নিজস্ব প্রতিনিধঃ আনোয়ার হোসেন যশোর থেকে
ঈদের আগের দিন যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিট (রেড জোন) থেকে পালিয়ে যাওয়া ভারত ফেরত বাংলাদেশি নাগরিক ইউনুস আলী গাজীর (৪০) এখনো খোঁজ মেলেনি। আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী তথ্য প্রযুক্তির সহয়তা নেয়াসহ সম্ভাব্য সব স্থানে অভিযান পরিচালনা করলেও ধরতে পারেনি এখনো করোনাভাইরাস বহনকারী ইউনুসকে।
যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরও পালিয়ে যাওয়ার করোনা ইউনিটে কর্তব্যরত দুই’নার্স সহ এক নিরাপত্বা প্রহরীকে শোকজ করা সহ দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। একই সাথে ঘটনার রহস্য উদঘাটনে গত সোমবার তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক হিমাদ্রি শেখর সরকার। পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট আব্দুর রহিম মোড়লকে প্রধান করে গঠিত কমিটিতে সদস্য সচিব রয়েছেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার আরিফ আহমেদ। এছাড়াও ডেপুটি সিভিল সার্জন সাইনূর সামাদ ও উপসেবা তত্ত্বাবধায়ক ফেরদৌসী বেগম সদস্য হিসেবে তদন্ত কমিটিকে সহযোগিতা করবেন।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৮, ২০, ২৩ ও ২৪ এপ্রিল হাসপাতাল থেকে ভারত ফেরত সাতজনসহ মোট দশজন করোনা পজিটিভ রোগী পালিয়ে যায়। ২৬ এপ্রিল রাতে সকল রোগীকে আটক করে হাসপাতালে ফিরিয়ে আনে পুলিশ।
দায়িত্বশীল সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে, ঈদের আগের দিন করোনা ইউনিটে (রেড জোন) রোগী সেবার কাজে নিয়োজিত ছিলেন সিনিয়র স্টাফ নার্স বিজলী বালা রপ্তান ও শিউলী সরকার। গেটে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছিলেন মুজিবর রহমান। ওই দিন বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে ভারত ফেরত করোনা পজিটিভ ইউনুসকে ভর্তি করে হাসপাতালের রেডজোনে পাঠানো হয়। ইউনুস চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ চররামপুর গ্রামের লুৎফর রহমান গাজীর ছেলে। চিকিৎসা না নিয়েই কৌশলে পালিয়ে যান তিনি। বিষয়টি জানতে পেরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক জেলা প্রশাসন ও আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করে। এরপর পুলিশ তাকে ধরতে অভিযান চালালেও সন্ধান করতে পারেনি।
ওই ঘটনায়ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি তদন্ত শেষ করে তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেছে। প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে অতিদ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার আরিফ আহমেদ।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply