পাকিস্তানের শোষন-শাসন থেকে বাঙালি জাতিকে রক্ষা করার লক্ষ্যে ১৯৭০ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে জয়যুক্ত হয়েছে। এই জয়যুক্ত আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের নেতা সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে পাকিস্তানী সামরিক জান্তা ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ সারা বাংলাদেশে নিরস্ত্র জনগণের উপরে যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়। ইহার পর থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৫ শে মার্চ শেষ রাতে বাংলাদেশে স্বাধীনতা ঘোষণা করে। ঘোষণার পর নিরস্ত্র নিরীহ জনগণের পাশে অবস্থান নেন মহান ভারতের জনগণ, সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিান। ইহার পর ১৯৭১ সালের ৬ই ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
এই স্বীকৃতি দিবস পালন উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় গণতানিন্ত্রক লীগ ৬ই ডিসেম্বর ২০২৪ বিকাল ৪ ঘটিকায় দারুস সালাম আর্কেট মেঘনা ৪ পল্টন, ঢাকায় এক আলোচনা সভার আয়োজন করে।আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল।
বক্তব্য রাখেন জাসদ শাজাহান সিরাজ এর সভাপতি এম এ জব্বার, কনজারভেটিব পার্টির সভাপতি আনিসুর রহমান দেশ, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ সমাজসেবক আলহাজ্ব তালিবুর রহমান, বরিশাল বিভাগ সমিতির সদস্য নকিব হক, নারী নেত্রী এলিজা রহমান, শ্রমিক নেতা আমিনুল হক, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সহ-সভাপতি ফাতেমা খাতুন, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট ফারহানা ইয়াসমিন মনি ও দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন।
সভাপতির ভাষণে এম এ জলিল বলেন, ব্রিটিশদের তাড়িয়ে ১৯৪৭ সনের ১৪ই আগস্ট পাকিস্তানের জন্ম হয়। এই পাকিস্তানের পক্ষে পূর্ব বাংলার যারা অবস্থান নিয়েছিল তাদের মধ্যে ছিলেন আবুল হাশেম, মওলানা ভাসানী, শেখ মুজিবুর রহমানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। কিন্তু আমরা দেখতে পাই জিন্নাহ এই বাঙালিদের সমর্থন নিয়ে এই বাঙালিদের মাতৃভাষার বিরোধীতা করেন এবং তিনি বলেন, পাকিস্তানের ভাষা হবে উর্দু। ইহার প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু, মওলানা ভাসানীসহ বাঙালি জাতি প্রতিবাদ করে এবং আন্দোলন করে। এই আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমেই পাকিস্তানে ১৯৭০’র নির্বাচনে পাকিস্তানের শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতি ঐক্য হয় এবং ১৯৭০’র নির্বাচনে জয়যুক্ত হয়। নির্বাচিত নেতাকে ক্ষমতা না দিয়ে পাকিস্তানের শাসক ইয়াহিয়া খান নিরস্ত্র জনগণের উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়। তখন এই বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন মওলনাা ভাসানী, কমরেড মনিসিংহ, অধ্যাপক মোজাফ্ফর, মনোরঞ্জন ধর ও বঙ্গতাজ উদ্দীন আহমেদ এদের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা হয়। এই মুক্তিযুদ্ধে পরিচালনার সঠিক পরিণতির দিকে নেওয়ার লক্ষ্যে ৬ই ডিসেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্ধিরা গান্ধী সরকার ও জনণের কাছে বাঙালিরা কৃতজ্ঞ। এই কারণে যে স্বীকৃতি দিয়ে ভারত মানবতার মানবিক কাজ করেছে। ১৯৭১ সালের ৬ই ডিসেম্বরের এই দিনটিকে বাংলাদেশ ভারতের বন্ধুত্বে আবদ্ধ হয়েছে এবং আজ পর্যন্ত সেই বন্ধুত্ব অটুট আছে। আমরা ভারতের সাথে বন্ধুত্ব অটুট রাখতে চাই এবং বাংলাদেশ ভারত যৌথভাবে এই দুইটি দেশের উন্নয়ন সমৃদ্ধ বজায় রাখবে আজকের এই সভা থেকে আমরা ভারতের সাথে বন্ধুত্ব অটুট রাখবো এবং কাজ করবো।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply