December 14, 2024, 7:34 am

তথ্য ও সংবাদ শিরোনামঃ
বিএনপির তিন জেলার আহ্বায়ক কমিটি গঠন, পদ পেলেন যারা। ভারত থেকে বেনাপোল দিয়ে রেলপথে ট্রেনে এলো ৪৬৮ টন আলু। বেনাপোল পৌরসভার সাবেক মেয়রের অবৈধ দখল থেকে ৩০০ বিঘা খাস জমি উদ্ধার। মাদার তেরেসা গোল্ডেন এ্যাওয়ার্ড পেলেন সাংবাদিক আসাদুজ্জামান সুমন অনুপ্রাস জাতীয় কবি সংগঠন ঢাকা মহানগর শাহ্আলী থানা শাখার উদ্যোগে কবিতা আবৃত্তি ও কবি আড্ডা অনুষ্ঠিত। ভালুকায় তারুণ্যের উৎসব সাংবাদিকদের কাজের জন্য বিপজ্জনক দেশের তালিকায় নাম এসেছে বাংলাদেশের। পাঠ্যপুস্তকে মওলানা ভাসানীর রাজনৈতিক জীবনী তুলে ধরতে হবে…..বীর মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ মওলানা ভাসানীর ১৪৪তম জন্মবার্ষিকীতে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন ভালুকায় চোরকে ধাওয়া করে ধরতে গিয়ে ছুরির আঘাতে যুবক নিহত। ভালুকায় এক ওড়নায় স্বামী-স্ত্রী সহ ৩ জনের আত্মহত্যা। সাংবিধানিকভাবে মওলানা ভাসানীকে স্বীকৃতি দিতে হবে ……..সাবেক ছাত্রনেতা কাজী ছাব্বীর প্রান্তিক উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় স্থানীয় সরকারের ভূমিকা। চলমান রাজনৈতিক অবস্থার সংকট ও সম্ভবনা প্রসঙ্গে ….এম এ আলীম সরকার বেকার সালাউদ্দিনের নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে রয়েছে বহুতল ভবন দুদক এর হস্তক্ষেপ কামনা। ওরা আমাকে বিবস্ত্র করে অত্যাচার করেছে, আমার শরীরের দাগ শুকায়নি। -নির্যাতিত সাংবাদিক সালাম আক্তার। ভালুকায় গায়ের জোরে জমি দখলের অভিযোগ। ভারতের জলসীমায় অবৈধভাবে মাছ ধরার অভিযোগে দুটি জাহাজ ও ৭৮ জন জেলেকে আটক করেছে ভারতের কোস্ট গার্ড। ময়মনসিংহ জেলা মালিক সমিতি ভালুকা উপজেলা শাখার কমিটি গঠন ভালুকায় বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে কলেজ ছাত্রদলের মানববন্ধন গাজীপুরের প্রবীণ সাংবাদিক নজরুল ইসলাম বাদামীর কবর জিয়ারত জুলাইয়ের গণঅভ্যূত্থানের চেতনাকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে মানবাধিকারের কোন বিকল্প নেই। -লায়ন মোহাম্মদ এরশাদ হোসেন রানা মানবন্ধনে বক্তারা : পৃথিবীতে মানবাধিকার যেন আজ কথার কথা মানুষের বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা ভোটের অধিকার নিশ্চিতে ঐক্যের বিকল্প নাই” খেলার মাঠ, পার্ক ও উন্মুক্ত স্থানের গাইড লাইন বিষয়ক আলোচনা সভা রেমিটেন্স যোদ্ধা রাসেল মাহমুদকে মুক্তি দিন : মানববন্ধনে গোলাম মোস্তফা ভালুকায় পুত্রবধুকে বাঁচাতে গিয়ে মারা গেলেন শ্বশুর ভালুকা মুক্ত দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কৃষি ও কৃষক বাঁচাও আন্দোলনের মানববন্ধন প্রশাসনে ফ্যাসীবাদী দোষররা এখনো লুকিয়ে আছে মট্স এর শিক্ষার্থীরা বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে …. রিফাত মাহবুব সাকিব

ভারতীয়দের দাপট এখন বাংলাদেশের চাকরির বাজারে।

ভারতীয়দের দাপট এখন বাংলাদেশের চাকরির বাজারে।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বেসরকারি চাকরিতে ভারতীয়দের দাপট এখন বাংলাদেশের বাজারে ! আমাদের প্রতিবেদকের তথ্য থেকে উঠে আসে; তারা পোশাক, বায়িং হাউজ, আইটি এবং সেবা খাতে প্রাধান্য বিস্তার করে আছে। এর পরেই শ্রীলঙ্কা চীনের অবস্থান রয়েছে। তবে মোট বিদেশির কমপক্ষে অর্ধেক ভারতীয়।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে করোনা ভাইরাসের কারণে চীনাদের দাপট কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়ায় ভারতীয়দের দাপট আরো বাড়তে পারে বলে ব্যবসায়ীমহল জানিয়েছেন।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বুধবার তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে বাংলাদেশে মোট বিদেশি দুই লাখ ৫০ হাজার। তাদের মধ্যে বৈধ ৯০ হাজার। বাকিরা অবৈধভাবে বাংলাদেশে আছেন। আর যারা বৈধভাবে আছেন তাদের মধ্যে ৫০ ভাগ কোনো অনুমতি না নিয়েই টুরিস্ট ভিসায় বাংলাদেশে এসে কাজ করছেন। এই বিদেশিরা বছরে ২৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা পাচার করেন। টিআইবি বাংলাদেশে বিদেশিদের হিসাব করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ২০১৮ সালে দেয়া ৮৫ হাজার ৪৮৬ জন বৈধ বিদেশির তথ্যের ওপর ভিত্তি করে। কিন্তু বাস্তবে এই সংখ্যা বহুগুণ বেশি।

কিন্তু এর বাস্তব চিত্র আরো ভয়াবহ, বাংলাদেশে দুটি তৈরি পোশাক কারখানার মালিকের সাথে কথা বলে জানা গেছে নানা কারণে পোশাক খাতে ভারতীয়দের অবস্থান শক্ত। এর মধ্যে পোশাক খাতে ডিজাইনসহ আরো কয়েকটি বিষয়ে দক্ষ জনশক্তির অভাব আছে। আর পোশাকের বায়িং হাউজগুলো নিয়ন্ত্রণ করে ভারতীয়রা। ফলে পোশাক কারাখানাগুলো বায়ার পেতে তাদের কারখানায় মার্কেটিং এবং হিসাব বিভাগেও ভারতীয়দের নিয়োগ করে। তাদের মতে বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলোতে এক লাখেরও বেশি ভারতীয় কাজ করেন। অন্যদিকে বায়িং হাউজে এই সংখ্যা আরো আরো বেশি।

এর বাইরে আইটি খাতেও ভারতীয়দের দাপট। আরো অনেক সেবা খাত আছে যেখানে ভারতীয়রা কাজ করেন। এমনকি বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম, বিজ্ঞাপন, কনসালটেন্সি এসব খাতেও ভারতীয়রা রয়েছেন। সবমিলিয়ে বাংলাদেশে কম করে হলেও পাঁচ লাখ ভারতীয় কাজ করে বলে ধারণা করা হয়। কিন্তু তাদের অধিকাংশেরই কোনো ওয়ার্ক পারমিট নেই। তারা ট্যুরিস্ট ভিসায় আসেন। আর তাদের বেতন অনেক বেশি। ট্যুরিস্ট ভিসায় যারা কাজ করেন তাদের আয়করা পুরো অর্থই অবৈধ পথে বাংলাদেশের বাইরে চলে যায়।

বাংলাদেশের আইটি খাতের একজন উদ্যোক্তা জানান, সফটওয়্যার ও ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে ভারতীয় কৌশল ব্যবহারের কারণে ওই দেশের জনশক্তিকেও কাজ দিতে হয়। শুধু তাই নয় অনেক ক্ষেত্রে তাদের লোক রাখার শর্ত জুড়ে দেয়া হয়। আবার ট্রাভেল এজন্টদের বড় একটি অংশ ভারতীয়দের নিয়ন্ত্রণে। তাই তাদের সফটওয়্যার ও তাদের লোক বলে কাজ হয়। এটা সরকারের পলিসির বিষয়। সরকার পলিসি ঠিক করলে তাদের দাপট কমবে।

বাংলাদেশের চাকরির বাজার নিয়ে কাজ করা সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান হলো বিডিজবস ডটকম। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ফাহিম মাশরুর বলেন, কর্মরত বিদেশিদের মধ্যে ভারতীয়রাই শীর্ষে। তারপরে শ্রীলঙ্কা, চীন, থাইল্যান্ড। এদেরমধ্যে শতকরা ১০ ভাগেরও ওয়ার্ক পারমিট নেই। অধিকাংশই অবৈধভাবে কাজ করেন। তাদের পেমেন্টও এখানে করা হয়না। ভারতীয় হলে তার পেমেন্ট ভারতেই দেয়া হয়। যারা নিয়োগ করেন তারা এরকম একটা সিস্টেম গড়ে তুলেছেন।

বাংলাদেশ থেকে কত রেমিটেন্স দেশের বাইরে যায় সেই হিসাবটি দেখলে বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশিদের সংখ্যা সম্পর্কে একটা ধারনা পাওয়া যায়। আর বাংলাদেশ থেকে ভারতেই বেশি রেমিটেন্স যায়। পোশাক খাতের আয়েরও বড় একটি অংশ তাদের টেকনিশিয়ান ও ডিজাইনাররা নিয়ে যান।

বিআইডিএস-এর অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ জানান, প্রতিবছর আমাদের দেশ থেকে চার-পাঁচ বিলিয়ন ডলার দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। আর এবার আমাদের রেমিটেন্সের টার্গেট ২০ বিলিয়ন ডলার৷ তাহলে আমরা যা আনতে পারি তার পাঁচ ভাগের এক ভাগ আবার বিদেশি কর্মীদের দিয়ে দিতে হয়। এ থেকে বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশিদের সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায়। এটা আমি বলছি বৈধ চ্যানেলের কথা। অবৈধভাবে কত যায় সেটা সরকার উদ্যোগ নিলে জানতে পারে। কিন্তু উদ্যোগ নেই। এই অর্থ সবচেয়ে বেশি যায় ভারত ও শ্রীলঙ্কায়। আমার কাছে অবাক লাগে এখানে একাউন্টেন্ট, প্রশাসনিক কাজেও বাইরে থেকে লোক আনা হয়।

আমাদের প্রকাশিত তথ্য ও সংবাদ আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)

Design by Raytahost.com