এম শহিদুল ইসলাম, (দুসস) টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় বয়ষ্কভাতার কার্ডে বয়সের অসঙ্গতি থাকায় ৫৫৭ জন সুবিধা ভোগীর ভাতা বন্ধ করে দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। উপজেলার নজুনবাগ গ্রামের হালিমা দশ বছর আগে থেকে বয়স্কভাতার টাকা উত্তোলন করেন। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার জন্ম ৩ মার্চ ১৯৭২। বর্তমান বয়স ৪৮। তার বয়স যখন ৩৮ বছর তখন থেকে বয়স্ক ভাতার তালিকায় নাম ওঠে তার।
হালিমা জানান, দিগড় ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের তৎকালীন মেম্বার আব্দুর রউফ গুডু তাকে ভাতা কার্ড করে দেন। অথচ বয়স্ক ভাতাপ্রাপ্তির নীতিমালায় বলা আছে, পুরুষ ৬৫ এবং মহিলা ৬২ বছর হতে হবে।
বয়সের এমন অসঙ্গতির কারণে এ উপজেলায় ৫৫৭ জন বয়স্ক ভাতাভোগীর ভাতা স্থগিত করা হয়েছে। বয়স অনুপযোগী দেখিয়ে ভাতা বন্ধের ওই তালিকায় ১১ ডিসেম্বর স্বাক্ষর করেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা।
উপজেলা সমাজসেবা অফিস জানায়, জেলার ঘাটাইল উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখ্যা ১২ হাজার ৬৯৩ জন। ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছর থেকে বয়স্ক লোকদের জন্য এই ভাতা চালু করে সরকার। চলতি বছর সমাজসেবা অধিদপ্তরের নির্দেশে এমআইএস (ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম) কার্যক্রম পরিচালনা করে উপজেলা সমাজসেবা অফিস। এ কাজে সহযোগিতা করেন ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা ও সমাজকর্মীরা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৭২টি উপজেলায় এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে সারাদেশে একযোগে এ কার্যক্রম চালু হয়েছে। ভাতাভোগীরা সশরীরে ভাতা বই, জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে হাজির হন ইউনিয়ন পরিষদে।
সমাজসেবা অফিস সূত্রে জানা যায়, অনলাইনে সমাজসেবার সফটওয়্যারের মাধ্যমে ভাতাভোগীর বই নম্বর, জন্মতারিখ ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর দিয়ে অনুসন্ধান করলে বেড় হয়ে আসে সব তথ্য। যদি কোনো ভাতাভোগীর বয়স ৬৫ বা ৬২ এর কম হয় তবে সফটওয়্যার তা ইনভেলিড দেখায়। ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে রসুলপুর ইউনিয়ন এখনও কোনো তালিকা জমা দেয়নি।
১৩টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা মিলে বয়সের অনুপযোগী থাকায় ভাতা বন্ধ হয়ে গেছে ৫৫৭ জনের। বয়সের সবচেয়ে বেশি অসঙ্গতি পৌরসভায় ৯৪ জন এবং সবচেয়ে কম সন্ধানপুর ইউনিয়নে ৮ জন। অন্যান্য ইউনিয়নের মধ্যে দেউলাবাড়ি-২৯, জামুরিয়া-৫৩, ঘাটাইল-২৯, লোকেরপাড়া-৬০, আনেহলা-৮১, দিঘলকান্দি-৫৪, দিগড়-৩৭, দেওপাড়া-৩০, সংগ্রামপুর-১৪, ধলাপাড়া-৩৯, সাগরদিঘি-৯ এবং লক্ষিন্দর ইউনিয়নে ২০ জন।
এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আসাদুল ইসলাম বলেন, ৫৫৭ জনের ভাতা কার্যক্রম স্থগিত আছে। এদের স্থলে নীতিমালা অনুযায়ী অন্যদের প্রতিস্থাপন করা হবে। এখন আমাদের সব কাজ অনলাইনে হয়। তাই এ ধরনের কাজ আর হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমরা নির্বাচন অফিসের সাথে সমন্বয় করে কাজ করে যাচ্ছি।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply