এইচ এম আতিক ইকবাল রবিন, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ “সরকারি জমি ও খাল দখলমুক্ত করার ঘটনাটি এ যাবৎকালে জেলার সর্বোচ্চ ইতিবাচক আলোচনার সৃস্টি করেছে। শুধু ঘটনাস্থল নড়িয়াতেই নয় গোটা জেলার অবৈধ দখলদারগন রয়েছে আতংকিত। জনসাধারন প্রশানকে সাধুবাদ জানিয়েছে। আলোচনা হচ্ছে চায়ের দোকান থেকে হাটবাজার গ্রামে গ্রামে মহল্লায়”
শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলায় ১.৫০ (দেড় একর) সরকারি জমি দখল মুক্ত ও সরকারী খাল উদ্ধার করেছে উপজেলা প্রশাসন। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা। ১৫কোটি টাকা মূল্যের সরকারি জমি উদ্ধারের ঘটনায় জেলায় বেশ ইতিবাচক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে নড়িয়া পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের পাইকপাড়া এলাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শংকর চন্দ্র বৈদ্য ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নড়িয়া ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ পারভেজ এ ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নড়িয়া পৌর ভুমি কর্মকর্তা উদ্ধব চন্দ্র পাল।
অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সার্বিক সহযোগিতা করতে পুলিশ অফিসার ও সদস্যদের নিয়ে স্বশরীরে উপস্থিত ছিলেন নড়িয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান।
অভিযান শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শংকর চন্দ্র বৈদ্য গণমাধ্যম কে জানান, ‘স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র অবৈধ ভাবে দেড় একর সরকারি সম্পত্তি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ এবং সরকারী খাল ভরাট করে অবৈধ ভাবে দখল করে রেখেছিলো। ০২ফেব্রুয়ারি গত শুক্রবার ড্রেজার দ্বারা উক্ত জমি ও খাল ভরাটের সময় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অভিযান পরিচালনা করা কালে দেড় একর সম্পত্তি ও খাল দখল মূক্ত করা হয়েছে যার মূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা। ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এ সময় অবৈধ দখলদারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’
সহকারী কমিশনার (ভূমি) নড়িয়া ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ পারভেজ রহমান বলেন, নড়িয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেআইনীভাবে দখলকৃত সরকারি জমি উদ্ধারে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে আমাদের এই উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সরকারী জমি দখল মুক্ত এবং খাল উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে ভুমি ব্যবস্তাপনায় গনমানুষের শতভাগ আস্থা অর্জন করবে সরকার ও জেলা প্রশাসন জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা বলেন প্রবাহমান সরকারি খাল দখল হওয়ায় আবাদী জমিতে সেচ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো এবং এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছিলো, বর্ষা মৌসুমে প্রাকৃতিকভাবে পলিমাটি জমা বন্ধ হয়ে গিয়ে আবাদী জমিগুলো অনুর্বর হয়ে পড়েছিলো সরকারি খালটি দখলমুক্ত হওয়ায় এ সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করছেন তারা।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply