সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ফারুক ও ওসি অপারেশন মোঃ রুবেলের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন চুনা শিল্পপতি মোঃ চাঁনমিয়া। চুনা শিল্প কারখানা চালাতে হলে প্রতিমাসে ওসি কামরুল ফারুককে ১ লাখ টাকা করে মাসোহারা দিতে অস্বীকার করা ও একটি সড়কের কাজ সংক্রান্ত বিষয়ে থানায় ডেকে নিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি, নাজেহাল ও একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করার ভয় দেখানোর অভিযোগ তুলে গতকাল শুক্রবার এ অভিযোগ করা হয়।

সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী নতুন মহল্লা এলাকার মৃত ফজর আলির ছেলে চাঁনমিয়া অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে থানার এসআই হাফিজুর রহমানকে দিয়ে তাকে থানায় ডেকে নেয় ওসি কামরুল ফারুক। চাঁনমিয়া থানায় গিয়ে প্রথমে ওসি অপারেশন রুবেলের কক্ষে প্রবেশ করে। তখন রুবেল তার সাথে অসদাচরণ করে ওসি কামরুল ফারুকের কক্ষে নিয়ে যায়। ওসি চাঁনমিয়াকে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ আখ্যায়িত করে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি ও ১০ টি মামলা দিয়ে গারদে ভরার হুমকি দেয়। তখন চাঁনমিয়া নিজেকে জাগরণী টিভির ভাইস চেয়ারম্যান পরিচয় দিলে ওসি আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।

এসময় অসদাচরণের প্রতিবাদ করলে ওসি কামরুল ফারুক চাঁন মিয়াকে ঘার ধাক্কা দিয়ে থানা থেকে বের করে দেওয়ার কথা বলে। চাঁনমিয়ার প্রতি ওসি কাসরুল ফারুকের ক্ষিপ্ত হওয়ার কারণ হিসেবে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ওসি কামরুল ফারুক থানায় যোগদান করার পর সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকার প্রত্যেক চুনা কারখানা মালিকের কাছ থেকে এক লাখ টাকা করে মাসোহারা দাবি করে। অন্যান্য চুনা কারখানা মালিকরা মাসে এক লাখ টাকা করে দিতে রাজি হলেও চাঁনমিয়া অস্বীকার করে। তিনি ওসিকে বিনয়ের সঙ্গে বলেন,
সরকারকে সকল প্রকার ভ্যাট ও ট্যাক্স দিয়ে দেশের প্রচলিত আইনের মধ্য থেকে ব্যবসা করছি।

তাই কোন চাঁদা দিয়ে ব্যবসা করবনা। দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করার পর থেকেই নানা ভাবে চাঁনমিয়াকে ওসি হয়রানী করে আসছে। অভিযোগকারী চাঁনমিয়ার ভাষ্যমতে, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায় মোট ১৫ টি চুনা কারখানা রয়েছে। সে হিসেবে শুধু চুনা শিল্প থেকেই ওসি মাসে ১৪ লাখ টাকা মাসোহারা আদায় করছেন।

এ বিষয়ে জানতে ওসি কামরুল ফারুকের ব্যবহৃত সরকারি মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে রিং হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,বিষয়টি আমি অবগত নই। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখবো।