আওয়ামী সরকার পতনের পর নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ গডফাদার সাবেক এমপি শামীম ওসমান পলাতক থাকলেও তার দোসররা রয়ে গেছে ধরাছোয়ার বাইরে। মাদক ব্যবসায়ী, ভূমিদস্যু, অস্ত্রবাজ, চাঁদাবাজ সহ স্থানীয় অপরাধীরা সরকার পতনের সাথে সাথে গাঁ ঢাকা দিলেও আবারও নিজ নিজ এলাকায় ফিরতে শুরু করেছে কুখ্যাত গণহত্যাকারীরা। ছাত্র জনতার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শামীম ওসমানের নেতৃত্বে নাশকতাকারী সিদ্ধিরগঞ্জের পাঠানটুলী আইলপাড়া এলাকার চিহ্নিত মাদক সন্ত্রাসী শাহজাহান, শহীদুল্লাহ ও হিয়াইল্যা ইয়াছিন সহ আরো কয়েকজন সংঘবদ্ধ হয়ে অস্ত্রের মহরায় হামলা-গুলি বর্ষন করে ছাত্র জনতাকে আহত ও নিহত করেছে। গণহত্যাকারী দোসররা কয়েকদিন পলাতক থাকার পরে এলাকার কিছু অপরাজনীতি ক্যাডারদের অর্থ বিত্ত দিয়ে হাত করে আবারও এলাকায় ফিরতে শুরু করেছে।
এলাকাবাসী জানায়, গুম-খুন, মাদক, ভূমিদস্যুতাসহ বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত মদদি শাহজাহান ওরফে কৃষ্ণা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে তালকাভুক্ত মাদক কারবারী শহীদুল্লাহ ওরফে কালা মানিক, হিয়াইল্যা ইয়াছিন সহ রাজিব-সজিব যমজ ভাই আইলপাড়া, পাঠানটুলী, এনায়েতনগর, উত্তর হাজীগঞ্জ এবং আশেপাশের এলাকায় শামীম ওসমানের নাম ব্যবহার করে রাম রাজত্ব গড়ে তুলেছিল। এলাকার বিশৃঙ্খলায় অরাজকতা তৈরি করে জমি দখল ও ইয়াবা, ফেন্সিডিল সহ মাদকে সয়লাভ করে ফেলেছিল, গড়ে তুলেছিল কিশোর গ্যাং। স্থানীয় এলাকার বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও মসজিদ কমিটি সহ পঞ্চায়েত কমিটি জিম্মি করে যা ইচ্ছে তাই করেছে। বহু অপকর্মের হোতা শাহজাহান ও শহীদুল্লাহ আওয়ামী লীগ দুঃশাসনের আমলে কয়েক বছরের মধ্যে অবৈধ উপায়ে ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকার মালিক বনে গেছে বলে এলাকাবাসী জানায়। এলাকায় ওয়াইফাই ব্যবসা আরেকজনের কাছ থেকে লুটে নিয়েছিল শাহজাহানের সৎ যমজ ভাই কিশোর গ্যাংয়ের লিডার রাজিব-সজিব। এছাড়াও শিল্প কল কারখানা ও গার্মেন্টর্সের জুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল। কোরআন হাদিসের আলোকে দ্বীনের কথা বলায় মসজিদের ইমামকে জোর পূর্বক বের করে দিয়ে চাকুরীচ্যুত করেছে এই শাহজাহান, হিয়াইল্যা ইয়াছিন ও শহীদুল্লাহ। এই সকল অপরাধীদের বিরুদ্ধে রয়েছে হত্যা, অস্ত্র, ভূমিদস্যুতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অপকর্মের মামলা। সিটি কর্পোরেশনের ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা বিভিন্ন এলাকার মতো শাহজাহান, শহীদুল্লা ও হিয়াইল্যা ইয়াছিনকে বিভিন্ন অপকর্মে মদদ দিয়ে আসছিল এবং ছায়ার মতো আগলে রেখে চাঁদাবাজির টাকায় দেশ বিদেশে ভ্রমণ করে মানুষকে নিঃস্ব করে দিয়েছিল এবং শাহজাহানের বিয়াই আদমজী যুবলীগের ক্যাডার মনসুরও অপরাধের সা¤্রাজ্য গড়ে তুলেছিল। এলাকার কয়েকজন ভুক্তভুগী জানায় দেশ এখন দ্বিতীয় বারের মতো স্বাধীন হয়েছে তাই আমরা ঐ সকল অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি কিন্তু এলাকার কয়েকজন কুলাঙ্গার ক্ষমতায় না আসতেই রাজনৈতিক ক্যাডার পরিচয়ে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে মদদি শাহজাহান, হিয়াইল্যা ইয়াছিন ও শহীদুল্লাহকে এলাকায় ঠাই দিচ্ছে যেখানে ওরা পলাতক ছিল। তবে যারা অপরাধীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে লালন পালন করছে তাদেরও রেহাই থাকবে না। কিছুদিনের মধ্যেই ক্লিন হার্ট নামে যৌথবাহিনী মাঠে নামবে। সেই সূত্র ধরে এলাকায় অপকর্মকারীদের তালিকা তৈরি হচ্ছে। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা এলাকায় অবস্থান করার করায় হিয়াইল্যা ইয়াছিন ও শাহজাহান-শহীদুল্লাহর নির্দেশে পা চাটা কয়েকজন কুত্তা আইলপাড়া, পাঠানটুলী, এনায়েতনগর ও হাজীগঞ্জ এলাকায় এখনও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে সমাজের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে এবং নিজেরাই হামলা, লুটতরাজ, ভাংচুর চালিয়ে অন্যদের নাম দিয়ে ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে। বর্তমান পুলিশ প্রশাসনের অভিযান না থাকায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা এলাকায় মাথাচাড়া দিয়ে মানুষের ক্ষয়-ক্ষতি করে যাচ্ছে। দ্রুতই এলাকাবাসী এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ সেনাবাহিনী ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply