আনোয়ার হোসেন, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ যশোর চেক ডিজ অনারের দুটি মামলায় ই-ভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন, সিইও মোহাম্মদ রাসেল ও সিনিয়র ম্যানেজার মাসুদকে ৪ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে যশোরের আদালত।গতকাল বৃহস্পতিবার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ (১ম) আদালতের বিচারক মোঃ খাইরুল ইসলাম আলাদালতের রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এপিপি মিজানুর রহমান মিন্টু।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, যশোর শহরের ষষ্ঠীতলা পাড়ার ইমান আলীর ছেলে শামসুজ্জামান ই-ভ্যালি থেকে মোটরসাইকেল কেনার জন্য ২০২১ সালের ১৬ জানুয়ারি ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা প্রদান করেন। ৪৫ দিনের মধ্যে মোটরসাইকেল সরবরাহের কথা থাকলেও তা দিতে ব্যর্থ হয় প্রতিষ্ঠানটি। এরপর ওই বছর ২৬ জুলাই প্রতিষ্ঠানটি সিটি ব্যাংকের অনুকুলে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকার একটি চেক দেন শামসুজ্জামানকে। ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি চেকটি ব্যাংকে জমা দিলে তাদের ব্যাংক হিসাবে পর্যপ্ত টাকা না থাকায় ডিজঅনার হয়। টাকা ফেরত পেতে শামসুজ্জামান ২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ই-ভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। কোন জবাব না পেয়ে শামসুজ্জামান ওই বছর ২৯ মার্চ ই-ভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনারের মামলা করেন।
অপর দিকে, শামসুজ্জামান ইভালি থেকে ২০২১ সালের ৫ মার্চ ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা মূল্যের আরও একটি মোটর সাইকেলের অর্ডার করেছিলেন। সেটিও দিতে ব্যর্থ হয় প্রতিষ্ঠানটি। ওই টাকার বিপরীতে ওই বছরের ৩রা অক্টোবর প্রতিষ্ঠানটির সিইও মোঃ রাসেল ও সিনিয়র ম্যানেজার মাসুদ স্বাক্ষরিত একটি চেক প্রদান করেন তাকে গত। ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি চেকটি ব্যাংকে জমা দিলে তাদের হিসাবে পর্যপ্ত টাকা না থাকায় ডিজঅনার হয়। ২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ই-ভ্যালির সিইও মোঃ রাসেল ও সিনিয়ার ম্যানেজার মাসুদকে লিগাল নোটিশ দেন শামসুজ্জামান। নোটিশের জবাব না পাওয়ায় শামসুজ্জামান ওই বছর ৭ এপ্রিল ই-ভ্যালির চেয়ারম্যান সিইও এবং সিনিয়র ম্যানেজারের বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনারের মামলা করেন।
আদালত এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক প্রত্যেককে ৪ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও দুইটি চেকের ৩ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত তিনজনই পলাতক।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply