নিজস্ব প্রতিবেদকঃ যশোর থেকে।
দেশের চিকিৎসা খাতে ব্যবহৃত অক্সিজেনের চাহিদার বড় একটি অংশ আমদানি হয়ে থাকে ভারত থেকে। প্রতি মাসে শুধু বেনাপোল বন্দর দিয়েই প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন অক্সিজেন আমদানি হয়ে থাকে। করোনাকালে বেড়েছে অক্সিজেনের চাহিদা। কিন্তু এরমধ্যেই বাংলাদেশ এ হঠাৎ করেই ভারত থেকে অক্সিজেন আমদানি বন্ধ ।
দেশীয় আমদানিকারকরা জানান, ভারতীয় রফতানিকারকরা বলছেন, ভারতীয় অক্সিজেন রফতানি না করতে তাদের ওপর চাপ রয়েছে। তাই ভারতে ভবিষ্যৎ চাহিদার কথা ভেবে বাংলাদেশে অক্সিজেন রফতানি সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে।
করোনাকালীন আক্রান্ত রুগীর জীবন বাঁচাতে সম্প্রতি এ অক্সিজেনের চাহিদা আরও বাড়ছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ এ হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে গেছে ভারত থেকে অক্সিজেন আমদানি।
বন্দর সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সুসম্পর্কের কারণে করোনা মহামারীর এই সময়েও বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে জীবন রক্ষাকারী গ্যাস অক্সিজেন আমদানি অব্যাহত ছিল। গত ১৩ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত ৯ দিনে এই বন্দর দিয়ে ৬৯০ মে. টন অক্সিজেন রফতানি করতো ভারত। এদিকে ভারতএ অক্সিজেন সংকট দেখা দেওয়ায় কোন ঘোষণা ছাড়াই তারা গ্যাস রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে বিপাকে পড়েন ব্যবসায়ীসহ স্বাস্থ্যবিভাগ সংশ্লিষ্টরা।
ওপারের রফতানিকারকরা বাংলাদেশ এর আমদানিকারকদের জানিয়েছেন, অক্সিজেন রফতানি বন্ধে তাদের ওপর চাপ রয়েছে। ভারতের চাহিদার কথা ভেবে বাংলাদেশে অক্সিজেন রফতানি সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ-ভারত চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাপ চলছে। এতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য অক্সিজেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদিও ভারতেও অক্সিজেন স্বল্পতা রয়েছে। তারপরও বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন এবং বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী হওয়ায় বাংলাদেশকে তারা তরল অক্সিজেন প্রদান অব্যাহত রাখবে বলে আশা করি।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সবসময়ই সুসম্পর্ক বিদ্যমান। তাই করোনার এসময়ে ভারতের উচিত কম করে হলেও অক্সিজেন রফতানি সচল রাখা।
বেনাপোল স্থল বন্দর বেনাপোল উপপরিচালক আব্দুল জলিল বলেন, গত ৪দিনে বন্দর দিয়ে কোন অক্সিজেনের চালান আসেনি। তবে এ নিয়ে সরকারি কোন নির্দেশনাও পাননি তারা।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply