নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রগতি ভালো। প্রবৃদ্ধিতে ভারত পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। বাংলাদেশকে এই স্বীকৃতি প্রদান করে বিশ্বব্যাংক। তবে রপ্তানিতে ধস নামলে এই অগ্রগতি ধরে রাখা সম্ভব হবে না তাই রপ্তানি ব্যায় কমানোর পরামর্শও দিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর রেডিসন হোটেলে বিশ্ব ব্যাংকের ‘মুভিং ফরওয়ার্ড: কানেক্টিভিটি অ্যান্ড লজিস্টিকস টু সাসটেইন বাংলাদেশ’স সাকসেস’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশকালে রপ্তানি খাতকে আরো টেকসই, পরিবহন জটিলতা হ্রাস, সময় ও ব্যয় কমানোসহ অবকাঠামো উন্নয়নের পরামর্শ দেন বিশ্ব ব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি মার্সি টেম্বন।তিনি বলেছেন , বাংলাদেশ রপ্তানি প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় পরিবহন অবকাঠামোর দিক থেকে পিছিয়ে আছে। বাংলাদেশে বর্তমানে বিদেশি কোম্পানির বিনিয়োগ বাড়ছে। সে তুলনায় সাবলীল যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় রপ্তানি ব্যয় বাড়বে ফলে এর খারাপ প্রভাব অর্থনীতিতে বিস্তার লাভ করতে পারে।
সে কারণে রেল, জল ও স্থল সকল মাধ্যমেই পণ্য পরিবহন আরো সহজ ও সাবলীল করার মাধ্যমে রপ্তানির পুরোপুরি সুযোগ কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন বিশ্ব ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ম্যাটিয়াস হেরেরা ড্যাপে। স্বাগত বক্তব্যে টেম্বন বলেছেন , আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি প্রতিযোগিতা বাড়ার কারণে যে দেশের পণ্যের মূল্য কম সে দেশের পণ্যই বাজার দখল করতে পারছে।
রপ্তানির আগেই তীব্র যানজট এবং পরিবহন অব্যবস্থাপনার কারণে বাংলাদেশের পণ্যের দাম অনেক বেশি থাকে। ফলে দেশে পর্যাপ্ত উৎপাদন থাকলেও আন্তর্জাতিক বাজারে এ দেশের উৎপাদিত পণ্যের প্রতি আমদানিকারকদের অনাগ্রহের যথেষ্ট কারণ রয়েছে। তাই বিশ্ব বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে লজিস্টিক সাপোর্ট বাড়িয়ে পণ্যের ব্যায় কমাতে হবে।
রপ্তানি পণ্যের ক্ষেত্রে সহজ পরিবহন ব্যবস্থা, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ, বিনিয়োগ ও রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা করার মতো দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয় কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দেন টেম্বন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা মশিউর রহমান।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply