নিজস্বঃ প্রতিনিধি যশোর থেকে ।
যশোরের করোনার প্রভাবে জনজীবন থমকে গেলেও, থেমে নেই শার্শা উপজেলায় মাদকের কারবার। অধিক মুনাফার লোভে শিশু থেকে শুরু করে নারী, বৃদ্ধ এমনকি এ সীমান্তের জনপ্রতিনিধিরা এখন মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে।
তথ্যে জানযাই যশোরের শার্শা উপজেলার বিভিন্ন সীমান্তবর্তী গ্রামে পুটখালী, দৌলতপুর, সাদিপুর, রঘুনাথপুর, বাহাদুরপুর, দাউদ খালী, রুদ্রপুর, গোগা, হরিশ্চন্দ্রপুর, অগ্রভুলোট ও পাঁচভুলোট সীমান্তে চোরাই ভাবে অবাদে মাদক দ্রব্য আসছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে। মাদক নিয়ন্ত্রনে প্রশাসন জিরো টলারেন্স ঘোষনা করলেও, অসাধু কিছু আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের সহযোগীতায় চলছে দেদারসে মাদকের কারবার। আর মাদকের গডফাদাররা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। প্রতিদিন বিপুল পরিমানের মাদক পাচার হয়ে আসলেও ধরা পড়ছে সীমিত।
উল্লেখ্য, বেনাপোল পুটখালী সীমান্ত থেকে গত মঙ্গলবার ৪ মে সকালে ৩৪ বোতল ফেনসিডিল ও একটি মোটরসাইকেল সহ মোমিনুর রহমান (৩৬) নামে এক ইউপি সদস্যকে আটক করেছে বিজিবি।
মাদকের ছোট ছোট চালান সহ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও বহনকারী আটক হলেও, ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে ডিলাররা ও ঘাট মালিকরা। তবে, কিছু ক্ষেত্র বিশেষে ইদানিং দেখা যাচ্ছে, শিশু থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরাও অল্প সময়ে অধিক লাভের আশায় নিজেদেরকে বিলিয়ে দিচ্ছে মাদক ব্যবসায়। ভিন্ন ভিন্ন কৌশল, অভিনব কায়দায় পাচার করছে মাদকদ্রব্য। সেই সাথে মাদক পাচারের কাজে ব্যবহৃত মোটর সাইকেল ও ইজিবাইকও জব্দ করছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বিভিন্ন সুত্র জানিয়েছে শার্শা উপজেলার দক্ষিন বুরুজ বাগান, নিউ কাতপুর, দাউদখালী, রুদ্রপুর, গোগা হরিশ্চন্দ্রপুর, অগ্রভুলোট, পাঁচভুলোট, সীমান্ত দিয়ে প্রচুর পরিমানে মাদকদ্রব্য আসছে বাংলাদেশে। এছাড়া কলারোয়া সীমান্তের চান্দুড়ীয়া, সুলতানপুর ও চন্দনপুর সীমান্ত এলাকা ব্যবহার করছে মাদকের গডফাদাররা। মাদক পাচারকে কেন্দ্র করে বাগআঁচড়া, কোটা, কায়বা, রাড়ীপুকুর ময়নার বটতলা, ইছাপুর, মহিষাকুড়া, টেংরা, সামটা, আমতলা (সাতমাইল) ও জামতলা এলাকায় গড়ে উঠেছে একাধিক সিন্ডিকেট। প্রায় প্রতিদিনই আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে মাদক সহ বহনকারী ধরা পড়লেও মাদকের মালিক পাচারকারীরা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
আর আটককারীদের ভাষ্য তারা মালিক কে তা জানেন না। সিন্ডিকেটের সদস্যরা তাদের মাদকের চালান ধরিয়ে দেয়। তাদেরই লাইনম্যান দ্বারা গন্তব্যে পৌঁছে দেয় এবং তাদের দ্বারা মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করে গডফাদাররা।
এলাকার সচেতন মহল জানায়, করোনাকালে মাদকের কারবার দ্বিগুন হারে বেড়েছে। আগের তুলনায় বহুগুনে শার্শা উপজেলায় মাদকের কারবার ও সেবনকারী বেড়েছে। যা নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে এলাকার অভিভাব গন। সেই সাথে প্রশ্ন উঠেছে করোনায় বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তল্লাশি চৌকি থাকতেও কিভাবে সীমান্তে থেকে পৌঁছাচ্ছে মাদক কারবারিরা।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply