March 28, 2024, 4:56 pm

তথ্য ও সংবাদ শিরোনামঃ
ভালুকায় মহাসড়কে অবৈধ ভাসমান দোকান উচ্ছেদ অভিযান। ঢাকাস্থ চান্দিনা উপজেলা জনকল্যাণ সমিতির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত আরজেএফ’র উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। স্বাধীনতা দিবস সম্মাননা পদক পেলেন লায়ন গনি মিয়া বাবুল। যশোর ছেলের ইটের আঘাতে পিতা নিহত। যশোর মা ও মেয়ে ট্রেনের নিচেই ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা। ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ২ নিহত ১ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে গণমুক্তি পার্টির আহবায়ক সরকারকে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। ভালুকায় ২৪ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার। জন্মদিনে ৩ হাজার মানুষকে ইফতার খাওয়ালেন ডাঃ মুন। স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী। মহান স্বাধীনতার শক্তির ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা অপ্রতিরোধ্য। নারায়ণগঞ্জে সিলভার ক্রিসেন্ট ক্লিনিকে ভূল চিকিৎসায় তরুণীর মৃত্যু, বিচার চেয়ে স্বজনদের বিক্ষোভ ভাঙচুর। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল দেশে ফিরেছেন বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা। টংগিবাড়ীতে যানজটে নাকাল সাধারণ মানুষ কমছে না ভোগান্তি। ভালুকায় প্রয়াত পুলিশ সদস্যদের বসতঘরে আগুন, থানায় অভিযোগ ভালুকায় রাস্তা পুনঃ নির্মাণ করণ কাজের উদ্বোধন। ভালুকায় বিদ্যুতের তার চোর চক্রের ২ সদস্য আটক। যশোর বিদেশি পিস্তল ইয়াবাসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার ৩ আনোয়ার হোসেন।নিজস্বপ্রতিনিধিঃ বেনাপোল পৌর শহর ব্যাপী নিরাপদ স্যানিটেশন সেবা নিশ্চিত শীর্ষক পরামর্শ সভা। ঢাকাস্থ দেবিদ্বার কল্যাণ সমিতির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত। চাল ডাল তেলসহ নিত্যপণ্যের দাম না কমা পর্যন্ত রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবো। শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু চট্রগ্রামের ফটিকছড়িতে তারাবি নামাজ শেষে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে জখম। ত্রিশালে তিন পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে আহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩ যশোর সদর স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিল বাজারে ভেজাল মাঠায় সয়লাব সাস্থ্য ঝুঁকিতে ভোক্তা। যশোর ৩ কেজি ৩শ গ্রামঃ ওজনের ৩২ পিস স্বর্ণের বারসহ আটক২আনোয়ার হোসেন। বেনাপোল-পেট্রাপোল দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ। বেনাপোল পুটখালী সীমান্ত হতে ২৯৯ বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সৈয়দ শরিফুল ইসলামকে ষড়যন্ত্রমূলক অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর প্রতিবাদে ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন।

আগামী ২১ দিন বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক সময়।

আগামী ২১ দিন বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক সময়।

এখন থেকে আগামী দুই-তিন সপ্তাহ দেশের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক সময়। এর মধ্যেই দেশের বিভিন্ন স্থানে সামাজিকভাবে নতুন করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা আছে। গতকাল পর্যন্ত যারা আক্রান্ত দেশ থেকে এসেছেন তাদের মাধ্যমে ছড়ালেও সর্বোচ্চ আগামী ২১ দিনের মধ্যেই তা প্রকাশ পাবে।

ভাইরোলজির ভাষায় যাকে ‘পিক টাইম’ বলা হয়। এ সময় সংক্রমিত হতে পারে অসংখ্য মানুষ। সামগ্রিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে এমন আশঙ্কা করছেন দেশের ভাইরোলজি বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, যেসব দেশে ভাইরাসটি সামাজিকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে সেই দেশগুলো থেকে আসা যাত্রীদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে রাখা হলে এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। তবে এখনও যদি ছড়িয়ে পড়া দেশ থেকে আসা যাত্রীদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে আনা হয় তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।

বিশেষজ্ঞদের মতে, উচ্চ আয়ের উন্নত প্রযুক্তির রাষ্ট্রগুলো সব সুযোগ-সুবিধা থাকার পরও নতুন করোনাভাইরাসে মহামারী ঠেকাতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এই ব্যর্থতার মূল কারণ, ওই দেশগুলোর নীতিনির্ধারকরা প্রকৃত পরিস্থিতি অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা সময়ের কাজ সময়ে করতে পারেনি। এসব দেশের প্রতিটিতেই ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়েছিল আক্রান্ত দেশ থেকে আসা দু-একজন ব্যক্তির মাধ্যমে।

ভাইরোলজির দৃষ্টিকোণ থেকে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, যেসব দেশে ভাইরাসটির ব্যাপক সংক্রমণ ঘটেছে সেসব দেশে প্রথম ২ থেকে ৩ সপ্তাহ হাতেগোনা কয়েকজনের দেহে এটি শনাক্ত হয়। একটা পর্যায়ে সেই সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে থাকে।

এর কারণ, প্রথমে দেশে প্রবেশ করা সেই দু-একজন ব্যক্তি তাদের পরিবার থেকে শুরু করে যত মানুষের সংস্পর্শে গিয়েছেন, তাদের অনেকের দেহেই ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে। এই ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণগুলো প্রকাশ হতে সাধারণত ১ থেকে ২ সপ্তাহ সময় প্রয়োজন হয়। তাছাড়া সাধারণ সর্দি-কাশি বা ফ্লুর সঙ্গে এর উপসর্গগুলোর মিল থাকায় পরীক্ষা না করে, শুধু শারীরিক লক্ষণ দেখে এটি আলাদা করা সম্ভব হয় না।

এ প্রসঙ্গে প্রখ্যাত ভাইরোলজিস্ট এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহ বাংলাদেশের জন্য বিপজ্জনক সময়। আমাদের হিসাব মতে, এই সময়ে দেশে নতুন করোনাভাইরাসের পিক টাইম হবে।

যা হওয়ার এই সময়ে হয়ে যাবে। তিনি বলেন, যেসব সতর্কতা এখন নেয়া হচ্ছে এগুলো আরও আগেই নেয়া দরকার ছিল। পিক টাইম হলে আরেকটি ডিজাস্টার ঘটবে। সেটা চিকিৎসক ও সেবাদানকারীদের ক্ষেত্রে। কারণ তাদের হাতে পর্যাপ্ত পার্সনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) নেই।

ফলে যারা চিকিৎসা ও সেবা দেবেন তারা ব্যাপকভাবে ভাইরাসটি দ্বারা সংক্রমিত হতে পারেন। অধ্যাপক নজরুল বলেন, আমরা এ ধরনের ঝুঁকি থেকে অনেকাংশই নিরাপদে থাকতে পারতাম যদি সামাজিকভাবে ছড়িয়ে পড়া দেশগুলো থেকে আসা যাত্রীদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে নিতে পারতাম। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রভাবশালীদের জন্য সেটি নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।

দেশে পরিস্থিতি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর প্রথম রোগী শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। বর্তমানে সেই সংখ্যা ২০ জন, যাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। অর্থাৎ ইতালি থেকে আসা ১৪২ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠিয়ে দেয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই দেশের প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়।

এখন পর্যন্ত যে ২০ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে তাদের সবাই কোভিড-১৯ এর মহামারী আক্রান্ত দেশ থেকে আসা বা তাদের পরিবারের সদস্য। অথচ শুরুতেই ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে আসা যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কোয়ারেন্টিনে রাখলে দেশ মহামারীর হুমকিতে পড়ত না।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যে দেখা গেছে, গত দুই মাসে সমুদ্র, সড়ক ও আকাশপথে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন ৬ লাখ ৪৫ হাজার ৭৪২ জন। যাদের বেশির ভাগই কোভিড-১৯ এর মহামারী চলছে, এমন দেশ থেকে এসেছেন। সতর্কতার জন্য দেশের প্রবেশপথগুলোতে এসব যাত্রীর স্ক্রিনিং করা হয়।

তবে সংক্রমণের লক্ষণ প্রকাশ পেতে এক থেকে দুই সপ্তাহ সময় লাগায় স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে যাত্রীদের মধ্যে কেউ যে ভাইরাসটির বাহক তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। ফলে বাহকরা দেশে ফিরে বিভিন্ন মানুষের সংস্পর্শে এসে নিজের অজান্তেই ভাইরাসটি ছড়িয়ে দিচ্ছেন।

বর্তমান পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য কোভিড-১৯ এর মহামারী প্রতিরোধ করার কাজটি দুরূহ হয়ে গেলেও অসম্ভব নয়। তবে এর দায়িত্ব নিতে হবে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে। একটি অধিদফতর বা মন্ত্রণালয়ের পক্ষে এ ধরনের বৈশ্বিক মহামারী (প্যানডেমিক) প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়।

এর জন্য দরকার প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত উদ্যোগ। পাশাপাশি সাধারণ জনগণের সচেতনতা, বেসরকারি খাতের শীর্ষ পর্যায়ের সক্রিয় সহযোগিতা। এই তিন ধরনের মানুষদের সমন্বয় না হলে এ ধরনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ অসম্ভব হয়ে পড়বে।

এ প্রসঙ্গে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. জাহিদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, দেশের সম্ভাব্য মহামারী প্রতিরোধে অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কোভিড-১৯ এর একটি জাতীয় রেসপন্স টিম গঠন করতে হবে। যার প্রতিটি কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে সরাসরি পরিচালিত হবে।

জাতীয় রেসপন্স টিমে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কর্মরত বিশেষজ্ঞদের নীতিনির্ধারক পর্যায়ে সম্পৃক্ত করে স্বাধীনভাবে মতামত প্রদানের সুযোগ দিতে হবে। সারা দেশে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা সব ব্যক্তিকে বাধ্যতামূলকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে নিতে হবে।

জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ভাড়া নিয়ে সেগুলোকে সাময়িক কোয়ারেন্টিন সেন্টারে পরিণত করতে হবে। প্রয়োজনে শৃঙ্খলা নিশ্চিতে সর্বস্তরে সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত করতে হবে। যেসব সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ানদের জন্য এখনও পিপিই (পারসন্যাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট) পাঠানো হয়নি, সেখানে দ্রুত সরবরাহ করতে হবে। কোভিড-১৯ নিয়ে ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবসহ সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের গুজব প্রতিহতে নজরদারি বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।

আমাদের প্রকাশিত তথ্য ও সংবাদ আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)

Design by Raytahost.com