কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি এম, সোহাইল চৌধুরী :
সদর উপজেলা ককসবাজারের ঈদগাঁহ বাঁশঘাটা এলাকায় চৌধুরী ফার্মেসিতে চাঁদার দাবীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ডাঃ শামশুল হুদা’ চৌধুরীকে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পরিপ্রেক্ষিতে কক্সবাজার সদর থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
ককসবাজা মডেল থানায় দায়েরকৃত এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও বাঁশঘাটা এলাকায় চৌধুরী ফারমেসী স্বত্তাধিকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ডাঃ শামশুল হুদা নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘চৌধুরী ফার্মেসী’তে পল্লী চিকিৎসক হিসেবে সেবা দিয়ে আসছেন ২০ বছর যাবত।
এদিকে কিছু দিন ধরে ওই এলাকার ক্রাস সৃষ্টিকারী একদল চিহ্নিত চাঁদাবাজ তাঁর কাছ থেকে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে আসছিল। এবং হুমকি দিয়ে বলেন চাঁদা দিতে হইবে নয়ত এই এলাকায় ব্যবসা বানিজ্য করতে পারবেনা। কিন্তু তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চাঁদা দিতে কোন ভাবেই রাজী হননি। এরই প্রেক্ষিতে গত ১২ অক্টোবর সোমবার রাত ৯ ৩০ মিনিটের সময় ৫-৬ জন সন্ত্রাসী চাঁদার দাবীতে ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড় নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চৌধুরী ফার্মেসিতে হামলা চালায়। হামলাকারীদের আঘাতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ শামশুল হুদা’র ডান হাত ভেঙ্গে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারাত্মক জখম হয়ে এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

উল্লেখিত এজাহারে চাঁদার দাবীতে হামলাকারীরা হলেন সদর উপজেলার ইউছুপের খিল (৬ নং ওয়ার্ড) ইসলামাবাদ এলাকার মৃত ছৈয়দ নুরের ছেলে দিদারুল ইসলাম (৩৩) বর্তমান এমইউপি ও তার ছোট ভাই মোঃ মহসীন (২৪) এবং তার ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী বিবিন্ন মামলার আসামী হুিরুইন সেবী অত্র উপজেলার জালালাবাদের মৃত ছৈয়দুর রহমানের ছেলে আব্দু শুক্কুর আদ্দু (৪২) সহ ৫-৬ জনের একটি দল। উক্ত সন্ত্রাসীরা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ডাঃ শামশুল হুদা চৌধুরীর উপর নেক্কারজনক হামলার পাশাপাশি ঔষধের দোকানে ভাংচুর ওলটপালট চালায়। যার ক্ষতি প্রায় ৫০ হাজার টাকারও বেশি বলে ধারনা করা যাচ্ছে । এছাড়া তাঁর তার বড় ছেলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সিনিয়র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এম, সোহাইল চৌধুরীর ব্যবহৃত ৬০ হাজার টাকা দামের দামী Huawei Met 30 pro মোবাইল নিয়ে যায়। ড্রয়ারে থানা নগদ ১০হাজার টাকাও নিয়ে যায়।
চৌধুরী ফার্মেসিতে হামলা শেষে তারা প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে যায় তাদের দাবীকৃত চাঁদা না দিলে ওখানে ব্যবসা করতে পারবেনা। প্রয়োজনে খুন খারাপি হয়ে যাবে। এ অবস্থায় জীবনের নীজ জীবন ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ডাঃ শামশুল হুদা। এই মুহুত্বে একটি স্বাধীন দেশে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা চেয়েছেন প্রশাসনের কাছে।


All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply