নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বেনাপোল চেকপোস্ট এ পর্যাপ্ত যাত্রী সেবা না থাকায় এভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় পাসপোর্টধারী যাত্রীদের।
নানান অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত বেনাপোল চেক পোস্ট বন্দর। সেখানে দালালের দৌরাত্ম্যে প্রতারণা হয়রানির শিকার হয় পাসপোর্টধারী যাত্রীরা।
তবে যাত্রী সেবা নিরাপত্তা কোনোটাই বাড়েনি বেনাপোল বন্দরে। ছাউনি না থাকায় রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে যাত্রীদের সড়কেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। এক পাসপোর্টধারী যাত্রী বলেন, পদ্মাসেতুর কল্যাণে ঢাকা থেকে আমরা এখানে বেশ দ্রুত সময়ে চলে আসতে পেরেছি। আমার আসতে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা লেগেছে। কিন্তু এখানে যে অবস্থা। মানে হয় কোনো নিরাপত্তাই নেই।রাজধানী থেকে আগে কলকাতার দূরত্ব ছিল ৩১৫ কিলোমিটার। বর্তমানে পদ্মা এবং মধুমতি সেতু চালু হওয়ায় সেই দূরত্ব কমিয়ে এখন দাঁড়িয়েছে ২৪৫ কিলোমিটারে।যার ফলে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাওয়া-আসার হারও বেড়েছে অনেকগুন।
এদিকে বন্দরে নিরাপত্তা কর্মী থাকার পরও দায়িত্ব পালনে অবহেলা এবং দালাল দের সঙ্গে আতাত সখ্যতার অভিযোগ উঠেছে। দালালদের খপ্পরে পড়ে যাত্রীদের প্রতিনিয়ত হয়রানি হতে হয়। এমনটাই অভিযোগ করেন কয়েক জন পাসপোর্টধারী যাত্রীরা বলেন, ‘অনেকেই দালালদের টাকা দিয়ে লাইন না মেনে আগে চলে যাচ্ছে। আর যারা এখানে লাইন মেনে দাঁড়িয়ে আছে, তারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে।
যদিও সকল সমস্যার দ্রুতই সমাধানের আশ্বাস দিয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বার বার যাত্রীদের সতর্ক করছি যে তারা যেন দালালদের নিজের পাসপোর্ট কারোর কাছে না দেন।’ বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বছরে প্রায় ১৬ লাখ পাসপোর্টধারী যাতায়াত করে থাকেন। এতেকরে ভ্রমণ খাতে রাজস্ব আসে প্রায় একশত কোটি টাকা।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply