মোঃ শাহিন আলম পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নের আংগারিয়া ও বাহেরচর গ্রামে নদীর ভাঙ্গনে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী সর্বস্ব হারাতে বসেছে।
৩১ জুলাই সকাল ৮.৩০মিনিটে সময় হঠাৎ প্রায় ২-৩ একর জমি নিয়ে নদীগর্ভে তলিয়ে যায়। অনেকের কৃষিজমি , গাছপালা ও বসতঘরের ভিটি-মাটি বিলীন হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থরা হলেন মিলন মিরা, মামুন মিরা, ফয়সাল মিরা, দুলাল হাওলাদার, জলিল সিকদার, ফরিদা, ক্ষিতিষ ঘরামী, হিমান্ত ওঝা, পান্টু পাইক, বিমল রায়, বশির হাওলাদার, শাহআলম হাওলাদার, পরিমল পাইক, জাকির হাওলাদার, রুহুল আমিন হাওলাদারসহ আরও অনেকেই
হঠাৎ বিলীন হওয়ার সময় জমিতে কৃষি কাজ করতে যাওয়া ১২-১৪ জন লোক নদীতে ঢেউয়ের সাথে পড়ে যায়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত হয় বশির এবং আরাফাত। বিপাকে পড়েছে ২৫-৩০টি বসতবাড়ী প্রায় দীর্ঘদিনের চলমান এই নদী ভাঙ্গন ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই বিষয়ে এলাকাবাসী একাধিকবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন । আংগারিয়া ইউনিয়নের আংগারিয়া ও বাহেরচর গ্রামের দীর্ঘ ৬০ বছর যাবত এই নদী ভাংগন শুরু হলেও এখনও শেষ হয়নি।
নদী ভাংগন বৃদ্ধি পেয়ে গ্রামের চিত্র পাল্টে গেছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার ও বর্তমান ইউপি সদস্য মো: শাহীন গাজী। কয়েকমাস পূর্বে ভাঙ্গন রোধের জন্য এলাকাবাসী মানববন্ধন করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করলেও অদ্যবধি পর্যন্ত কোন ফল পাওয়া যায়নি।
এলাকার বাসিন্দা তরিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের এমনই অবস্থা হয়েছে যে, মাথাগুজার ঠাঁই নেই বললেই চলে। ঘর বাড়ি ভেঙ্গে যাওয়ায় প্রতিবছর নতুন ঘর তৈরি করতে হয়। অনেকের ভিটে-মাটি না থাকায় অন্যের বাড়ির আঙ্গিনায় ও রাস্তার পাশে ঘরতুলে দিনযাপন করছেন।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply