিৎসালয় সাধারন মানুষ এসে ভোগান্তিতে পড়ছে প্রতিনিয়ত।
সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছে দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ সৈয়দ আতিকুল ইসলাম (৩৩) নামে এক ব্যাক্তি গত ২৪/০৯/২১ তারিখে প্রচন্ড পেট ব্যাথা নিয়ে জরুরি বিভাগে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোঃ সিরাজুল ইসলাম তাকে কিছু ওষুধ দিয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাম পরিক্ষা করতে বলেন । পপুলার প্যাথলজী ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এ নিয়মিত চিকিৎসক এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাঃ মিজানুর রহমান, রোগী সৈয়দ আতিকুল ইসলাম কে পরিক্ষা করে রিপোর্ট দেয় তার পেটে বাম কিডনীতে পানি জমেছে । পপুলার প্যাথলজী ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর রিপোর্টে মুহুর্তের মধ্যে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন আতিকুল ইসলাম।
পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর চিকিৎসক সিরাজুল ইসলামের পরামর্শ অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাঃ গোলাম মাহামুদ সেলিমের কাছে গেলে তিনি পূনঃ পরীক্ষা শেষে ব্যবস্থাপত্র দেখে জানান আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ভুল তথ্য দিয়েছেন।
সার্বিক বিষয় এ পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর পরিচালক মোঃ জাকির প্রতিবেদককে বলেন আমাদের দেয়া রিপোর্ট সঠিক আর এ রিপোর্ট একজন চিকিৎসক দিয়েছেন এটা ভুল হবার মতন না। তবে বিষয়টি আমি শুনেছি এটা দুঃখজনক, এসময় তার এ ক্লিনিকের সরকারি ও স্থানীয় সিভিল সার্জন এর কোন অনুমতি পত্র দেখাতে পারেন নি।
ভুল রিপোর্ট দেয়ার বিষয়ে চিকিৎসক ডাঃমিজানুর রহমান মাহাবুব বলেন আমি রিপোর্টে উল্লেখ করেছি যে বাম কিডনিতে পানির মতন দেখেছি আর তাই রিপোর্টে উল্লেখ করেছি মাত্র, তবে আমার সিনিয়র ও শিক্ষক অধ্যাপক ডাঃ গোলাম মাহমুদ সেলিম কেনো এ রিপোর্ট দিয়েছে তা আমার জানা নেই, তিনি এ তথ্য দিতে পারেনা বলে জানান।
পাশাপাশি আরও একটি অভিযোগ উঠে জোহরা (১৮) নামের একটি মেয়ে সে দুই দিন যাবত জ্বর অনুভব করে তিনি ডাক্তার দেখাতে যান পটুয়াখালী বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার ডঃ মিজানুর রহমান মাহাবুব ব্লাড টেস্ট করতে বলে। পপুলার প্যাথলজী ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, রুগী জোহরা কে ব্লাড টেস্ট করেন পপুলার প্যাথলজী ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক মোঃ জাকির হোসেন তার রিপোর্টে আসে তার টাইফয়েড হয়েছে। জোহরার মার সন্দেহ হলে পুনঃ পরিক্ষা করে মেডি কেয়ার ডক্টর -স চেম্বার এন্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে। সেখানের রিপোর্টে আসে তার টাইফয়েড হয়নি। জোহরা বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছেন দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
দুমকিতে স্বাস্থ্য সেবার নামে হয়রানি নতুন কিছু নয় বলে একাধিক ব্যাক্তি বলেন অতিরিক্ত টাকার লোভে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর চিকিৎসকদের নিয়মিত উপস্থিত না থাকায় প্যাথলজীগুলোর প্রতারণার শিকার হচ্ছে এ উপজেলার সাধারণ মানুষ।
সাধারণ মানুষদের দাবি ভুল রিপোর্ট প্রধান করী ডাক্তার এবং পপুলার প্যাথলজী ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ ব্যাঙের ছাতার মতন গড়ে উঠা সকল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিরূদ্ধে দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহন করা উচিত তা না হলে যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনার সৃষ্টি হতে পারে বলে তারা মনে করেন।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply