নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আনোয়ার হোসেন। যশোরে
কৃষিমন্ত্রী ডঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে সার সংকট নেই এবং এখনো যা মজুদ আছে, তা দিয়ে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত চলতে কোনো অসুবিধা হবে না। সার নিয়ে অনিয়ম হলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে। সংকট সৃষ্টির সাথে জড়িত রা ক্ষমা পাবেন না হুঁশিয়ারি দিয়ে মন্ত্রী স্থানীয় প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেন। বলেন প্রয়োজনে লাইসেন্স বাতিল করতে হবে।
প্রধান অতিথি বলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, গুলশান-বনানীর মত ব্যবসায়ীরা কৃষি পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি ঘটিয়ে নব্য শোষক শ্রেণিতে পরিণত করেছিলেন। আমরা গত ১৩ বছরেও সারের দাম বৃদ্ধি করিনাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠনের পর প্রথম সংসদ অধিবেশনে সারের দাম কমানো হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার সারের কেজি প্রতি ৯০ টাকা করেছিল। আমরা ১৩ টাকায় নামিয়ে এনেছিলাম। অর্থনৈতিক মুক্তি ও খাদ্য নিরাপত্তায় বর্তমান সরকার কাজ করে চলেছে বলেই আজ বৈশ্বিক সমস্যা বাংলাদেশকে দুর্বল করতে পারেনাই, যেমনটি হয়েছে শ্রীলঙ্কা ও তুরস্কোতে। তুরস্কোতে এখন মুদ্রাস্ফীতি ৭৮ শতাংশে ঠেকেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যেকোন দেশের তুলনায় আমাদের বাংলাদেশ ভাল অবস্থানে আছে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যশোর জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বীরমুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন প্রমুখ। কর্মশালায় কৃষক ও বীজ বিক্রেতারা তাদের সুবিধা-অসুবিধার কথা তুলে ধরেন। ফরিদপুরের কৃষক হায়দার আলী বলেন, আবহাওয়া ঠিক থাকলে এবং কৃষি বিভাগ নিয়মিত পরামর্শ দিলে ফসলের বাম্পার ফলন পাওয়া যাবে। এবং আরও বেশ কয়েকজন এভাবেই তাদের আত্মপ্রত্যয়ের কথা তুলে ধরেছেন।
গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় যশোর পিটিআই’র মাল্টিপারপাস অডিটোরিয়ামে ‘বিদ্যমান শস্যবিন্যাসে তৈল ফসলের অন্তর্ভুক্তি ও অধিক ফলনশীল ধানের জাতসমূহের উৎপাদন বৃদ্ধি শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ে সচিব সায়েদুল ইসলাম।
কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএডিসির চেয়ারম্যান হায়াতুল্লাহ, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহাজাহান কবীর, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার, কৃষি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজির আলম, খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক হাবিবুর রহমান চৌধুরী, বিএডিসির পরিচালক (সদস্য) মোস্তাফিজুর রহমান, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক খালেকুজ্জামান, খামারবাড়ির ডিএ বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের অতিরিক্ত পরিচালক এখলাছ উদ্দীন ও উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল হক সহ প্রমুখ।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply