বর্তমান প্রজন্ম এই মিথ্যাবাদী ইতিহাস বিকৃতকারী প্রতারক সম্পর্কে জানেনা। দুরন্ত সত্যের সন্ধানে (দুসস) এর অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে এই দুর্নীতিবাজ প্রতারক মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতকারী জাতির পিতার খুনী ফারুক রশিদের অন্যতম সহচর এম.এ ওয়াদুদের লোমহর্ষক চিত্র। যে ইতিহাস থেকে বর্তমান প্রজন্মকে দূরে রেখে এম.এ ওয়াদুদ গংরা চাঁদপুর জেলায় আওয়ামীলীগের মধ্যে নিজেদের ভীত মজবুত করে নিয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনার পরিপন্থী এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতকারী সাবেক চাঁদপুর জেলা কমান্ডার, বঙ্গবন্ধুর খুনি ফারুক রশিদের সহচর, ফ্রিডম পার্টির সদস্য এম.এ ওয়াদুদ গংদের ৩(তিন) যুগের অধিক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, প্রতারণার আশ্রয়, মুক্তিযোদ্ধা যাচাই এর নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে অপকর্ম সহ বহুল আলোচিত ঘটনা সমূহ:
গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ সমূহঃ
১. ল্যাফটেনেন্ট পদবী ব্যবহার করে প্রতারণা।
২. এম.এফ. বাহিনীর যুদ্ধকালীন কমান্ডার দাবী করে প্রতারণা।
৩. মেঘনা অঞ্চল ‘K’ ফোর্সের আঞ্চলিক অধিনায়ক দাবি করে প্রতারণা।
৪. ১৯৭৪ সল থেকে ২০১৯ সল্ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকার সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি অর্থ আত্মসাৎ ও অবৈধ অস্র মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী মুক্তিলাভে তার ছোট ভাই এম.এ কুদ্দুস কে প্রেসিডেন্টের সাধারণ ক্ষমায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে প্রতারণা।
৫. বর্তমানে চাঁদপুর জেলা ইউনিট কমান্ডার দাবি করে প্রতারণা।
৬. মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নামে বরাদ্দকৃত সম্পত্তি নীজ নামে আত্মসাৎ।
৭. মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের দোকান বরাদ্দ ও ভাড়ার টাকা তশ্রুফ এবং মদ ও জুয়ার কার্যক্রম চালিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগ গণমাধ্যমে প্রকাশ।
৮. মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ায় কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ গণমাধ্যমে প্রকাশ।
৯. মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করে প্রতারণা।
১০. প্রতারণা ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে ফ্রিডম পার্টির লেবাস পরিবর্তন করে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করে দলীয় সন্ত্রাস, সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি ও ওয়াপদা সম্পত্তি দখল করার অভিযোগ।
মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনা পরিপন্থী সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ঘটনা সমূহঃ
১. স্বাধীনতা যুদ্ধের পর অসৎ উদ্দেশ্যে অস্র জমা না দেয়া।
২. ১৯৭৪ সালে রক্ষীবাহিনী কর্তৃক অস্র উদ্ধার সংক্রান্ত মামলায় ৫(পাঁচ) বছর সশ্রম কারাদণ্ড, মামলা নং ১৬, তারিখ ২৩/০৮/১৯৭৫
৩. ২০০৪ সালে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সন্ত্রাসী কার্যক্রম এর মাধ্যমে জীবন নাশের কারণে মামলা, নং ৮২/২০০৪ইং
৪. ২০০৫ ইং সালে নন্দলালপুর বাজারে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে মামলা, নং ৫৮/২০০৫ইং
৫. ১৯৮২ সালে হিন্দু পরিবারের একটি গ্রাম (ঋষিকান্দি) লুটপাট ও জ্বালিয়ে দেয়ার অপরাধে এম.এ ওয়াদুদ এর জাবৎজীবন কারাদণ্ড ও ১ লক্ষ টাকা জরিমানা , এম.এ কুদ্দুস ও এম.এ মালেক এর ১০ বছর জেল ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, মামলা নং ৬১/৮২, তাং ২৬/০৬/১৯৮২ (স্পেশাল মার্শাল ল কোর্ট) নং-৪ কুমিল্লা।
৬. ১৯৮৭-৮৮ সালে বঙ্গবন্ধুর খুনী ফারুক রশিদের সহচর ফ্রিডম পার্টিতে যোগদান ও মতলব থানা থেকে ফ্রিডম পার্টির সদস্য হিসেবে “কুড়াল” মার্কায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ।
৭. ১৯৮৮ সালের আগস্ট মাসে মেঘনা ধনাগোদা বেড়িবাঁধ ভেঙ্গেদিয়ে সাধারণ মানুষের যান মাল ও সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতিসাধন করার অপরাধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে এম.এ ওয়াদুদকে ১২০ দিন ও এম.এ কুদ্দুস কে ৯০ দিনের ডিটেনশনে কারারুদ্ধ করা হয়
৮. ১৯৮৮ সালে অবসর প্রাপ্ত মেজর বাশার এর অস্র ছিনতাই ও মামলা, নং জি আর ৫/৮৮, তাং ১২/০৬/১৯৮৮ইং
৯. ১৯৯৪ ইং সালে হিন্দু পরিবারের গ্রামটি পুনরায় উচ্ছেদ ও ভাঙচুর, সংখ্যালঘু ও ওয়াপদার সম্পত্তি দখল করার অপরাধে মামলা, নং ২৪, তাং ১১/০৯/১৯৯৪ইং
১০. চাঁদপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি এম. সফিউল্লাহ সাহেব কর্তৃক ফ্রিডম পার্টির সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা। মামলা নং জে.বি.শা/চাঁদ-১৮৩৪/৭-৯৬(১), তাং-১১/০৯/১৯৯৬ইং। এই মামলায় এম.এ ওয়াদুদ অন্যতম আসামী
সূত্র জেঃ বিঃ আঃ/চাঁদ ১৮৩৪/৭-৯৬(১) তারিখ ১১/০৯/১৯৯৬ইং ও এস.বি ঢাকার স্মারক নং ১২৫৩৯(২)/৬১-৭২/সাঃ তারিখ ১১/০৯/১৯৯৬ইং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি জনাব এম. সফিউল্লাহ সাহেবের দরখাস্ত।
জাতীয় সংসদের মাননীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা পান্না কায়সার গত ৮/৮/৯৬ইং দায়েরকৃত মামলা। গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যভিত্তিক জনাব এম.এ ওয়াদুদ বঙ্গবন্ধুর খুনী রশিদের সহচর হয়ে ফ্রিডম পার্টির সদস্য হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।
এখনই সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে এই সকল জাতীয় বেইমানদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর। এই এম.এ ওয়াদুদ গংরা আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশকারী। তারা মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী আওয়ামীলীগকে পুঁজিকরে নিজস্ব ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য নিজেদের আখের গুছিয়ে নিয়েছে।
বর্তমান প্রজন্মকে মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে। জানতে হবে যুদ্ধকালীন সময়ে কোন বীর মুক্তি যোদ্ধাদের ত্যাগের বিনিময়ে আজ বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব দেশে পরিণত হয়েছে।
১৯৭১ এর যুদ্ধকালীন সময়ে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার বীরত্বের ইতিহাস জানেনা বর্তমান প্রজন্ম। তিনি হলেন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল আলম রব,
একজন সাহসী বীর মুক্তিযোদ্ধা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক। যার নামে আতঙ্কে কেঁপে উঠতো পাক হানাদার বাহিনীর বুক। তিনি বীরত্বের সঙ্গে সিলেট অঞ্চলে যুদ্ধ করেন। তিনি সমসের নগর পাওয়ার হাউজ, মনু ব্রিজ, ফুলকি ব্রিজ ধ্বংস করে খ্যাতি অর্জন করেন।
পরবর্তীতে চাঁদপুর মতলব থানার আঞ্চলিক অধিনায়ক (মেঘনা অঞ্চল) এর দায়িত্ব পালন করেন। আশির দশক পর্যন্ত চাঁদপুর জেলা ইউনিট কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি চাঁদপুর জেলার সর্ব প্রথম মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিফলক ও চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কার্যালয় স্থাপিত করেন।
যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল আলম রব ব্যক্তি উদ্যোগে চাঁদপুর জেলার সকল স্তরের মুক্তিযোদ্ধাদের সার্বক্ষণিক সাহায্য সহযোগিতা করে আসছেন। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যানে মতলব উত্তরের মোহনপুরে মেঘনা নদীর তীরে মুক্তিযোদ্ধা ও চিকৎসাবঞ্চিত সাধারণ মানুষের জন্য একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে চলেছেন। এছাড়া তিনি প্রবাসে থেকেও একজন শিক্ষানুরাগী হিসেবে মতলব আরবান সোসাইটিটি প্রতিষ্ঠা করেন। এবং মতলব আরবান সোসাইটির মাধ্যমে মতলবের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করে আসছেন। এই মহান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা সরকার ঘোষিত মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা আদৌ গ্রহণ করেননি। তার যুদ্ধকালীন বীরত্বের ইতিহাস চাঁদপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মুখে মুখে জানা যাবে। এই যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধার সংস্পর্শে আসলে জানাযাবে চাঁদপুর জেলার মুক্তিযুদ্ধের আসল ইতিহাস।
আমাদের প্রতিনিধির সঙ্গে দুর্নীতিবাজ মিথ্যুক মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতকারী এম.এ ওয়াদুদ সম্পর্কে যুদ্ধকালীন সময়ের চাঁদপুর মতলব থানার আঞ্চলিক অধিনায়ক (মেঘনা অঞ্চল) এর দায়িত্বপ্রাপ্ত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল আলম রব বলেন, এম.এ ওয়াদুদ এর বিরুদ্ধে আমরা চাঁদপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধারা জামুকা তে একটি অভিযোগ দায়ের করি, এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাননীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মহোদয় তাকে বার বার ডাকেন। কিন্তু তিনি কালক্ষেপন করে গত ২৪ অক্টবর জামুকাতে হাজির হন, সেখানে তিনি ভাড়াকরে অমুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে এসে দল ভারী করেন। একপর্যায়ে আমাকে তুলে নেয়ার হুমকি দেন যাহার তথ্য আপনাদের প্রতিনিধির কাসে রয়েছে। তিনি আরো অভিযোগ করেন যে, এম.এ ওয়াদুদ তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস লিখেন আর এই স্ট্যাটাস দেখে বর্তমান প্রজন্মের কিছু নেতা এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে কমেন্ট করেছেন। তাদের কমেন্ট দেখে মনে হচ্ছে এই ইতিহাস বিকৃতকারী তার মিথ্যাকে চাপা দেয়ার জন্য কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর পায়তারা করছে। এই এম.এ ওয়াদুদ মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের সামনেও নিজের দুর্ধসের প্রমান দিয়ে গেছেন। তিনি মাননীয় মন্ত্রীর প্রশ্নের সদুত্তর দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এবং মাননীয় মন্ত্রীর সামনেই উদত্তপুর্ণ আচরণ করেন। যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল আলম রব বলেন তার আচরণ এবং তার ফেসবুক কমেন্টস কারীদের সম্পর্কে বলতে চাই, সকল প্রমান কাগজে কলমে এবং প্রশাসনিক দপ্তরের তথ্যের ভিত্তিতেই হবে, তিনি নতুন প্রজন্মদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা আসুন সত্য ও সঠিক তথ্য জেনে প্রতিবাদ করুন। মনে রাখবেন প্রতিবাদটা যেন হয় সত্যের।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply