আবারও সপ্তাহের প্রথম দুই কার্যদিবসেই দর পতন হয়েছে বাজারে। কমেছে বেশির ভাগ শেয়ারের দাম। বাজার থেকে হাওয়া হয়ে গেছে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকার মূলধন। এ নিয়ে গত দুই মাসে বাজার ৪২ হাজার ৫২৬ কোটি ৭২ লাখ টাকার মূলধন হারিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
বাজার পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার এক দিনেই ডিএসই পাঁচ হাজার ২৪৩ কোটি ৯৮ লাখ টাকার মূলধন হারিয়েছে। আগের দিন বাজার মূলধন হারিয়েছিল পাঁচ হাজার ৪৮৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
টানা দর পতনে উদ্বেগ, হতাশা ও আতঙ্ক বেড়েছে বিনিয়োগকারী ও মধ্যবর্তী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১০ সালের ধস ও পরবর্তী ১৪ বছরের নিম্নমুখী ধারায় পুঁজিবাজারের সব শ্রেণির বিনিয়োগকারী ও প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত। এমতাবস্থায় বর্তমান সরকারের সময়ে বিনিয়োগকারীরা নতুন আশায় বুক বেঁধেছিলেন। কিন্তু এখানে তারা আরো বেশি হতাশয় নিমজ্জিত!
ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই ও সিএসই) সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস গতকাল সোমবার সূচকের বড় পতন হয়েছে। এদিন ডিএসই ও সিএসইতে আগের কার্যদিবসের চেয়ে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা কমেছে। একই সঙ্গে ডিএসই ও সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ কম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা যায়, দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৪৩.৭২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫৩৩৫ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়া সূচক ১.৪৭ পয়েন্ট কমে ১১৮৯ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ২২.০৮ পয়েন্ট কমে ১৯৪২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি কম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৫৩টি কম্পানির, কমেছে ২৮৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৫টির।
ডিএসইতে এদিন মোট ৩৬৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩৬৮ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক ৮৮.১২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৯১১৫ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৫৪.৫০ পয়েন্ট কমে ১৫১২ পয়েন্টে, শরিয়া সূচক ১১.৬৭ পয়েন্ট কমে ৯৭৯ পয়েন্টে এবং সিএসই৩০ সূচক ১২১.৮৪ পয়েন্ট কমে ১২২৪৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply