দৈনিক অধিকারের ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা প্রতিনিধি এস. এম. মিজানুর রহমান মজনু সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন। এরপর দীর্ঘ ছয় মাসের চিকিৎসায় বর্তমানে তিনি কিছুটা সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এরই মধ্যে নিজের অসুস্থতাকে পাশ কাটিয়ে খবর সংগ্রহে মাঠে নেমে গেছেন এই সাংবাদিক।
গত বছরের ১ জুলাই দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে সংবাদ সংগ্রহ ও বিভিন্ন কাজ শেষে তিনি ভালুকা থেকে মোটরসাইকেল যোগে বাড়িতে ফিরছিলেন। যাত্রাপথে থানা মোড় টু পনাশাইল সড়কে চেয়ারম্যান বাড়ির সামনে আসলে মোটরসাইকেলটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এ সময় অন্য পথচারীরা ঘটনাটি দেখে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান।
এরপর সেদিন রাতেই খবর পেয়ে আহত সাংবাদিকের সহকর্মী এবং পরিবারের লোকজন হাসপাতালে ছুটে গিয়ে তার যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। সুস্থ হওয়ার পর সাংবাদিক মজনু বলেন, আমি অসুস্থ থাকাকালীন সময়ে স্থানীয় সাংবাদিক মাহমুদুল হাসান ফোরাত, আশিকুর রহমান ইমরান, মো. আনোয়ার হোসেন তরফদার, সুজিত মিত্র এবং সাজ্জাদুল আলম খান সুমন আমার জন্য অনেক করেছেন।
তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনার পরদিন ভালুকা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. কামরুল হাসান পাঠান কামাল, সহ সভাপতি মো. আতাউর রহমান তরফদার, সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান সুমন, কার্যকরী সদস্য, শিক্ষক ও সাংবাদিক মো. রফিকুল ইসলাম রফিক, ডিজিটাল হাসপাতালে পরিচালক মো. শরিফুল আলম খান, সাংবাদিক মো. মুখলেসুর রহমান মামুন আমাকে দেখতে হাসপাতালে যান।
সাংবাদিক মজনু আরও বলেন, দীর্ঘ ছয় মাসের চিকিৎসা শেষে আত্মীয়-স্বজনদের সহযোগিতায় আমাকে বাসায় ফিরিয়ে নেওয়া হয়। এর কিছুদিন পর থেকে আমি যখনই দেখি যে কিছুটা হাটতে পারছি; তখনই সংবাদ সংগ্রহে মাঠে নেমে পরি।
স্থানীরা জানান, তিনি (সাংবাদিক এস. এম. মিজানুর রহমান মজনু) স্বাভাবিকভাবে এখনো হাঁটতে না পারলেও অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। তাছাড়া রাজনীতিবিদসহ অনেকেই তাকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছেন। বিশেষ করে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক বুয়েটের ইঞ্জিনিয়ার মো. মহিউদ্দীন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আলহাজ্ব এম. এ. ওয়াহেদ, সালাহ্ উদ্দিন সরকার, ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মো. খোকন হোসেন ঢালী, মো. আফজাল হোসেন মণ্ডল, বর্তমান উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইফতেখার আহম্মেদ সুজন, কেবিএম তারেকুজ্জামান মিষ্টি, ভালুকা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আক্কাছ আলী, সাবেক কোষাধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান ফজলু, দপ্তর সম্পাদক আবুল বাশার শেখ, সাংবাদিক সফিউল্লাহ আনসারী, সাংবাদিক মো. সাইফুল ইসলাম তাকে বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করেন।
সাংবাদিক এস. এম. মিজানুর রহমান মজনু বলেন, মহান রাব্বুল আলামীনে দয়ায় ও আমার মায়ের দোয়া এবং স্ত্রীর সেবায় স্বাভাবিকভাবে কিছুটা হাঁটতে চলতে পারছি।
দৈনিক অধিকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, সাবেক মফস্বল সম্পাদক সালমান সাকো, মো. ইকরামুল হক নিলয় এবং বর্তমান মফস্বল সম্পাদক কে এইচ আর রাব্বীসহ পত্রিকার সকল সদস্যের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। সকলের দোয়া ও ভালবাসায় এখন কিছুটা স্বাভাবিকভাবে জীবন-যাপন করতে পারছি।
সাংবাদিক মজনু আরও বলেন, দৈনিক অধিকারের প্রধান নির্বাহী ও সম্পাদক শ্রদ্ধেয় মো. তাজবীর হোসেইন সজীব এবং সহযোগী সম্পাদক গোলাম যাকারিয়া বসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। দুর্ঘটনার পরবর্তী সময়ে প্রতিনিয়ত তারা আমার খোঁজখবর নিয়েছেন। বিশেষ করে সহযোগী সম্পাদক গোলাম যাকারিয়া ভাই আমার সুস্থতা কামনা করে সংবাদ সংগ্রহ থেকে বিরত থাকা ও বাড়িতে বিশ্রামে থাকতে বলেছিলেন। এছাড়াও সব সময়ই তিনি আমার খোঁজ খবর নিয়েছেন।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply