নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আনোয়ার হোসেন যশোর।
যশোর জেলায় কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে প্রশাসনের আলোচনা দৃশ্যমান হচ্ছেনা।গত ১৪ আগস্ট জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সমন্বিতভাবে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হলেও কোথাও সে কার্যক্রম চোখে পড়েনি। জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে বক্তব্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বলেছিলেন সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এটা বন্ধ করতে হবে। পুলিশ মানুষের জানমাল রক্ষা ও নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
কথা এবং কাজের মধ্যে অনেক ফারাক রয়েছে আলোচিত কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আইডিয়াল কলেজের দুই প্রভাষকসহ চারজন আহত হয়েছেন। এতে জনসাধারণের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আহতদের মধ্যে প্রভাষক শাহজাহানের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
গত ২১ আগস্ট রাত ৯ টার দিকে ২০-২৫ জনের কিশোর গ্যাং সদস্য ১০-১২ টি মোটর সাইকেল যোগে এসে হাতে লোহার রডসহ বিভিন্ন দেশি অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কেশবপুর শহরে মহড়া দেয়।এবং উপজেলা পরিষদ চত্বরে কেশবপুর আইডিয়াল কলেজের প্রভাষক শাহজাহান ও রফিকুল ইসলামের ওপর হামলা করেন। এসময় সন্ত্রাসীরা লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে তাদের পা ভেঙে দেয়। এরপর ওই সন্ত্রাসীরা পৌরসভার সামনে উপজেলার বায়সা গ্রামের ব্যবসায়ী আবুল কালাম (৩৫) ও বুলবুলকে (৫০) একইভাবে মারপিট করে। আহতদের প্রথমে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে শাহজাহানের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনায় পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় কেশবপুর শহর জুড়ে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। কলেজ শিক্ষকরা কিশোরদের হামলায় আহত হবে তা কোনক্রমেই মেনে নেয়া যায় না।
বর্তমানে কিশোরদের অপরারাধের কারণে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। আর প্রশাসন মানুষকে কথা দিয়ে শান্ত করতে করেই দায়িত্ব শেষ করছেন। উদ্বেগ জনক বিষয় হলো মেয়েদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা নিশ্চিন্ত ও বাধামুক্ত করতে এসব শ্রেণির কাজ দমনে কঠোরহস্ত হতে হবে। অপরাধের প্রতিটি ক্ষেত্রে যদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া না যায়, তাহলে এ রকম একটি পরিবেশ আশা করা যায়না। অপরাধীরা রেহাই পেলে আরো অপরাধ করার আষ্কারা পাবে তারা। একটি অপরাধের শাস্তি না হলে আর একটি অপরাধ সংঘটিত হবার পথ প্রশস্ত করবে।
আমরা মনে করি, যে যাই বলুক না কেন প্রশাসন সক্রিয় হলে বেপরোয়া কিশোররা সোজা পথে হাঁটবে। তারা যে বেপরোয়াভাবে চলছে- সে ব্যাপারে সবার যেন একটা গাছাড়া ভাব। এতে জাতির ভবিষ্যৎ কোন দিকে যাচ্ছে তা কেউ ভেবে দেখছে না। ছাত্র নামধারীদের দেখা যায় তারা পড়াশুনা না করে অধিক রাত পর্যন্ত বাড়ির বাইরে আড্ডা দিয়ে বেড়ায়। এদের প্রশাসন সামান্য তৎপর হলে তারা আড্ডা ভেঙে পড়ার টেবিলে পড়তে যাবে। কিন্তু সাধারণ কথাটা কেউ বুঝতে চাচ্ছে না। আজকের শিশুরা কালকের ভবিষ্যৎ। কিন্তু তাদেকে যদি দিক নির্দেশনা না দেয় হয়, গড়ে তোলা না যায়, তাহলে তারা জাতির ভবিষ্যৎ হবে কিভাবে হবে? এ সত্য উপলব্ধি করে সবাইকে এগিয়ে আসতেই হবে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply