টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের যানবাহন ও ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে। গণপরিবহন না থাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা মহাড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে ঘরমুখো যাত্রীদের। এছাড়া, স্বাভাবিক সময়ের চেয় কয়েকগুণ বেশি ভাড়া গুণতে হচ্ছে তাদের।
অপরদিকে, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি ও মোটর সাইকেলে গাদাগাদি করে যাতায়াত করছেন মানুষ। এতে করে করোনা ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে।
সরেজমিন সোমবার (১০ মে) সকালে মহাসড়কের ঘারিন্দা, কান্দিলা, রাবনা, বিক্রমহাটি, রসুলপুর, পুংলি, এলেঙ্গা ও হতেয়া ঘুরে দেখা যায়, মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন স্ট্যান্ডে ঘরমুখো মানুষকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। গণপরিবহন না থাকার সুযোগে ট্রাক, প্রাইভেটকার, মাইক্রো, এম্বুলেন্স, হাইস, সিএনজি ও মোটরসাইকেল চালকদের কয়েকগুন বেশি ভাড়া আদায় করতে দেখা গেছে। আবার অনেক যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। জয়দেবপুর থেকে এলেঙ্গা চার লেন হওয়ায় স্বাভাবিক গতিতে চলছে যানবাহন। তবে এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপার পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার সিঙ্গেল লেন হওয়ায় মাঝে মাঝে যানবাহনের জটলার কারণে ধীর গতিতে চলাচল করছে যানবাহন।
হাসনা বেগম নামে এক নারী যাত্রী বলেন, ‘আমি নাগরপুর থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত এসে সিএনজি। আগের দেড়গুণ ভাড়া বেশি দিতে হয়েছে। নাটোরের গাড়ির জন্য প্রায় এক ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি। কিভাবে বাড়ি ফিরবো বুঝতেছি না। এক হাইস গাড়ির চালক আমার কাছে ১৪০০ টাকা ভাড়া চেয়েছে। এতো বেশি টাকা চাইলে কীভাবে যাবো?’
আলতাব হোসেন বলেন, ‘টাঙ্গাইল রাবনা বাইপাস থেকে সিরাজগঞ্জ রোডে যাচ্ছি ৫০০ টাকা দিয়ে। আগে ১০০-১৫০ টাকায় যেতে পারতাম। বাড়তি ভাড়ার সঙ্গে ভোগান্তি তো আছেই।’
পাবনাগামী আব্দুল আলীম বলেন, ‘গণপরিবহন না থাকায় তিনগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে সুনামগঞ্জ থেকে বাড়ি যাচ্ছি। সুনামগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহ ও ময়মনসিংহ থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত দুই সিএনজিতে এসেছি। দাঁড়িয়ে আছি অনেকক্ষণ ধরে, তবে গাড়ি পাচ্ছি না।’
বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রোববার (৯ মে) ভোর ৬ টা থেকে সোমবার (১০ মে) ভোর ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩১ হাজার ৮৯৯টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। টোল আদায় করা হয়েছে দুই কোটি ২০ লাখ ২৭ হাজার ৬৩০ টাকা। যা অন্য স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। সামনে ঈদ জন্য মহাসড়কে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ অনেক বেশি।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply