বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ২৫ অক্টোবর, শুক্রবার বিকাল ৪ ঘটিকায় বাংলাদেশে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না কেন? শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, রাষ্ট্রচিন্তক, বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির তাত্ত্বিক ও উপদেষ্টা এবং সর্বজনীন গণতন্ত্রের প্রবর্তক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। সভাপতিত্ব করেন পার্টির আহ্বায়ক এম এ আলীম সরকার এবং সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় সদস্য লেখক অমূল্য কুমার বৈদ্য। তাতে প্রধান আলোচক বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে সদিচ্ছা দরকার, তা রাজনৈতিক দলগুলোর ও নেতাদের মধ্যে সদিচ্ছার অভাব। নির্বাচন কমিশন আইনের দিক দিয়ে বিরাট ক্ষমতার অধিকারী হলেও সরকারের বাইরে কোনো দলের সমর্থন পায় না। নির্বাচন কমিশনের প্রতি এই অনাস্থা নিয়ে কোন নির্বাচন হয় না। সরকার নির্বাচন কমিশন ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে ফলাফল ঘোষণা করিয়ে দেয়। এই অবস্থা চলে আসছে। এটা সম্পূর্ণ অনুচিত। তিনি বলেন রাজনীতিক বাস্তবতায় অনেক নিচে নেমে গেছে। তিনি আরো বলেন নির্বাচন স্বাভাবিক করতে হলে দরকার উন্নত চরিত্রের রাজনৈতিক দল গঠন করা। বাংলাদেশের রাজনীতির গতি প্রকৃতি নির্ধারণ করার বেলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রাতহবিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ধারায় পরিকল্পনা অনুযায়ী সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় জাতীয় উন্নতি সম্ভাবনা নষ্ট হয়। নির্বাচনের এবং রাজনীতি ও সুষ্ঠু রাষ্ট্র পরিচালনা পর্যায়ক্রমে সম্ভব করা যেতে পারে উন্নত রাজনৈতিক চরিত্রের দল প্রতিষ্ঠা করে। সভাপতির বক্তব্যে এম এ আলীম সরকার বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে রাজনৈতিক যে অবস্থা চলছে, এখানে ভোগবাদ ও সুবিধাবাদ ছাড়া আর কোনো ধারার চিন্তা ও চেষ্টা খুঁজে পাওয়া যায় না। বাংলাদেশে বংশানুক্রমিক উত্তরাধিকার-ভিত্তিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত আছে। এটা সম্পূর্ণ গণতন্ত্র-বিরোধী। এই পদ্ধতি বাতিল করে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল গঠন এবং দলভিত্তিক প্রতিনিধিত্বের সরকার গঠনের নীতি অবলম্বন করতে হবে। তিনি আরও বলেন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য যেভাবে বেড়ে চলছে, তাতে অন্তত এক-তৃতীয়াংশ মানুষ অনাহারে অর্ধাহারে আছে। দেশে এক ধরনের দুর্ভিক্ষ চলছে। অন্তর্র্বতীকালীন সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে। ব্যবসায়িক সিন্ডিকেটদের নিয়ন্ত্রণ করে দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার জন্য অন্তর্র্বতীকালীন সরকার নিকট দাবি জানান। আরো বক্তব্য রাখেন পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য প্রভাষক বিজন হালদার, সাবেক ছাত্র নেতা কামাল হোসেন বাদল এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply