ফাহাদ মোল্লা নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টংগিবাড়ী উপজেলার টংগিবাড়ী বাজারের পাশে পুকুর ঘাটলাটি যেন ময়লার ভাগাড়ে পরিনত হয়েছে। যেখান থেকে সৃষ্ট দুর্গন্ধের ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে সাধারণ জনগন ছড়িয়ে পড়ছে মশা মাছি বাহিত রোগ জীবাণু স্থানীয় দের অভিযোগ দীর্ঘদিন যাবত ময়লার স্তুপ জমার কারণে এখানে দুর্গন্ধ যুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে পথচারী আসলাম যানান দ্রুত প্রশসনের নজর দারী না হলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টংগিবাড়ী বাজার থেকে বেতকা যাওয়ার পথে বাজার থেকে ফেলা ময়লা থেকে প্রচুর দূর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে। যেখান দিয়ে যাওয়ার সময় পথচারীদের মুখে কাপড় দিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, টংগিবাড়ী বাজারের সমস্ত ময়লা উক্ত পুকুর ঘাটলার পাশে ফেলা হয়। এমনকি বিভিন্ন পশুর বিষ্ঠাও এখানে ফেলা হয়। ময়লা ফেলার নির্ধারিত জায়গা ও পর্যাপ্ত আস্তাকুঁড়ের (ডাস্টবিন) অভাবে উক্ত জায়গাটিতে ফেলা হচ্ছে ময়লা। নিয়মিত পরিষ্কার না করায় এসব স্তূপ থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। এছাড়াও নির্ধারিত ডাস্টবিন না থাকায় অধিকাংশ প্লাস্টিকের বর্জ্য বৃষ্টির পানির সঙ্গে বাজারের পাশে থাকা উক্ত পুকুরের পানিতে মিশছে। এতে করে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি দূষিত হচ্ছে এই পুকুরের পানি। ফলে ঐই এলাকার মানুষ চরম ভোগান্তি তে পরছে বলে জানা যায়।
রাস্তাটি জনবহুল গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় হওয়ায় এখান দিয়ে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রোগী, বয়স্ক-বৃদ্ধ মানুষসহ হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে থাকে এ জায়গা দিয়ে টংগিবাড়ী বাজারের ব্যবসায়ী টিটুল বলেন, বাজারের নালাগুলো অকার্যকর হয়ে পড়ায় ঠিকমতো পানি নিষ্কাশন হতে পারে না। আর ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় যত্রতত্র ফেলতে বাধ্য হচ্ছে সবাই। বাজার ও পরিবেশ সমুন্নত রাখতে একটি ভাগাড় বিশেষ প্রয়োজন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আরেক ব্যবসায়ী সরোয়ার হোসেন বাচ্চু বলেন, আমাদের আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট কোনো জায়গা নেই; যার ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসলাম হোসেন এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, টংগিবাড়ী বাজার কমিটি , ইজারাদার ও সংশ্লিষ্টদের সাথে বসে কথা বলে এর সমাধান করা হবে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply