টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইল পৌর এলাকার কান্দাপাড়া হতে ভুয়া ডিবি পরিচয়ে ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় কয়েক ধাপে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সাথে ছিনতাইয়ে সময় ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাসও উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত প্রত্যেকেই দোষ স্বীকার করে আদালতে জবান বন্ধি দিয়েছেন।
রোববার (২৬ জুলাই) দুপুরে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান গত (৫ জুলাই) শহরের হক ফ্লাওয়ার মিলের সহকারি ম্যানেজার মির্জা মাসুদুল খোকন মোটরসাইকেল যোগে টাকা নিয়ে ইউসিবি ব্যাংকে টাকা জমা দিতে যাচ্ছিলেন। এমতাবস্থায় কান্দাপাড়া এলাকায় পৌছালে সাদা রঙের একটি মাইক্রোবাস বেরিকেড দিয়ে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাকে গাড়িতে তোলেন। পরে গাড়িতে কিল ঘুসি দিয়ে তার কাছ থেকে সাড়ে ১৩ লাখ টাকা ছিনতাই করে তাকে রাস্তায় ফেলে চলে যায়।
ওইদিনই তিনি টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার প্রেক্ষিতে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ৯ জুলাই ছিনতাইয়ের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ঢাকার খিলগাঁও চৌধুরী পাড়া থেকে ইমরান হোসেন শামীম (৩৬) নামে এক আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়।
পরদিন ১০ জুলাই আসামীকে আদালতে প্রেরণ করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। রিমান্ড থেকে ছিনতাইয়ের গুরত্বপূর্ণ তথ্য বের হয়ে আসে। তিনি ১৩ জুলাই দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন।
পরে শামীমের দেয়া তথ্য অনুযায়ি ১১ জুলাই হক ফ্লাওয়ার মিলের শ্রমিক মো. শফিকুল ইসলামকে (৩৫) গ্রেফতার করা হয়। ১২ জুলাই দোষ স্বীকার করে শফিকুল ইসলাম আদালতে জবানবন্দি দেন। ওই দিনই সিরাজগঞ্জের শাহাদাতপুর হতে ৫০ হাজার টাকাসহ মো. সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। ১৩ জুলাই দোষ স্বীকার করে তিনি আদালতে জবানবন্দি দেন।
সাইফুলের দেয়া তথ্য অনুযায়ি ১৩ জুলাই মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারি এলাকা থেকে ৫০ হাজার টাকাসহ মো. আব্দুস সামাদকে গ্রেফতার করা হয়। তিনিও ১৪ জুলাই দোষ স্বীকার করে তিনি আদালতে জবানবন্দি দেন।
রবিবার (২৬ জুলাই) ভোরে আসামী সবুজকে গ্রেফতার করা হয়। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply