নিজস্ব প্রতিবেদক : শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করা গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ভিসি খন্দকার নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েই তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শিগগিরই সাবেক ওই ভিসিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হবে। দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ভিসি নাসিরের বিরুদ্ধে ঘুষ, অনিয়ম, নিয়োগ–বাণিজ্য, কেনাকাটায় দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ খতিয়ে দেখবে সংস্থাটি। দুদক সূত্র জানায়, নাসির উদ্দিনের দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দুদক পরিচালক শেখ মোহাম্মদ ফানাফিল্ল্যাহকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

সূত্র আরও জানায়, সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়ে তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করেছে দুদক।

শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে ৩০ অক্টোবর পদত্যাগ করেছেন বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য খন্দকার নাসির উদ্দিন। তার বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়ে অধিকাংশ অভিযোগের সত্যতা পায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্ত কমিটি। তাকে উপাচার্যের পদ থেকে প্রত্যাহারের সুপারিশ করে ওই কমিটি।

নাসিরের বিরুদ্ধে নিয়োগ, ভর্তি ও কেনাকাটা থেকে শুরু করে একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা কাজে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ, বহিষ্কারসহ নানা ঘটনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। শুধু তা-ই নয়, উপাচার্যের মতো একটি সম্মানিত পদে থাকা খন্দকার নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির মত গুরুতর অভিযোগ নিয়েও গণমাধ্যমে সংবাদ হয়েছে।

উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে টানা আন্দোলনে নামেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন চলাকালে তাদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে। আন্দোলনের মুখে ৩০ অক্টোবর পদত্যাগ করেন ভিসি নাসির।