ফাহাদ মোল্লা নিজস্ব প্রতিনিধিঃ জামালপুর-৫ সদর আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক রেজাউল করিম রেজনু’র ঈগল প্রতীকের একটি নির্বাচনী প্রচারকেন্দ্রে ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর অভিযোগ, নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা এ ভাংচুর চালিয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাত ৯ টার দিকে পৌর এলাকার ৭ নং ওয়ার্ডের ফুলবাড়িয়া বউবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এসময় তারা নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্রের চেয়ার ভাংচুর করে এবং কিছু চেয়ার নিয়ে চলে যায়।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৯ টার দিকে ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্রে আসে নৌকা প্রতীকের একদল নেতাকমী। তারা অকথ্য ভাষায় ঈগলের প্রার্থীসহ সমর্থকদের গালিগালাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা প্রচারকেন্দ্রের চেয়ার ভাংচুর করেন এবং কিছু চেয়ার সেখান থেকে নিয়ে চলে যন। তারা চলে যাবার কিছুক্ষণ পর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে।সরকার দলীয় নৌকা প্রতীকের কর্মীসমর্থকরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক সাবেক কাউন্সিলর মো. সুরুজ্জামান, শ্রমিক লীগ নেতা আব্দুল বারেক, মো. আমিনুর ইসলামসহ অনেকেই।এ বিষয়ে সদর থানার এসআই মাজাহার ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারকেন্দ্রে ভাংচুরের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় দুর্বৃত্তদের কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে ভাংচুরের কাজে যারা জড়িত, তদন্ত করে তাদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান জামালপুর-৫ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনু। তিনি ঘটনাটি ন্যাক্কারজনক উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ‘ঈগলের প্রতিপক্ষ নৌকার প্রার্থী সরকারের একজন উচ্চপদস্থ আমলা। আমার কর্মীসমর্থকদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করার জন্য নৌকার নেতাকর্মীরা এ ভাংচুর চালিয়েছে।’তিনি আরো বলেন, ‘যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভোটারদের সরব উপস্থিতির মাধ্যমে একটি মানসম্মত নির্বাচন উপহার দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, সেখানে ভাংচুরের মতো নোংরামি ও আতংক সৃষ্টি করে সরকার দলীয় প্রার্থী কি মেসেজ দিতে চাচ্ছেন?’তিনি প্রতিপক্ষদের নির্বাচনী আচরণবিধি যথাযথভাবে পালন এবং নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
ভাংচুরের বিষয়ে মুঠোফোনে নৌকার প্রতীকের প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।’সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, ‘এ বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply