জাকির খান এক সময়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। পরবর্তীতে বিএনপির রাজনীতিতে জড়ানোর পরেই ত্রাসের মাধ্যমে ক্রমশ খলনায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন তিনি।
জাকির খান দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগেরও কাছাকাছি সময় ধরে দেশের বাইরে অবস্থান করার পরে তিনি দেশে ফিরে আসেন।
জানাযায় ১৯৮৯ সালে জাকির খানের রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রবেশ করেন। ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর কামালউদ্দিন মৃধার নেতৃত্বে তিনি ১৯৯৪ সালে বিএনপিতে যোগ দেন।
এক পর্যায়ে দেওভোগ এলাকার অপর শীর্ষ সন্ত্রাসী দয়াল মাসুদকে শহরের সোনার বাংলা মার্কেটের পেছনে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে দুধর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে শহরে পরিচিত হয়ে উঠেন জাকির খান।
১৯৯৬ সালে বিএনপি সরকারের শেষ দিকে জাকির খান শহরের খাজা সুপার মার্কেটে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে জেলে যান।
একই বছরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার ৭ মাসের মাথায় কাশীপুর বাংলাবাজার এলাকায় এক ঠিকাদারের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় দ্বিতীয় দফায় জাকির খানের ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয় এবং জেলে যান।
১৯৯৯ সালে স্বল্প সময়ের জন্য জেল থেকে বের হয়ে জাকির খান জেলা ছাত্রদলের সভাপতির পদটি পেয়ে যান। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পরও প্রায় ৫ মাস জেলে থাকেন জাকির খান।
সর্বশেষ ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও বিআরটিসির তৎকালীন চেয়ারম্যান তৈমুর আলম খন্দকারের ছোট ভাই ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার আততায়ির গুলিতে নিহত হয়। এ ব্যাপারে জাকির খানকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন তৈমুর আলম খন্দকার। এরপর জাকির খান নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে পাড়ি জমান থাইল্যান্ডে। পরে আবার তিনি দেশে গোপনে ফিরে আসেন।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply