শেখ হাসিনা সরকারের সময় রিজার্ভ শূন্যের কোটায় নেমে এসেছিল, কথাটি সত্য নয়, তবে শেখ হাসিনা সরকার শেষ দিকে আইএমএফের পরামর্শে চলছিল এবং কিছু ভালো ভালো পলিসিও নিয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
দেশের ব্যয়যোগ্য বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ কত রয়েছে, তার তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। সরকারের পতনের পর দেশের প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ নিয়ে জনমনে ছিল প্রশ্ন, এই রিজার্ভের পরিমাণ কত সেটা জানা গেল।
গতকাল (৫ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক বাংলা গণমাধ্যম ‘ঠিকানা’–তে প্রচারিত একটি অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের রিজার্ভের পরিমাণ ২০ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। এটা হচ্ছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ডেফিনেশন অনুযায়ী। আগের সরকারের ডেফিনেশন অনুযায়ী নয়।
‘এই মুহূর্তে বাংলাদেশের রিজার্ভ কত?’ সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীনের এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, গত এক সপ্তাহে ৩০০ মিলিয়ন ডলার রিজার্ভ বেড়েছে এবং আমি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্ব নেওয়ার পর একটি ডালারও আমরা বিক্রি করি নাই বাজারে। আমরা বরং রিজার্ভ কিনছি। প্রতিদিন আমরা ৫০ মিলিয়ন ডলার করে বাজার থেকে কিনছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে মূল্যস্ফীতিকে আগামী ৪ থেকে ৫ মাসের মধ্যে একটা পর্যায়ে নিয়ে আসা। লাইক ৭ থেকে ৮ শতাংশের মধ্যে। পরবর্তী এক বছরের মধ্যে সেটা ৪ থেকে ৫ শতাংশে নিয়ে আসা। এতদিন সেই হিসাব গোপন করে আসছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের হিসাব প্রকাশ না করলেও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফকে সেটি দেওয়া হতো।
সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, অনেকেই এমন একটা ধারণা দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা সরকারের সময় রিজার্ভ নামতে নামতে একেবারে শূন্যের কোটায় নেমে এসে ঠেকেছে। আপনি নিশ্চিয় অনেকে ভালো কাজ করছেন কিন্তু এই ২০ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভের পুরো কৃতিত্ব নিশ্চয় আপনার নয়। এমন প্রশ্নের জবাবে আহসান এইচ মনসুর বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের সময় রিজার্ভ শূন্যের কোটায় নেমে এসেছিল, কথাটি সত্য নয়। তবে শেখ হাসিনা সরকার শেষ দিকে আইএমএফের পরামর্শে চলছিল এবং কিছু ভালো ভালো পলিসিও নিয়েছিল।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply