মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মহাসচিব (প্রশাসন) দুর্নীতিবাজ এমদাদ হোসেন মতিন গং জামাত-বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের বিভক্ত করণ মিশনে লিপ্ত!
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর গঠনতন্ত্র মোতাবেক নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে ২০১৩ সালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের তৎকালীন চেয়ারম্যান হেলাল মোর্শেদ খান বীরবিক্রম মেহেদী হাসানকে সভাপতি মনোনীত করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডে এর কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেন।
যে নীতিমালার আলোকে সংগঠন পরিচালনা করে আসছিল কমিটির সভাপতি মেহেদী হাসান। কিন্তু অনৈতিক পন্থায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি থাকা অবস্থায় হঠাৎ একটি অবৈধ আহবায়ক কমিটি প্রদানের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের মধ্যে প্রকাশ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করে তৎকালীন সংসদের দুর্নীতিবাজ হেলাল মতিন গং। উল্লেখ্য যে, একজন প্রবাসীকে আহবায়ক করা হয় সেই কমিটির! অথচ ঐ ব্যক্তির কখনোই এই সংগঠনের কোন পর্যায়ে সম্পৃক্ততা ছিল না। বিষয়টি নীতিমালা পরিপন্থি হওয়ায় মেহেদী হাসান ও সেলিম রেজা র কমিটি আইনের আশ্রয় নেয়, এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণে সামর্থ হয়। নীতিমালা পরিবর্তন না করা পর্যন্ত মেহেদী হাসানের কমিটির বিরুদ্ধে যেকোন ব্যবস্থা নিতে পূর্বের নীতিমালা অনুসরণে বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ প্রতিষ্ঠার ৫১ বছরে গত ৩০ জুলাই সর্বপ্রথম সমগ্র বাংলাদেশ থেকে আগত প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে কন্ঠ ভোটের মাধ্যমে পঞ্চবার্ষিক কাউন্সিল এ পুনরায় মেহেদী হাসানকে সভাপতি ও মোঃ সেলিম রেজাকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করাহয়।
জামাত বিএনপির পৃষ্ঠপোষক দুর্নীতিবাজ এমদাদ হোসেন মতিন গং মক্তিযোদ্ধা সংসদ এর গঠনতন্ত্র ও সন্তান কমান্ড নীতিমালা পরিপন্থী কর্ম পরিচালনা, অনৈতিক লেন-দেন সহ নানা অপকর্মের চিত্র নিম্নরূপঃ
ক. বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশ বিরোধী সাইবার সন্ত্রাসী ক্যাপ্টেন শহীদ এর আপন শ্যালক আতিক বাবু থেকে অর্থ ও বিদেশ ভ্রমনের সুযোগ গ্রহনের বিনিময়ে অবৈধ আহবায়ক কমিটি প্রদানের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের প্রথম আনুষ্ঠানিক বিভক্তি করে। যার বিরুদ্ধে দায়ের কৃত মামলা বিদ্যমান।
খ. ০৩ (তিন) জন সেক্রেটারী সমৃদ্ধ আতিক বাবুকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি এবং কমিটিতে অমুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের পদায়ন। তিন জন সাধারণ সম্পাদকের কোন বিধান নীতিমালায় নাই পাশাপাশি অমুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের পদায়ন সরাসরি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর গঠনতন্ত্র পরিপন্থি।
গ. উক্ত কমিটি ৪টা গ্রুপে বিভক্তঃ
★আতিক বাবু – ফারহানা গং,
★জাহিদুল ইসলাম মিলন – প্রিন্স গং,
★আসিফ খান – মনির মোল্লা গং, এবং
★নিস্ক্রিয় গং
বর্তমান বাস্তবতাঃ
★ আতিক বাবু – ফারহানা গং নিস্ক্রিয়
★ সৈয়দ জাহিদুল ইসলাম মিলন ( আতিক বাবু পূর্ণাঙ্গ কমিটির সদস্য ) বর্তামানে তিনি নিজে স্বঘোষিত আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব।
★ মাহাবুবুল ইসলাম প্রিন্স স্বঘোষিত কেন্দ্রীয় সভাপতি।
★ আসিফ খান ও মনির মোল্লা নিস্ক্রীয়।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে স্বাধীনতা বিরোধী চক্র আবারও সক্রিয়। নীল নকশা বাস্তবায়নে অপকৌশলে মক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের ব্যানারে নামে বেনামে ব্যবহার করে সহজ সরল বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের বিভক্তি চুড়ান্ত রূপদান চলছে। নেপথ্যে রয়েছে জামাত বিএনপি, যুদ্ধাপরাধী ও মানবতা বিরোধী অপরাধীদের বিশ্বস্ত, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মহাসচিব দুর্নীতিবাজ মতিন। যে কিনা সর্ব প্রথম বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের মধ্যে প্রকাশ্যে বিভক্তি তৈরী করার ফলে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। চুড়ান্তভাবে বিভক্তির কাজটা সম্পন্ন করতে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ধ্বংসের এই খেলা এখন প্রকট আকার ধারণ করছে। এই যুদ্ধ চিরতরে বন্ধ করতে না পারলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জিবদ্দশায় তাদের প্রজন্মের আদর্শিক অপমৃত্যু অবলোকন আসন্ন।
এছাড়াও বিশেষ সূত্রে প্রাপ্ত, মক্তিযোদ্ধা সংসদ এর সাবেক একজন সাংগঠনিক সম্পাদক যিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের একজন সাবেক মন্ত্রীর আস্থাভাজন ব্যক্তি হিসেবে উক্ত জামাত- বিএনপি, যুদ্ধাপরাধী ও মানবতা বিরোধী অপরাধীদের বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের সমন্বয় সাধন করে থাকেন বলে অনেকের অভিমত। কারণ হিসেবে অনুসন্ধানে জানা যায় সাবেক এই মন্ত্রী মহোদয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদে তাঁর অনুগতদের পদায়নের মাধ্যমে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে কতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে মরিয়া। পাশাপাশী বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরও তার অনুগত রাখতে কমিটি কমিটি খেলা চলমান।
উক্ত মন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধ সংশ্লিষ্ট অনেক বিতর্কিত কাজ করেছেন যার তথ্যাদি ইতিমধ্যেই আমাদের হস্তগত হয়েছে।
জামাত বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের পাতানো ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্য সকল বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তাদের উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এর বর্তমান নির্বাচিত সভাপতি মেহেদী হাসান।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply