নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জ জেলার মাঝখান দিয়ে বয়ে চলা শীতলক্ষ্যা নদী এখন দখল ও দূষনে অস্তিত্ব হারাতে বসেছে। নদীটির দু’পাশে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক চুড়ান্ত সিমানা প্লিয়ার বসানোর পরও অন্তত ২০০ ফিট নদীর সম্পত্তি দখল করে রেখেছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোর্রেশনের ২৫নং ওয়ার্ডের সোমবারিয়া বাজার সংলগ্ন সোহাগপুর টেক্সাইল মিল নামের একটি প্রতিষ্ঠান। শুধু তাই নয় শীতলক্ষ্যা নদী থেকে সোমবারিয়া বাজার পর্যন্ত একটি খাল ছিলো। সেই খালটিও অত্র প্রতিষ্ঠানটি দখল করেছে অনেক আগেই! এমন কাথাই জানালেন স্থানীয় জনসাধারণ। তবে নদীর সম্পদ রক্ষায় বিআইডব্লিউটিএ অভিযান করলেও কোনো ভাবেই উদ্ধার করতে পারছে না সরকারি জমি।
জানা গেছে, আদর্শ কটন স্পিনিং এন্ড উইভিং মিলস বন্ধ ঘোষনা করা হলে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রনালয়ের লিকিইডেশন সেলের মাধ্যমে গত ১৯৮৫ সালে সোহাগপুর টেক্সাইল মিলস মালিকানা পায়।
এরপর তারা স্থানীয়দের জমি, খাল সহ শীতলক্ষ্যা নদীর সম্পদ নিজেদের প্রতিষ্ঠানের অভ্যান্তরে নিয়ে নেয়। প্রতিষ্ঠানটি বুঝে নেয়ার পর তারা শীতলক্ষ্যা নদী থেকে সোমবারিয়া বাজার পর্যন্ত খালটি রাতারাতি দখল করে নেয়। বর্তমানে সোহাপুরের পশ্চিম অর্থাৎ নদীর পাড়ে ওয়াকওয়ে নির্মানের কাজ দ্রুত চলছে।
কাজটি শেষ হলে নদীর জমি স্থায়ী ভাবে নিজেদের দখলে যাবে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। জমি দখল নিয়ে স্থানীয় জনসাধারণ গণমাধ্যমের কাছে ভয়ে কথা বলতে চাননা। কেননা এর আগে খাল দখলের সময় বাধা দিলে স্থানীয়দেরকে মামলা দিয়ে হয়রানী করারও অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক এছাক খানের বিরুদ্ধে।
এছাড়াও স্থানীয় কাউন্সিলর এনায়েত হোসেন, বিআইডব্লিউটিএ-এর কর্মকার্তরাও এর সাথে মদদ দিচ্ছে এমনও অভিযোগ রয়েছে। অণ্যদিকে দেউলী-চৌরাপাড়া ভূমি অফিসের কর্মচারীরাও সোহাগপুরের পক্ষে সাফাই গেয়ে থাকেন।
স্থানীয় জনগন বলেন, ওয়াকওয়ে নিমার্ন কাজ বন্ধ করে সোহাগপুরের ভেতরের ভুমি দখল থেকে নদী জমি ও খাল উদ্ধারের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
ভুমি অফিসের কর্মকতার্দের সাথে গোপনে কথোপকথন ভূমি অফিসের কর্মচারীরাও সোহাগপুরের পক্ষে কথা বলে থাকেন।
নাসিক ২৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনায়েত হোসেন পরে সাক্ষাৎ করে কথা বলার আশ্বাস দিয়ে এড়িয়ে গেলেন সোহাগপুরের মালিকের আস্থাভাজন এই কাউন্সিলর।
শীতলক্ষ্যা ওয়াকওয়ে প্রজেক্ট ডিরেক্টর শাহনেওয়াজ কবির বলেন, প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে নাকি নদীর জমিও ছাড় দেয়া যায় এমন তথ্য জানালেন প্রজেক্ট ডিরেক্টর।
বিআইডব্লিউটিএ এর প্রকৌশলী নিজাম উদ্দিন পাঠান বলেন, তাদের কাজ নাকি সীমানা পিলার নিধার্রন করা। তিনি বিআইডব্লিউটিএর সাথে কথা বলার কথা জানালেন।
সোহাগপুর টেক্সাইল মিলস এর পরিচালক এছাহাক খান বলেন, নদীর জমি যদি বিআইডব্লিউটিএ নিয়ে যায় যাবে। এ বিষয়ে নিয়ে সাংবাদিকদের কি কাজ? বললেন প্রতিষ্ঠানের এই পরিচালক।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply