নিজস্ব প্রতিনিধিঃআনোয়ার হোসেন। বেনাপোল স্হল বন্দরে বিগত দেড় বছর ধরে বন্ধ থাকার পর আবাও নতুন চুক্তিতে আমদানি পণ্যবাহী ট্রাক স্ক্যানিং মেশিনটি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এতে করে আমদানি পণ্যের সাথে চোরাচালান রোধ পণ্য প্রবেশেসহ নানা অনিয়ম বন্ধ হবে যাবে বলে মনে করছেন কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
গত সোমবার সকাল থেকে বেনাপোল বন্দরে কাস্টমসের হয়ে সন্দেহভাজন পণ্যবাহী ট্রাক গুলি স্ক্যানিং মেশিনে কার্যক্রম চালু করতে দেখা যায় ঠিকাদার ফাইবার অ্যাসোসিয়েটস নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে।
জানা যায়, বাংলাদেশ-চায়না বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে বিগত তিন বছর আগে ৪টি স্ক্যানার মেশিন বাংলাদেশকে অনুদান হিসেবে দেয় চীন সরকার। ২০১৮ সালের ২৭ এপ্রিল বেনাপোল স্থল বন্দরে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশদ্বারে এর একটি মেশিন বসানো হয়। অত্যাধুনিক মেশিনটি পণ্যবাহী ট্রাকে আসা রাসায়নিক, মাদক সহ, অস্ত্র শনাক্ত করতে সক্ষম বলে যানাগেছে।
মেশিনটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ফাইবার অ্যাসোসিয়েটস বিনামূল্যে দুই বছর পরিচালনা করেন। কিন্তু পরবর্তীতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ টেন্ডারের মাধ্যমে চুক্তিতে না আসায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। এবার নতুন করে আবার প্রতিষ্ঠানটির সাথে চুক্তি হলে স্ক্যানিং মেশিন চালু হয়।
বেনাপোল স্হল বন্দরের আমদানি-রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক বলেন, স্ক্যানিং মেশিনের কার্যক্রম চালু হওয়ায় ব্যবসায়ীরা খুশি। নিরাপদ আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে স্ক্যানিং মেশিনে কার্যক্রম খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এতে দুর্নীতি বাজরা যেমন অনিয়ম করতে পারবে না, তেমনি সরকারের রাজস্ব আয়েও স্বচ্ছতা বাড়বে।
বেনাপোল স্হল বন্দরের উপপরিচালক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল বলেন, কিছু দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী আছেন যারা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে অনিয়মের চেষ্টা করে থাকেন। সেক্ষেত্রে বন্দরে স্ক্যানিং মেশিনটি চালু হওয়াতে আমরাও অনেকটা নিশ্চিন্তে থাকতে পারছি। এতে বাণিজ্যে স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা বাড়বে।
ফাইবার অ্যাসোসিয়েটসের ইঞ্জিনিয়ার শপু বড়ুয়া জানান, কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সাথে নতুন করে দুই’বছরের চুক্তিতে স্ক্যানিং মেশিনটি গত সপ্তাহে উদ্বোধন হয়। কাস্টমসের দিক নির্দেশনায় গতকাল থেকে বন্দরে পণ্যবাহী ট্রাকে স্ক্যানিংমেশিনের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply