মুমিনুল হুদা চৌধুরী সোহাইল, জেলা প্রতিনিধি কক্সবাজার। ২৪মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ঃ৩০ ঘটিকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ডাঃ শামসুল হুদাকে অতর্কিত ভাবে হামলা করেন স্থানীয় সন্ত্রাসী তিন ভাই। তারা হলেন কক্সবাজার সদর উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়ন এর পাহাঁশিয়া গ্রামের মৃত মোস্তফা কামালের অষ্টম স্ত্রীর মধ্যে দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান ১,আঙ্গুলকাটা নিয়াজু ২, একরাম ৩, পুতুইয়া।
প্রাপ্ত সূত্র মতে জানা যায় তারা বিভিন্ন রকম সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, নারী ব্যবসা চুরি-ডাকাতি গাজা ব্যবসা, ইয়াবা ব্যবসা সাথে জড়িত। আঙ্গুল কাটা নিয়াজু ইসলামাবাদ ইউনিয়নের পাহাঁশিয়াখালী দোকানে গাজা, ইয়াবা সহ মাদকদ্রব্য বিক্রিয় ও ৬টির বেশী বিয়ে করে তাদের দ্বারা পতিতাবৃত্তি করার কারনে স্থানীয় মেম্বার আব্দু রাজ্জাক জনসম্মুখে বিচারে বেশ কয়েকবার মারধর করেন। কিছুদিন আগে সৌদি প্রবাসী তার চাচা আমানুল হক কে মারধর করে ৫০ বছরের ভুগদখলিয় জায়গা জুরদখল করে বর্তমানে ঐ স্থানে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের বাড়ির পাশে মুদির দোকান স্থাপন করে এবং প্রকাশ্যে ইয়াবা ব্যবসা শুরু করেন।
তাদের ইয়াবা বিক্রয় বাধাদানকারী হিসেবে ও দীর্ঘ শত্রুতার জের ধরে তারা প্রতিদিন বীর মুক্তিযোদ্ধার নামে স্বনামে বেনামে প্রকাশ্যে গালিগালাজ করেন এবং আজ দুপুর তাদের চাচার কাছ থেকে কেড়া নেওয়া জায়গাটির মত প্রকাশ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার শামসুল হুদা বাড়ি দখলে নিতে নিজ বসত ভিটা হতে উচ্ছেদ করার হীন মানসিকতা নিয়ে তারা এ-ই হামলা পরিচালনা করেন এবং ৩০বছর বয়সি বিয়ে করা ৭নং বৌকেও তাড়ীনো ভবঘুরে পুতুইয়া বীরমুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের প্রকাশ্যে প্রাণনাশের ও হাত কেটে নেওয়ার হুমকি দেন। নিয়মিত পতিতালয় যাওয়া একরাম কমান্ডারকে অশীল গালিগালাজ সহ গলা ধাক্কা দিয়ে পরে কৌশলে কমান্ডার কে সমাজে হেয় করার কুমানসে ভিডিও করে ফেইজ বুকে ছেড়ে দেন।
তারা তিন ভাইয়ের সন্ত্রাসী কার্যকলাপে পুরো গ্রামবাসী অতিষ্ঠ হয়ে জীবন যাপন করলেও তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস কারো নেই। যার কারনে তাদের সাহস দিন পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি আতঙ্কে রয়েছেন কারন যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের আশংকা রয়েছে। তাই সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রশাসনের প্রতি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply