নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আনোয়ার হোসেন।যশোর থেকে।
গতকাল রোববার বেলা ১১টায় কালেক্টরেট ভবনে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় ও সার বীজ কমিটির সভায় এই নির্দেশনা দেয়া হয়। ডিসির এক প্রশ্নের জবাবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যশোরের সহকারী পরিচালক ওয়ালিদ বিন হাবিব বলেন, বেশ কয়েকটি খুচরা দোকানে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হয়েছে। অন্যদিকে বেশ কয়েকজন ডিলার ও সাব ডিলারের কার্যক্রম খতিয়ে দেখা হয়। তারা খাতাপত্র ঠিক রাখলেও বিক্রির রশিদ দেখাতে পারেননি। রশিদ না দেয়ার অভিযোগ খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকেও পাওয়া গেছে।
যশোরে সারের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে কৃষি বিভাগ, বিএডিসি ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান। দাম বৃদ্ধির পেছনে ডিলার ও সাব-ডিলারের যোগসাজস থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে লাইসেন্স বাতিলসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও হুঁশিয়ার করেছেন জেলা প্রশাসক।
বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ তমিজুল ইসলাম খান বলেন বাজার দর নিয়ন্ত্রণ ও বিদ্যুতের অপচয় রোধ সহ সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সংশ্লিষ্টদের তদারকি বৃদ্ধির পরামর্শ দেন।
জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অবস) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা খানম, কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম মোড়ল ও মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।
এ সময় যশোর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মোকছিমুল বারী অপু বলেন, অধিকাংশ ডিলার গোডাউন থেকেই কাগজ বিক্রি করে দেয়। একটি ডিও একাধিক ব্যক্তির কাছে বিক্রির প্রমাণও আছে। তিনি নিজেও একটি ঘটনায় সালিশ করে টাকা আদায় করে দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান ডিলার পয়েন্টগুলোতে কৃষি কর্মকর্তাদের উপস্থিত থেকে সার বিক্রির নির্দেশ দেন।
বিএডিসির যুগ্ম পরিচালক (সার) রোকুজ্জামানকে উদ্দেশ্যে করে জেলা প্রশাসক বলেন, সার পরিবহন ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তারা নাকি সময় মতো সার পৌছে দিচ্ছে না। বিষয়টি সঠিক নয় দাবি করে বিএডিসির এই কর্মকর্তা বলেন, বেশ কয়েকটি দেশ থেকে নন ইউরিয়া সার আমদানি করা হয়। তারমধ্যে একটি দেশ রাশিয়া। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে কিছুটা সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে সার সংকট হবে না বলেও জানান তিনি।
এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক হুসাইন শওকত, পরিবেশ অধিদফতরের উপপরিচালক সাঈদ আনোয়ার, এলজিইডি যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী আনিছুজ্জামান, জেলা শিক্ষা অফিসার একেএম গোলাম আযম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ অহিদুল আলম বক্তব্য রাকেন। কেশবপুর পৌর মেয়র তার এলাকার কিছু সড়ক সংস্কারের কাজে অনিয়ম ও ধীরগতির অভিযোগ তুলে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। মণিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ডিমের দাম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী তাওহীদুল ইসলাম বলেন, ভৈরব নদের শহর অংশের খনন কাজ শেষ করা হয়েছে। শুধু উপশহর বাবলাতলা ব্রিজের অংশ বাকি রয়েছে। ইতিমধ্যে ভৈরবের ধারে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করার জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। ভবদহের জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানের জন্য বড় পাম্প স্থাপনের কাজ শুরু করা হয়েছে। নভেম্বরে শেষ করা হবে।
ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাক্তার নাজমুস সাদিক বলেন খুব শিগগিরই ৫ বছর থেকে ১১ বছরের ছেলেমেয়ের টিকা দেয়ার কার্যক্রম শুরু করা হবে। খুব তাড়াতাড়ি তারিখ ঘোষণা হবে। এখন থেকে রেজিস্ট্রেশন চলছে বলে জানান।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply