এ.আর.ইমরান : মৌলিক কাজের জন্য প্রয়োজন সময়, মনোযোগ এবং পরিশ্রম। এর পাশাপাশি কৌতূহল এবং জানার আগ্রহ। সাংবাদিকতার মানেই হচ্ছে মানুষকে নতুন কিছু বলা নতুন কিছু দেয়া। স্বীয় মনের অভিপ্রায় থেকে কেউ নেশা কেউ বা পেশা হিসাবে সাংবাদিকতাকে বেছে নেয় যদি আমার কথা বলি তাহলে পেশা নয় বরং নেশার জন্যই সাংবাদিকতায় আসা।
জনমানুষের কল্যাণার্থে দল-মত নির্বিশেষে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের যৌক্তিক এবং প্রাপ্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যেতে চাই। আমি অতি ক্ষুদ্র একজন মানুষ তবে ন্যায় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আপোষহীন। ইতিমধ্যে নিজের বুদ্ধিমত্তা এবং বিচক্ষণতা দিয়ে কতিপয় আগ্রাসী মানুষকে সহনশীল এবং জনবান্ধবে রূপান্তরিত করার প্রয়াস কিছুটা হলেও সফল করতে পেরেছি ।
পাশাপাশি গুটিকয়েক দায়ে কুড়াল সম্পর্ককে একটা সহনশীল পর্যায়ে রূপান্তর করার দৃঢ় প্রয়াস অব্যাহত আছে এবং থাকবে। যদিও এটা আমার উপর অর্পিত কোন দায়িত্ব নয় তবুও নিজের আত্ম সন্তুষ্টির জন্য সাংবাদিকতার পাশাপাশি উক্ত কাজগুলো করে থাকি।
কতিপয় সাংবাদিকের লোভের কাছে সৎ ও আদর্শ সাংবাদিকতা এবং মুক্ত বিবেকের অস্তিত্ব অনেকটা বিলীন হওয়ার পথে। সঠিক সাংবাদিকতার অনুপস্থিতির ফলে সমাজে মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটে চলছে সবসময়। এ রকম পরিবেশে মানুষের অধিকার, গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, সুশাসন প্রতিষ্ঠার পক্ষে সাংবাদিকদের কলম ব্যর্থ হচ্ছে।
অন্যদিকে সাংবাদিকতায় অনৈতিকতা যত বাড়তে থাকবে, সমাজের পতন অতি দ্রত ত্বরান্বিত হবে। সমাজে অন্ধকার তত ঘনীভূতহবে। আমরা যে সভ্যতার ঊষালগ্ন থেকে বিশ্বাস করে আসছি সংবাদপত্র সমাজের দর্পণ এবং দুর্বল ও অসহায়দের ভরসা, বর্তমান সময়ে সংবাদপত্রে সমাজের সেই কাক্সিক্ষত চেহারা দেখা যায় না। মানুষ সেই ভরসাও আর পায় না।
অথচ সংবাদপত্র এবং সাংবাদিক সমাজ যদি সম্মান, মর্যাদা এবং স্বাধীনতা ফিরে না পায়, তবে দেশ, সমাজ এবং মানুষও মর্যাদা পায় না। সমাজ থেকে অন্যায় এবং অন্ধকারও দূর হয় না। একটি সমাজ ও রাষ্ট্র সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় গুজব-গুঞ্জনে। স্বাধীন সাংবাদিকতা না থাকলে গুজব এবং গুঞ্জন পল্লবিত হয়ে সত্যকে ঢেকে দেয়। অন্ধকারকে ঘনীভূত করে।
এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে প্রথমেই সাংবাদিকতার শত্রু ও মিত্রকে চিহ্নিত করতে হবে। সাংবাদিকদেরকেও তাদের করণীয় নির্ধারণ করে ‘কোর্স অব অ্যাকশন’ ঠিক করতে হবে। লোভের খোলস থেকে বের হয়ে এসে আত্মমর্যাদায় বলীয়ান হতে হবে। বিবেককে মুক্ত করে সৎ সাংবাদিকতায় আত্মনিয়োগ করতে হবে।
আদর্শ সাংবাদিক এবং সৎ সাংবাদিকতার নিদর্শন সমাজে কম নেই। সাহসের সঙ্গে সেই পথ অনুসরণ করে মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারলে বর্তমানের কাঁটা বিছানো পথ এবং আঁধার পাড়ি দিয়ে আলোর ঠিকানায় পৌঁছা খুব কঠিন নয়। তাতে ব্যর্থ হলে আজকের পরিবেশ আগামীতে আরও কঠিন ও দুর্গম হবে। জনগণ, সরকার, রাষ্ট্র সবই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply