রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। মহাখালী থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দিকের সড়কে দুই পাশেই সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। চরম ভোগান্তিতে পড়েছে পথচারী সাধারণ লোকজন।
অবরোধ চলাকালে নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী আন্তনগর ট্রেন উপকূল এক্সপ্রেস মহাখালী রেলক্রসিং অতিক্রম করার সময় সেটি থামানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ট্রেনটি না থেমে গতি কমিয়ে চলতে থাকলে সেটি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে ট্রেনের কয়েকটি জানালার কাচ ভেঙে গেছে। এ সময় ট্রেনের ছাদে কয়েকজনকে উঠে পড়তে দেখা যায়।
আজ সোমবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে প্রায় দুই সস্রাধিক শিক্ষার্থী তিতুমীর কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মিছিল নিয়ে বের হয়। মিছিলটি আমতলী মোড় হয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মহাখালী রেলক্রসিং এলাকায় অবস্থান নেয়।
এসময় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে কোনো প্রতিনিধি না আসা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা অবরোধ না তোলার ঘোষণা দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের মহাখালীতেই আসতে হবে। ঘটনাস্থলে পুলিশের সাঁজোয়া যান ও জলকামান রয়েছে।
সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে এবং তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন গঠনের দাবিতে কয়েক মাসে একাধিকবার সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে মহাখালী থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দিকের সড়কে দুই পাশেই যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যানবাহন না থাকায় অনেকেই পায়ে হেঁটে গন্তব্যে রওনা দেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, মহাখালী উড়ালসড়ক এবং নিচের সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ থাকলেও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সচল রয়েছে। তবে মহাখালী দিয়ে আর কোনো ট্রেন চলতে দেখা যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অবরোধকারীরা শুধু অ্যাম্বুলেন্স, সিএনজিচালিত অটোরিকশায় রোগী থাকলে সেটি যেতে দিচ্ছে।
মাহমুদুল হাসান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যদি একজনও আলোচনায় বসতে চায়, তাহলে তাঁকে মহাখালী সশরীরে আসতে হবে। অন্য কোথাও আলোচনা হবে না। শিক্ষার্থীদের সবার সঙ্গে বসতে হবে। রাষ্ট্রের প্রতিনিধি এলে তাঁরা রেলপথ ছেড়ে দিয়ে আমতলী চলে যাবেন বলে তিনি জানান।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply