দেশের সড়ক-মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে চাঁদাবাজির অভিযোগে ১০৯ জন পরিবহন চাঁদাবাজ গ্রেফতার হয়েছে। আইজিপির নির্দেশে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের অভিযানে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে এ অভিযান শুরু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টে গাড়ি থেকে অবৈধভাবে চাঁদা তোলার অভিযোগে ৫১টি মামলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি- মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) সোহেল রানা বলেন, চলতি মাসের শুরুর দিকে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ যানবাহনে চাঁদাবাজি বন্ধের উদ্যোগ নেন।
এ লক্ষ্যে সড়ক ও পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পুলিশ সদর দফতরে আয়োজিত এক সভায় আলোচনার পর তিনি পুলিশের ইউনিটগুলোকে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। আইজিপির নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশের সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলো সড়ক-মহাসড়কে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে। যানবাহনে যেকোনো ধরনের চাঁদাবাজির ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে বাংলাদেশ পুলিশের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এদিকে বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সভাপতি হাজী মো. তোফাজ্জল হোসেন মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক মো. রুস্তম আলী খান গতকাল এক বিবৃতিতে পরিবহন চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন।
তারা আইজিপি ড.বেনজীর আহমেদকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দেশের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে পরিবহন চাঁদাবাজদের কাছে তারা জিম্মি হয়ে পড়েছিলেন। আইজিপির নির্দেশনার পর থেকে এখন দেশের অধিকাংশ সড়ক-মহাসড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ হয়েছে। চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে পুলিশের এ অভিযান অব্যাহত রাখার জন্য বিবৃতিতে অনুরোধ জানান তারা।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৩ জুন পুলিশ সদর দফতরে পুলিশ প্রধান (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ চাঁদাবাজি বন্ধে ঐকমত্যে পৌঁছান। সভায় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন, শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. শাহজাহান খান উপস্থিত ছিলেন।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply