টাঙ্গাইল প্রতিনিধি, (দুসস নিউজ)ঃ দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্কের সফলতা আসে বিবাহ বন্ধনের মাধ্যমে। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রেমের সম্পর্কের টানে পালিয়ে গিয়ে আদালতের মাধ্যমে বিয়ে হয় দুই প্রেমিক প্রমিকার। এরপর মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) তাদের দুই পরিবারের সম্মতিতে সামাজিকভাবেও বিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু নব বধুর মেহেদীর রং না শুকাতে এমনকি বাসর সজ্জার রাত পোহাতেই বুধবার (২০ জানুয়ারি) সকালে ইলেক্ট্রিক ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা গেল নববধূ প্রেমিকার লাশ।
টাঙ্গাইলের বাসাইল পৌরসভার বাসাইল পশ্চিমপাড়া এলাকার গিয়াস উদ্দিনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে বাসাইল থানা পুলিশ ঝুলন্ত নববধূর লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
জানা যায়, বাসাইল জড়াশাহীবাগ এলাকার আবুল হাশেম খানশুরের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে জান্নাতুল আক্তার তন্নীর সঙ্গে বাসাইল পশ্চিমপাড়া এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে সাদেক আহমেদ সাইমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) তারা দু’জনে পালিয়ে গিয়ে প্রথমে আদালতের মাধ্যমে বিয়ে করে। এরপর দুই পরিবারের সম্মতিতে ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের প্রথম রাত পোহাতে না পোহাতেই বাসর ঘরেই ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তন্নীর লাশ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে নিহত জান্নাতুল আক্তার তন্নীর মা বিউটি বেগম বলেন, উভয় পক্ষের সম্মতিতে সামাজিক বিবাহ বন্ধনের মাধ্যমে ‘স্বামীর বাড়িতে মেয়েটি প্রথম রাত কাটায়। এরপর সকালে জানতে পারি মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না।’
তন্নীর স্বামী সাদেক আহমেদ সাইমের ভাবি হাশি খানম বলেন, ‘সকালে সবাই একত্রে খাবার খেয়েছি। পরে আমার দেবর সাইম বাজারে যায়। এরপর সবার অজান্তে সাইমের বউ তন্নী আত্মহত্যা করে।’
বাসাইল পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম রিপন বলেন, ‘বাসর রাত শেষে সকালে মেয়েটির স্বামী বাজারে যায়। পরে ঝুলন্ত অবস্থার মেয়েটির লাশ পাওয়া যায়। কি কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে তা বুঝতে পারছি না।’
বাসাইল থানার এসআই আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘নিহতের লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর রহস্য জানা যাবে।’
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply