বাংলাদেশের ৭৮ জন জেলেকে ধরে নিয়েছে গেছে ভারতের কোস্ট গার্ড। গত সোমবার অভিযান চালিয়ে এই জেলেদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছে ভারতীয় কোস্ট গার্ড। আন্তর্জাতিক সামুদ্র সীমানা রেখার (আইএমবিএল) কাছে ভারতের জলসীমায় অবৈধভাবে মাছ ধরার অভিযোগে দুটি জাহাজও জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় কোস্ট গার্ড জাহাজ ‘অমোঘ’ নিয়মিত টহলের সময় দুটি বাংলাদেশি জাহাজ ‘এফভি লায়লা-২’ ও ‘এফভি মেঘনা-৫ ’ আটক করে। জাহাজ দুটিতে যথাক্রমে ৪১ ও ৩৭ জন জেলে ছিলেন। প্রায় ১৬০ টন মাছ ধরেছেন তাঁরা।
পারাদ্বীপে অবস্থানরত কোস্টগার্ডের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, উভয় জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে রওনা দিয়েছিল এবং ভারতের জলসীমায় অবৈধভাবে মাছ ধরছিল। ভারতের ‘মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট, ১৯৮১ ’-এর অধীনে মামলা দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার পারাদ্বীপ বন্দরে জাহাজ দুটি নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জগৎসিংহপুরের পুলিশ সুপার ভাওয়ানি শংকর উদগত ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, নিরাপত্তা সংস্থাগুলো বিদেশি নাগরিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। সাম্প্রতিক সময়ে একসঙ্গে এত বেশি বাংলাদেশি জেলেকে আটক করেনি কোস্টগার্ড।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে ওডিশার ৪৮৪ কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূলরেখায় নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছে ভারত। কোস্ট গার্ড ও সমুদ্র পুলিশ টহল বাড়িয়েছে। কর্তৃপক্ষ উপকূলীয় বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতামূলক প্রচার শুরু করেছে। সমুদ্রে জেলেদের মূল নৌযানের নিবন্ধন সনদ এবং বায়োমেট্রিক পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মৎস্য বিভাগের মতো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
এদিকে বাংলাদেশের নৌপরিবহন অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম গণমাধ্যমকে বলেছেন, ভারতের সমুদ্রসীমার কাছ থেকে জাহাজ দুটি আটক করে নিয়ে গেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। কোস্টগার্ডসহ সরকারি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ওই দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। আমরা বিষয়টি নজরে রেখেছি।
চট্টগ্রামের সমুদ্র মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক আব্দুস ছাত্তার জানান, সোমবার এই খবর আসার পর থেকেই নাবিকদের ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যোগাযোগ চলছে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply