ভালুকা প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের ভালুকায় যৌতুকের দাবিতে মোছা: ঝর্না খানম (৩২) নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মডেল থানায় লিখিত াভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার মেদুয়ারী গ্রামের উত্তরপাড়ার মৃত জোনাব আলীর ছেলে মো: লুৎফর রহমানের সাথে ২০ বছর আগে ইসলামী শরীয়ামতে সাতেঙ্গা গ্রামের মোবারক হোসেন খানের মেয়ে ঝর্না খানমের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে চারভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার ও আসবাবপত্রসহ প্রায় চার লক্ষাধিক টাকার জিসিনপত্র দেয়া হয়। বেশ কিছুদিন আগে বাড়ির অন্যান্য সদস্যেদের কুপরামর্শে ঝর্নার স্বামী আরো ৫ লাখ টাকা দাবি করে এবং বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে চাপ সৃষ্টিসহ মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গৃহবধূ ঝর্না বিষয়টি তার পরিবারকে জানান। পরে বাবার পরিবারের লোকজন মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে জামাই লুৎফরকে বিদেশ যাওয়ার জন্য ৩ লাখ ও অন্যান্য কাজের জন্য আরো ২ লাখসহ পাঁচ লাখ টাকা দেন। কিন্তু ওই টাকা বিভিন্ন কাজে খরচ করে আবারো ৫ লাখ টাকার জন্য ঝর্নার উপর আবারো চাপ সৃষ্টিসহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতণ শুরু করে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন। এমনকি স্বামী লুৎফর রহমান প্রথম স্ত্রী ঝর্না খানমের অনুমতি ছাড়াই পরিবারের অন্যান্য লোকদের কুপরামর্শে দ্বিতীয় বিয়ে করে। ঘটনাটি ঝর্নার পরিবার জানতে পেরে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক সালিশ হয় এবং অাপষ মিমাংসার পর ঝর্না আবারো ঘর সংসার শুরু করেন। কিন্তু ২২ আগস্ট দুপুরে স্বামীর বাড়িতে ঝর্নাকে ৫ লাখ টাকা এনে দেয়ার জন্য আবারো চাপ সৃষ্টি করে এবং এক পর্যায়ে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে ফেলে রাখে। এ সমায় ঝর্নার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোক ছুটে আসলে তিনি রক্ষা পান। পরে ঝর্না মোবাইলে তার বড় বোন লাভলী আক্তারকে জানালে তিনি আহত অবস্থায় ঝর্নাকে উদ্ধার কওে ভালুকা ৫০ শয্যা সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করেন।
স্বামী ও তার পরিবারের নির্যাতণের শিকার ঝর্না খানম জানান, সংসারে সুখের কথা চিন্তা করে বিয়ের ২০ বছরে কয়েক দফায় বাবার বাড়ি থেকে নগদ টাকাসহ প্রায় ৯ লাখ টাকার জিসিনপত্র আনা হয়েছে। তারপরও তার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করেন এবং দিনের পর দিন তাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতণের শিকার হতে হয়েছে। বাধ্য হয়ে তিনি স্বামীসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ঘটনায় ঝর্না খানম বাদি হয়ে স্বামী লুৎফর রহমান, ভাশুর খবির উদ্দিন, রাকিব, লিমা আক্তার ও শাহিন আলমকে বিবাদি করে ভালুকা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভালুকা মডেল থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply