মহান আল্লাহ সমগ্র বিশ্বজগতের সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা, লালনকর্তা ও পালনকর্তা। তিনি সমুদয় সকল কিছুর মালিক ও সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী। সত্তা, স্বকীয়তা, গুণ, কর্ম ও ক্ষমতায় তাঁর সমপর্যায়ের কেউই নেই, তার কোন শরিক নেই। দৃশ্য ও অদৃশ্য জগতের সব কিছুই তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন।
মহান আল্লাহ পবিত্র আল কোরআনে বলেন, তিনিই আল্লাহ, যিনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই; তিনি দৃশ্য ও অদৃশ্যকে জানেন, তিনি পরম দয়ালু, অসীম দাতা। তিনিই আল্লাহ তিনি ব্যতিত কোনো উপাস্য নেই। তিনিই একমাত্র মালিক, পবিত্র, শান্তি ও নিরাপত্তাদাতা, আশ্রয়দাতা, পরাক্রান্ত, প্রতাপান্বিত, মাহাত্মশীল। তারা যাকে অংশীদার করে আল্লাহ তা থেকে পবিত্র। তিনিই আল্লাহ, স্রষ্টা, উদ্ভাবক, রূপদাতা, উত্তম নামগুলো তারই। নভোমণ্ডলে ও ভূমণ্ডলে যা কিছু আছে, সবই তার পবিত্রতা ঘোষণা করে। তিনি পরাক্রান্ত প্রজ্ঞাময়।
(সুরা আর হাশর, আয়াত-২২ থেকে ২৪)
আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোন উপাস্য নেই, তিনি চিরঞ্জীব, সর্বদা রক্ষণাবেক্ষণকারী। তাঁকে তন্দ্রা ও নিদ্রা স্পর্শ করে না। আকাশমন্ডলে ও ভূমন্ডলে যা কিছু আছে, তাঁরই। কে সেই ব্যক্তি যে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর নিকট সুপারিশ করে? তিনি লোকদের সমুদয় প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য অবস্থা জানেন। পক্ষান্তরে মানুষ তাঁর জ্ঞানের কোনকিছুই আয়ত্ত করতে সক্ষম নয়, তিনি যে পরিমাণ ইচ্ছে করেন সেটুকু ছাড়া। তাঁর আসন আকাশ ও পৃথিবী পরিবেষ্টন করে আছে এবং এ দুয়ের রক্ষণাবেক্ষণ তাঁকে ক্লান্ত করে না, তিনি উচ্চ মর্যাদাশীল, মহান।
(সুরা আল-বাকারাহ, আয়াত-২৫৫)
মানবজাতির প্রতি মহান আল্লাহর নির্দেশনা, তোমরা আমার শ্রেষ্ঠত্ব ও কৃতজ্ঞতা ঘোষণা করো। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ বলেন, তোমরা আমাকে স্মরণ করো, আমিও তোমাদের স্মরণ করব। আর তোমরা আমার প্রতি কৃতজ্ঞ হও এবং অকৃতজ্ঞ হয়ো না।
(সুরা আল বাকারাহ, আয়াত-১৫২)
আল্লাহতায়ালা বলেন, তিনি আল্লাহ, যিনি সাত আসমান এবং অনুরূপ যমীন সৃষ্টি করেছেন; এগুলোর মাঝে তাঁর নির্দেশ অবতীর্ণ হয়, যেন তোমরা জানতে পার যে, আল্লাহ সর্ববিষয়ে ক্ষমতাবান এবং আল্লাহর জ্ঞান সবকিছুকে বেষ্টন করে আছে। (সুরা আত-তালাক্ব, আয়াত-১২)
আল্লাহতায়ালা বলেন, আর আমি জিন ও মানুষকে কেবল এজন্যই সৃষ্টি করেছি যে, তারা আমার ইবাদত করবে। আমি তাদের কাছে কোন রিজিক চাই না; আর আমি চাই না যে, তারা আমাকে খাবার দিবে। নিশ্চয় আল্লাহই রিজিকদাতা, তিনি শক্তিধর, পরাক্রমশালী। (সুরা আয-যারিয়াত, আয়াত-৫৬থেকে৫৮)
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট ইসলামই (শান্তিই) হচ্ছে একমাত্র মনোনীত দ্বীন বা ধর্ম (আনুগত্যের বিধান বা জীবন ব্যবস্থা)।
(সুরা আল ইমরান, আয়াত-১৯)
আল্লাহ বলেন, কেউ ইসলাম বা শান্তি ব্যতীত অন্য কোনো দ্বীন বা ধর্ম (আনুগত্যের বিধান বা জীবন ব্যবস্থা)। গ্রহণ করতে চাইলে তা কখনো গ্রহণ করা হবে না। (সুরা আল ইমরান, আয়াত ৮৫)
ইসলামের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে শান্তি। এবং মুসলিম এর আভিধানিক অর্থ হচ্ছে আনুগত্য, আত্মসমর্পণ, নিঃশর্ত হুকুম পালন করা। ইসলামের পারিভাষিক অর্থ হলো ইসলাম আল্লাহ প্রদত্ত আনুগত্য ও আত্মসমর্পণের শান্তির বিধান। ইসলাম সকল মানুষের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত শান্তির জীবন যাপন পদ্ধতি। ইসলাম হলো সকল মানবজাতির জন্য সামগ্রিক জীবনের শান্তি, কল্যাণ ও সাফল্যের পথ।
পবিত্র আল কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামের (শান্তির) অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও এবং শয়তানের পদাংক অনুসরণ করো না। নিশ্চিত রূপে সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। (সুরা আল বাকারা, আয়াত-২০৮)
বিশ্বাসী আত্মসমর্পণকারীরা কিসের ভিত্তিতে জীবন চালাবেন এবং কোনটি তাদের জীবন নির্বাহের পথ, সে বিষয়ে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তাই তাঁর আগমনের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল মানুষকে সহজ সরল পথ দেখানো। পবিত্র আল কুরআনে আল্লাহ বলেন, নিশ্চয় আপনি প্রেরিত রাসুলগণের একজন। সরল পথে প্রতিষ্ঠিত। (সুরা ইয়াসিন, আয়াত ৩-৪)
বিদায় হজের ভাষণে রাসুল (সাঃ) এর প্রতি সবিশেষ ঐশী বাণী ছিল দ্বীন বা ধর্ম হিসেবে ইসলামের (শান্তির) পরিপূর্ণতা নিয়ে। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে (ধর্মকে) পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং তোমাদের ওপর আমার নেয়ামত পূর্ণ করলাম; আর তোমাদের জন্য ইসলামকে (শান্তিকে) দ্বীন বা ধর্ম হিসেবে নির্বাচন করলাম। (সুরা মায়েদা, আয়াত-৩)
মহান আল্লাহ মানব কল্যাণে ও তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের পথ হিসেবে পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান “ইসলাম” বা “শান্তি” কে নির্বাচন করেছেন। ইসলাম বা শান্তি সকল প্রকার সমস্যা ও জটিলতামুক্ত এবং সহজতর একটি দ্বীন বা ধর্ম অথবা পথ। মহান আল্লাহ বলেন, “আল্লাহ তোমাদের ব্যাপারে সহজতা চান, জটিল বা কঠিনতা চান না।” (সুরা আল বাকারা, আয়াত-১৮৫)
ইসলাম বা শান্তি উদার ও মানবিকতাসম্পন্ন পূর্ণাঙ্গ দ্বীন বা ধর্ম অথবা পথ। কোনোরূপ সংকীর্ণতা বা বাড়াবাড়ির জায়গা ইসলাম বা শান্তির মধ্যে নেই। মানব জাতির বৃহত্তর কল্যাণের নিমিত্তে ইসলাম বা শান্তির আগমন। অন্ধকার ও জাহেলিয়াতের পথ থেকে মুক্ত করে মানব জাতিকে সত্যের দিক নির্দেশনা দিতে মহান আল্লাহ ইসলাম বা শান্তিকে নির্বাচন করেছেন। মহান আল্লাহ বলেন, তিনি দ্বীনের বা ধর্মের কিংবা পথের ব্যাপারে তোমাদের উপর কোনো সংকীর্ণতা বা কঠোরতা চাপিয়ে দেননি।’ (সুরা হজ, আয়াত ৭৮)
সকল প্রকার বিভ্রান্তি মুক্ত উদার ও মধ্যমপন্থাই হলো শ্রেষ্ঠতম পথ। মহান আল্লাহ এই দ্বীন বা ধর্ম অথবা পথকে একটি মধ্যমপন্থি দ্বীন বা ধর্ম অথবা পথ বানিয়েছেন। আর ইসলাম বা শান্তির অনুসারীগণ হলো মানবকূলের মধ্যে একমাত্র মধ্যমপন্থি ও সত্য অন্বেশনকারী জাতি। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর এভাবে আমি তোমাদেরকে এক মধ্যমপন্থি জাতিতে পরিণত করেছি, যাতে তোমরা মানবজাতির ওপর সাক্ষী হও এবং রাসুল তোমাদের ওপর সাক্ষী হতে পারেন। (সুরা আল বাকারা, আয়াত-১৪৩)
পৃথিবীর সকল জড়বস্তু ও জীববস্তু আল্লাহর কাছে সমর্পণ করেছে অথবা ইসলাম বা শান্তির উপর রয়েছে। এরপরেও যারা অবিশ্বাস করে ও ইসলাম বা শান্তি বাদ দিয়ে অন্য পথ অন্বেশন করে তাদের প্রতি ধিক্কার জানিয়ে মহান আল্লাহ বলেন, তারা কি আল্লাহর দ্বীনের (ধর্মের বা পথের) পরিবর্তে অন্য দ্বীন (ধর্ম বা পথ) তালাশ করছে? অথচ আসমান ও জমিনে যা কিছু রয়েছে স্বেচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক, তাঁরই অনুগত এবং তাঁর নিকটই ফিরে যাবে। (সুরা আল ইমরান, আয়াত-৮৩)
মহান আল্লাহ বলেন, তোমরা হলে সর্বোত্তম জাতি, যাদেরকে মানুষের জন্য বের করা হয়েছে। তোমরা ভাল কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে বারণ করবে, আর আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস আনবে। (সুরা আল ইমরান, আয়াত-১১০)
মহান আল্লাহ সমগ্র সৃষ্টিকুলের মালিক এবং তিনি হজরত মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)কে সৃষ্টিকুলের জন্যই রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছেন। মহান আল্লাহ বলেন, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি সৃষ্টিকুলের মালিক। (সুরা আল-ফাতিহা, আয়াত ২)। আল্লাহ বলেন, তিনি বরকতময়, যিনি তাঁর বান্দার উপর ফুরক্বান নাযিল করেছেন, যেন সে জগতবাসীর জন্য সতর্ককারী হতে পারে। (সুরা আল-ফুরক্বান, আয়াত-১)
দুনিয়ার প্রথম নবী ও মানুষ হযরত আদম (আঃ) থেকে শুরু করে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আগ পর্যন্ত সকল নবীই ইসলাম বা শান্তি প্রচার করেছেন। তবে সময়ের সাথে সাথে মানুষ ইসলাম বা শান্তিকে বিঘ্নিত বিকৃত করেছে। সেজন্য ইসলাম বা শান্তিকে সঠিভাবে প্রচারের জন্য রাসুল হযরত মোহাম্মদ (সঃ) শেষ নবী বা বার্তাবাহক হিসেবে প্রেরণ করা হয় এবং মানব জাতির কল্যাণের জন্য তার আবির্ভাব হয়। দুনিয়ায় প্রেরিত সকল ঐশী কিতাবের মূল বিষয়গুলো পবিত্র আল কোরআনে উল্লেখ রয়েছে এবং আল কোরআন সর্বশেষ ঐশী গ্রন্থ। যে ইসলাম বা শান্তি কবুল (গ্রহণ ) করে তাকে মুসলিম (আল্লাহর অনুগত বা আত্মসমর্পিত) বলে।
মহান আল্লাহ বলেন, “বলুন, ইহাই আমার পথ, আমি ও আমার অনুসারীগণ ডাকি আল্লাহর দিকে জাগ্রত জ্ঞান সহকারে। আল্লাহ পবিত্র এবং আমি শিরককারীদের অন্তর্ভুক্ত নই। (সুরা ইউসুফ, আয়াত-১০৮)
মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আহ্বান করো তোমাদের মালিকের পথে, জ্ঞান এবং সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে।’ (সুরা-১৬ নাহল, আয়াত: ১২৫)।
মহান আল্লাহ বলেন, “আল্লাহ সাক্ষ্য দেন যে, তিনি ছাড়া কোনো (সত্য) ইলাহ নেই, আর ফেরেশতা ও জ্ঞানীগণও (সাক্ষ্য দেন) ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত হয়ে তিনি ছাড়া কোনো (সত্য) ইলাহ নেই, তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (সুরা আল ইমরান, আয়াত-১৮)
পবিত্র কুরআন গোটা মানব জাতিকে বিশ্বাসী এবং অবিশ্বাসী দুই শ্রেণিতে বিভক্ত করেছে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ” তিনি যাকে চান বিপথগামী করেন এবং যাকে চান সঠিক ও সোজা পথে পরিচালিত করেন” (সুরা আল আনয়াম, আয়াত-৩৯)।
মহান আল্লাহ বলেন, সুতরাং আল্লাহ যাকে সঠিক পথ দেখাতে চান, তার বক্ষকে ইসলাম বা শান্তির জন্যে প্রশস্ত করে দেন, এবং যাকে পথভ্রষ্ট করতে চান, তার বক্ষকে সঙ্কীর্ণ-সঙ্কুচিত অশান্তি করে দেন, যেন সে আকাশের মধ্যে আরোহণ করছে, এইভাবেই যারা বিশ্বাস করে না তাদেরকে আল্লাহ অপবিত্র রাখেন। আর এই সঠিক পথ হল তোমার মালিকের সরল পথ; আমি আয়াত সমূহ বিশদভাবে বর্ণনা করেছি সেইসব লোকদের জন্য যারা উপদেশ গ্রহণ করে। তাদের জন্যেই তাদের মালিকের নিকটে রয়েছে শান্তির আবাস এবং তিনি তাদের অভিভাবক, তাদের কর্মের কারণে। (সুরা আল-আন‘আম, আয়াত ১২৫-১২৭)
পবিত্র আল কুরআনে বারবার মানুষের অন্তর ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কাজসমূহকে হিদায়াত ও গোমরাহীর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। অতএব, এখানে অন্তর ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কাজসমূহকে হিদায়াত পাওয়ার দাবীদার করা হয়েছে । হিদায়াতের মতো গোমরাহীকেও একইভাবে বলা যায়। মানুষের জীবনে ভালো কর্মসমূহ হিদায়াতের ফলাফল। ভালো কাজ যত বেশি হবে হিদায়াতও তত বেশি পাবে। এমনিভাবে অপবিত্র পাপ কাজ যত বেশি হবে গোমরাহীও তত বেশি হবে। কেননা আল্লাহ ভালো কাজ পছন্দ করেন, তাই সৎকর্মশীলকে হিদায়াত এ সফলতা দান করেন।
মহান আল্লাহ উত্তম, তাই তিনি উত্তম ও সৎকর্মশীলকে ভালোবাসেন। তাদের সৎকর্ম অনুযায়ী তিনি তাদের অন্তরসমূহকে তাঁর নিকটবর্তী করেন। আবার তিনি যেহেতু অসৎ কাজ ঘৃণা করেন, ফলে অসৎ কাজের পরিমাণ অনুযায়ী তিনি তাদের অন্তরসমূহকে তাঁর থেকে দূরে সরিয়ে দেন। মহান আল্লাহ বলেন, আলিফ-লাম-মীম। এই সেই কিতাব, যাতে কোন সন্দেহ নেই, মুত্তাকীদের জন্য হিদায়াত”।
(সূরা বাকারা, আয়াত – ১-২)।
পৃথিবীতে মানুষের চলার পথ দুটি। একটি হলো সরল সঠিক পথ। অপরটি গোমরাহীর পথ। এ দু’পথের যে কোনো পথে মানুষ পরিচালিত হতে পারে।
মহান আল্লাহ পবিত্র আল কোরআনে বলেন ” তারা সেখানে কখনও কোন দুঃখ-কষ্টের সম্মুখীন হবে না এবং কোনদিন সেখান থেকে তাদেরকে বের করে দেয়া হবে না” (সূরা হিজর,আয়াত – ৪৮)”।
আল কোরআনে আরো বলা হয়েছে, ” নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে তাদের আতিথেয়তার জন্য রয়েছে চিরস্থায়ী শান্তির আবাসস্থল। সেখানে তারা চিরকাল থাকবে, সেখান থেকে তারা স্থানান্তরিত হতে চাইবে না”। (সুরা আল কাহফ, আয়াত – ১০৭-১০৮)।
পবিত্র আল কোরআনে বলা হয়েছে,”নিশ্চয় অশান্তিময় আবাসস্থল অপেক্ষমান,সীমালঙ্ঘনকারীদের জন্য সেখানেই প্রত্যাবর্তনস্থল। সেখানে তারা চিরকাল অবস্থান করবে”। (সুরা নাবা, আয়াত – ২১-২৩)।
সুফি মোহাম্মদ আহসান হাবীব
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply