মাহমুদুল হাসান, যশোর জেলা প্রতিনিধি:: যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিয়াডাঙ্গার ইস্রাফিল হত্যাকান্ডে জড়িত ও হত্যা মামলার ২ আসামীকে গ্রেফতার করেছেন যশোর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) বিকালে আশুলিয়া থানাধীন নয়ারহাট ট্রাক টার্মিনাল হতে প্রথমে মেহেদী হাসানকে ও পরে তার দেওয়া তথ্যে কাশিয়াডাঙ্গা গ্রাম হতে জনি (২১ কে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। এ সময় আসামীর স্বীকারোক্তি মোতাবেক হত্যা কাজে ব্যাবহৃত ১টি কোদাল ও ১ পাতা ঘুমের ঔষধ উদ্ধার করে অভিযানে থাকা সদস্যরা। গ্রেফতারকৃতরা হলো যশোর জেলার শার্শা থানাধীন রাড়ীপুকুর গ্রামের মৃত শাহজাহান মীরের ছেলে মেহেদী হাসান (২৯) ও একি উপজেলার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে জনি (২১)।
বৃহষ্পতিবার জেলা পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি হতে জানা যায়, গত ২৭ আগস্ট ২০২১ ইং তারিখে কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে শ্রমিক ইস্রাফিল নিঁখোজ হয়। এ ঘটনায় ২৯ আগস্ট তার স্ত্রী রোজিনা বেগম শার্শা থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন। পুলিশ সুপার জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্বদেন। ডিবির অফিসার ইনচার্জ রুপন কুমার সরকারের তত্বাবাধনে জিডির তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মফিজুল ইসলাম ১লা সেপ্টেম্বর সঙ্গীয় ফোর্স সহায়তায় সন্ধিগ্ধ নুর আলম, মর্জিনা ও মোশারফ হোসেনকে আটক করে ঐ গ্রামের মোড়ল বাড়ী কবরস্থান থেকে ইস্রাফিলের পুতে রাখা লাশ উদ্ধার করেন।
এ সংক্রান্তে খুন হওয়া ইস্রাফিলের স্ত্রী রোজিনা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।শার্শা থানার মামলা নং-২ ও তাং-১-৯-২০২১। প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা স্বীকার করেন হত্যার পর ইস্রাফিলের পরিহিত লুঙ্গি, গেীঞ্জ, গামছা, সেন্ডেল ও মোইল ফোন আসামী নুর আলমের বাড়ীর চুলায় প্রেট্রোল দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। জায়গাজমির বিবাদ, পরকীয়া সংক্রান্ত ঘটনা ছাড়াও একই এলাকার ব্যাঙক কর্মচারী রুহুল কুদ্দুসের বাড়িতে আসামী নুর আলম, মেহেদী, আজিজ ও জনি জড়িতের বিষয়টি ইস্রাফিলকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয় বলে আসামী মর্জিনা স্বীকারোক্তি দেয়।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply