নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কুমিল্লার বরুড়ায় জাকিয়া বেগম (২৪) নামে এক নারীকে অবরুদ্ধ করে জোরপূর্বক তিন মাসের শিশু অপহরণ। বরুড়া থানার কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারের গড়িমসি করে কালক্ষেপণ। পরবর্তীতে অপহরণকারী আসামিদের নাম না দিয়ে অজ্ঞাত নাম বিহীন অপহরণকারী আসামি করে দায়ছাড়া অভিযোগ রজু। ভুক্তভোগী নারীর আহাজারি।

গত ৬ নভেম্বর রবিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানার আমরাতলি গ্রামের আনা মিয়ার ভাড়াটিয়া জাকিয়া বেগম (২৪) স্বামী আশিকুর রহমান মনির এর শিশু পুত্র মোঃ আবু ওমর (৩মাস) কে অপহরণ করে সিএনজি অটো গাড়িতে করে পালিয়ে যায়।

আমাদের প্রতিনিধি মাধ্যমে জাকিয়া বেগম বলেন, আমার স্বামী বাতাইছড়ি নতুন বাজারে একজন হার্ড‌ওয়ার দোকানদার। গত ৬ নভেম্বর রবিবার সন্ধ্যায় আমার স্বামী দোকানে ছিল। এসময়ে আমার ভাড়া বাড়িতে চার/পাঁচজন লোক বাড়ি ভাড়া খোঁজার নামকরে বাড়ির ভেতরে ডুকে অসুস্থ্য বৃদ্ধ বাড়িওয়ালীকে কৌশলে ঘরে বন্দি করে। পরবর্তীতে আমাকে দেশীয় অস্ত্র দেখিয়ে জোর পুর্বক আমার শিশু পুত্র মোঃ আবু ওমর (৩মাস) কে অপহরণ করে তাদের সাথে আনা সিএনজি অটো গাড়িতে করে পালিয়ে যায়। অপহরণকারীরা যাওয়ার সময় আমাকে ও আমার ৫ বছরের শিশু কন্যাকে ঘরে বন্দি করে বাহির থেকে দরজা লাগিয়ে রায়। পরবর্তীতে আমার ডাক চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে আমাকে ও বাড়িওয়ালীকে বন্ধ রুম থেকে বের করে।

অপহরণকারীদের কাউকে চিনতে পেরেছেন কিনা জানতে চাইলে জাকিয়া বেগম বলেন, তারা আমার স্বামীর পূর্বের স্ত্রীরির ভাই বেরাদার আত্মিয়স্বজন। তাহাদের সাথে আমার স্বামীর পুর্ব শত্রুতার জেরে সংঘবদ্ধ হামলা করে আমার দুধের শিশু তিনমাসের পুত্রকে জোর পুর্বক দেশীয় অস্ত্র শস্র দেখিয়ে ছিনিয়ে অপহরণ করে পালিয়ে যায়।

এবিষয়ে ভুক্তভোগী জাকিয়া বেগম সঙ্গে সঙ্গে থানায় গিয়ে অভিযোগ করতে চাইলে বরুড়া থানার কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার গড়িমসি করে কালক্ষেপণ করেন। পরবর্তীতে থানা পুলিশ অপহরণকারী আসামিদের নাম না দিয়ে অজ্ঞাত নাম বিহীন অপহরণকারী আসামি করে ৮ নভেম্বর ২০২২ একটি দায়ছাড়া অভিযোগ রজু করেন।

ভুক্তভোগী জাকিয়া বেগম বলেন, আমি অপহরণকারীদের চিনেছি। অভিযোগে তাদের নাম দিতে চাইলেও কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার আসামিদের নাম না লিখে নামবিহীন অজ্ঞাত নামে অভিযোগ রাজু করে। এবিষয়ে কথা বলতে চাইলে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার আমার সাথে অসৌজন্যমূলক খারাপ আচরণ করেন।